ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু-উজিরপুরে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে আহত ২৫
ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কুড়ালিয়া বাজারে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ ও জনতার মধ্যে দিনভর সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়লে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্যও রয়েছে। এ নিয়ে কুড়ালিয়া বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মৃত ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে অমল মণ্ডল নামে কুড়ালিয়া বাজারের অন্য এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় জল্লা কুড়ালিয়া ফাঁড়ির সব পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জল্লা ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের হরলাল সমাদ্দারের ছেলে ও কুড়ালিয়া বাজারের ব্যবসায়ী স্বপন সমাদ্দার সোমবার রাতে বাড়িতে ভাত খেয়ে নিজ দোকানে ঘুমাতে যান। গতকাল মঙ্গলবার প্রত্যুষে একই গ্রামের মাছ বিক্রেতা অরুণ সমাদ্দার বাজারে যাওয়ার পথে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে রাস্তার ওপর স্বপনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। অরুণ সমাদ্দারের চিৎকারে বাজারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে স্বপন সমাদ্দারকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে স্বপনের মৃত্যু ঘটে।
স্বপনের ছোট ভাই তপন জানান, দোকানের মালপত্র কেনার জন্য মঙ্গলবার স্বপনের বরিশালে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য দোকানে রাখা ছিল আড়াই লাখ টাকা। রাতে দুর্বৃত্তরা স্বপনকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত ভেবে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়। তপনের দাবি, হাসপাতালে নেওয়ার সময় স্বপন তার ঘাতক কুড়ালিয়া বাজারের অন্য ব্যবসায়ী অমল মণ্ডল ও তার শ্যালক দুলাল রায়ের নাম বলেছে।
স্বপনের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কুড়ালিয়া গ্রামের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। কয়েক হাজার গ্রামবাসী মিছিল করে কুড়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে। বিক্ষুব্ধ জনতা ফাঁড়ির ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়লে কমলা রানী সমাদ্দার, দেবাশীষ বাড়ৈ, সজল অধিকারী, সুশান্ত বাড়ৈ, আলোমতি রায়, শংকর রায়, পরেশ রায়, সুব্রত বাড়ৈ, মালতি নরায় ও বকুল রানী গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহতদের আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের গুলি করার খবর পেয়ে হাজারো গ্রামবাসী মিছিলকারীদের সঙ্গে যোগ দেয়। একপর্যায়ে ফাঁড়ির মধ্যে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে জনতা। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার ইট-পাটকেল নিক্ষেপে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুবেদার দেলোয়ার হোসেন, হাবিলদার নাসির, সিপাহি সোহেল, রাসেল ও ইমদাদুল আহত হন। এ সময় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে ফাঁড়ি।
খবর পেয়ে উজিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল, বরিশাল সদর সার্কেল এএসপি রবিউল ইসলাম, উজিরপুর থানার ওসি সুকুমার রায় ঘটনাস্থলে পেঁৗছলে গ্রামবাসী স্বপন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পুলিশ জড়িত অভিযোগ করে মিছিল করতে থাকে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও এএসপি ঘটনার সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকলে তাদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়। কুড়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিক্ষুব্ধরা ফাঁড়িতে প্রবেশ করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এএসপি রবিউল ইসলাম জানান, পুলিশ জান ও মাল রক্ষার জন্য ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ছাড়া নিহত স্বপনের ভাই তপনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অমল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উর্মিলা বাড়ৈ জানান, নিহত স্বপন সমাদ্দার এলাকায় শান্ত-ভদ্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জল্লা ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের হরলাল সমাদ্দারের ছেলে ও কুড়ালিয়া বাজারের ব্যবসায়ী স্বপন সমাদ্দার সোমবার রাতে বাড়িতে ভাত খেয়ে নিজ দোকানে ঘুমাতে যান। গতকাল মঙ্গলবার প্রত্যুষে একই গ্রামের মাছ বিক্রেতা অরুণ সমাদ্দার বাজারে যাওয়ার পথে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে রাস্তার ওপর স্বপনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। অরুণ সমাদ্দারের চিৎকারে বাজারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে স্বপন সমাদ্দারকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে স্বপনের মৃত্যু ঘটে।
স্বপনের ছোট ভাই তপন জানান, দোকানের মালপত্র কেনার জন্য মঙ্গলবার স্বপনের বরিশালে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য দোকানে রাখা ছিল আড়াই লাখ টাকা। রাতে দুর্বৃত্তরা স্বপনকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত ভেবে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়। তপনের দাবি, হাসপাতালে নেওয়ার সময় স্বপন তার ঘাতক কুড়ালিয়া বাজারের অন্য ব্যবসায়ী অমল মণ্ডল ও তার শ্যালক দুলাল রায়ের নাম বলেছে।
স্বপনের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কুড়ালিয়া গ্রামের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। কয়েক হাজার গ্রামবাসী মিছিল করে কুড়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে। বিক্ষুব্ধ জনতা ফাঁড়ির ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়লে কমলা রানী সমাদ্দার, দেবাশীষ বাড়ৈ, সজল অধিকারী, সুশান্ত বাড়ৈ, আলোমতি রায়, শংকর রায়, পরেশ রায়, সুব্রত বাড়ৈ, মালতি নরায় ও বকুল রানী গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহতদের আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের গুলি করার খবর পেয়ে হাজারো গ্রামবাসী মিছিলকারীদের সঙ্গে যোগ দেয়। একপর্যায়ে ফাঁড়ির মধ্যে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে জনতা। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার ইট-পাটকেল নিক্ষেপে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুবেদার দেলোয়ার হোসেন, হাবিলদার নাসির, সিপাহি সোহেল, রাসেল ও ইমদাদুল আহত হন। এ সময় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে ফাঁড়ি।
খবর পেয়ে উজিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল, বরিশাল সদর সার্কেল এএসপি রবিউল ইসলাম, উজিরপুর থানার ওসি সুকুমার রায় ঘটনাস্থলে পেঁৗছলে গ্রামবাসী স্বপন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পুলিশ জড়িত অভিযোগ করে মিছিল করতে থাকে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও এএসপি ঘটনার সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকলে তাদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়। কুড়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিক্ষুব্ধরা ফাঁড়িতে প্রবেশ করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এএসপি রবিউল ইসলাম জানান, পুলিশ জান ও মাল রক্ষার জন্য ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ছাড়া নিহত স্বপনের ভাই তপনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অমল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উর্মিলা বাড়ৈ জানান, নিহত স্বপন সমাদ্দার এলাকায় শান্ত-ভদ্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
No comments