শীতদুর্গত-বিত্তহীনের শীতযাপন by তুহিন ওয়াদুদ
দরজা-জানালা বন্ধ, দরজার নিচে সামান্য ফাঁকটুকুও বন্ধ, এমনকি প্রতিটি রুমে একটি ঘুলঘুলি রেখে অন্য সব ঘুলঘুলি পর্যন্ত বন্ধ। প্রয়োজনে রুমহিটার দিয়ে রুম গরম করার চেষ্টা পর্যন্ত আছে, আছে পর্যাপ্ত গরম কাপড়। তার পরও সতর্কতার অন্ত নেই শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার। উচ্চবিত্ত মানুষের শীতের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে যখন এমন প্রচেষ্টা, তখন বিত্তহীন মানুষের একটি গরম পোশাকের জন্য অনিশ্চিত অপেক্ষা। সুকান্ত ভট্টাচার্যের সেই কবিতা
আমাদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে আজও সমান জরুরি, ‘হে সূর্য!/তুমি আমাদের স্যাঁতসেঁতে ভিজে ঘরে/ উত্তাপ আর আলো দিও/ আর উত্তাপ দিও/ রাস্তার ধারের ঐ উলঙ্গ ছেলেটাকে।’
বাংলাদেশে বিশেষ করে উত্তর জনপদে এই শীত নামে ভয়ংকর রূপ নিয়ে। শীতের এই ভয়ংকর অবস্থা অতিদরিদ্র মানুষের মধ্যে অভিশাপের মতো নেমে আসে। তাদের শীত-বাস্তবতায় যে করুণ পরিণতি নেমে আসে তা অবর্ণনীয়। গ্রামীণ জনজীবনে আবাসিক অবকাঠামো ছন-বাঁশ-মাটি আর টিনে নির্মিত। এই ঘরগুলো এমনভাবে নির্মিত যা শীত প্রতিরোধক নয়। বেড়ার নিচে অনেকখানি ফাঁকা থাকে, আবার চালের নিচেও অনেকখানি ফাঁকা থাকে। এই ফাঁকটুকু বন্ধ করলে গরমের দিনে ঘরগুলো গ্যাস চেম্বার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শীতের দিনে গ্রামীণ জনপদের এই বাড়িগুলো এমনভাবে শীত-কুয়াশায় ঢাকা থাকে যে বাইরের তাপমাত্রা আর ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা সমান থাকে। হেমন্তের শেষে আস্তে আস্তে যখন শীত বাড়তে থাকে তখন বিত্তহীন মানুষেরা ক্রমশ শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাদের বেঁচে থাকতে হয় সংগ্রাম করে। পুঁজিবাদের নির্মম বাস্তবতায় নিম্নবিত্ত মানুষেরা যখন মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ তখন তাদের শীতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার কোনো উপায় থাকে না। তখন কখনো তাদের অপেক্ষা করতে হয় পুঁজিবাদের লৌকিক করুণার ওপর, কখনো রাষ্ট্রের করুণার ওপর। রাষ্ট্রের ওপর তাদের যে অধিকার আছে তা বোঝার উপায় নেই। প্রতিবছর যে পরিমাণ মানুষ শীতে মারা যায় তাতে করে বিশেষত উত্তর জনপদকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আওতায় এনে দুর্যোগ উত্তরণের রাষ্ট্রীয় চেষ্টা থাকা অত্যন্ত জরুরি। তা কখনোই হয়নি।
শীতার্ত বিত্তহীন মানুষের শীতবস্ত্র কতখানি প্রয়োজন তার একটি দৃষ্টান্ত দিচ্ছি। কয়েক দিন আগে রংপুরে একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন কিছু গরম কাপড় বিভিন্ন বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেছে। তারা সেই কাপড় একটি গ্রামে বিতরণ করতে গেছে। তারা আগে থেকে সেখানে প্রচারণাও চালায়নি। শুধু তাদের সেই গ্রামে উপস্থিতি মাত্রই সেখানে রটে গেল, শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। মুহূর্তে ভরে উঠল স্কুলমাঠ। নারী-শিশু-পুরুষ সবার ঠেলাঠেলিতে বিতরণকারীরা বিব্রতকর অবস্থায়। আমি লক্ষ করছিলাম, যাঁরা বিতরণ করতে এসেছেন তাঁদের কাছে মাত্র তিন বস্তা পুরোনো কাপড়। ভিড় সামলাতে না পেরে বিতরণকারীরা বললেন, ‘আপনারা সবাই লাইন হয়ে দাঁড়ান।’ শীতের সকালে যারা উপস্থিত হয়েছে তাদের শীত প্রতিরোধের জন্য যে সামান্য আচ্ছাদন তা দেখে ভেতরে ভীষণ কষ্ট অনুভব করলাম। বিতরণকারীরা লাইন হয়ে দাঁড়ানোর কথা বলায় সবাই লাইন হয়ে দাঁড়াল। বিতরণকারীরা ১০০ জনকেও গরম কাপড় দিতে পারেননি। যারা পেয়েছে তাদের চোখেমুখে এক অসামান্য প্রাপ্তির হাসি। আর যারা পায়নি তাদের চোখেমুখে যেন ঘন কুয়াশার চাদর। তাদের দিকে তাকিয়ে নিজেকে কেমন যেন অপরাধী অপরাধী বোধ হলো। এই সামান্য পুরোনো কাপড় পাওয়ার আশায় এত মানুষের ঠেলাঠেলি আর আকুতি দেখে এবং তাদের ছেঁড়া, পাতলা শীতবস্ত্র পরিধান করা অবস্থা দেখে তাদের প্রয়োজনীয়তা পরিষ্কার বোঝা যায়। সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটা বোঝা সহজ হলেও সরকার বুঝতে চায় না। বুঝলে সেটা যদি তার জন্য বোঝা হয় সে জন্য বুঝতে চায় না।
যখন শীত নামে তখন তা কখনো দৃশ্যমান, কখনো শুধুই অনুভূতিযোগ্য। শীত যখন ঘন কুয়াশার রূপ ধরে আসে তখন সন্ধ্যা-রাত-সকাল সবকিছুই থাকে কুয়াশায় আবৃত। কুয়াশা কখনো কখনো এমন ঘন হয়ে আসে যে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় তাকেও দেখা যায় না। এই বিরূপ আবহাওয়াতেও মাঠে ধান রোপণের কাজে যেতে হয় মজুরদের। জীবন বাজি রেখে পানিতে নেমে সারা দিন ধান লাগাতে হয়। যখন পথে কিছুই দেখা যায় না তখনো রিকশা নিয়ে রাস্তায় নামতে হয় রিকশাওয়ালাদের। কারণ এনজিওওয়ালাদের সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে। কখনো কখনো কোনো কুয়াশা ছাড়াই নামে শীত। শিরশিরে হাওয়ায় ঠান্ডা এসে যেন হাড় ছুঁয়ে যায়। গত কয়েক দিন ধরে দেশব্যাপী যে শীত নেমেছে, গণমাধ্যমে তাতে শীতজনিত রোগে প্রচুর মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু শীত প্রতিরোধে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বিতরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় কোনো বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যখন শীত চরম আকার ধারণ করে তখন শীতের ভয়াবহতা নিয়ে অনেক কথা হয়। এমন অবস্থায় একমুঠো রোদ যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা কয়েক দিন পরে যখন একচিলতে রোদ ওঠে তখন বোঝা যায়। বিত্তহীন মানুষের জন্য এই আলো এক অসীম স্বপ্ন নিয়ে উপস্থিত হয়। ধান কাটার পর যে ছড়া পড়ে থাকে সেই ছড়া বিত্তহীন মানুষেরা কেটে নিয়ে আসে একটু আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নেবে বলে।
শীতের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাড়ির গরু-ছাগলকে চট দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে করে ঠান্ডা কম লাগে। এমনকি গরুকে গরম পানি করে খাওয়ানো হয়। একজন গৃহস্থ তার বাড়ির গৃহপালিত প্রাণীর প্রতি যখন এতটাই সদয়, তাদের কষ্টে যখন নিজেও কষ্ট অনুভব করে, এবং কষ্ট থেকে পরিত্রাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তখন আমাদের রাষ্ট্র আমাদের বিত্তহীন মানুষের দিকে চোখ তুলেও চায় না। অথচ বিত্তহীন মানুষের শ্রম কম মূল্যে ক্রয় করে রাষ্ট্র তার চাকচিক্য বানিয়েছে, পুঁজিবাদীরা তাদের বিলাস বাড়িয়েছে। আমাদের এই মানবিক মূল্যবোধ তৈরি হোক যে রাষ্ট্রের প্রতিটি ধূলিকণায়, প্রতি আনা মুদ্রায় আমাদের সমান অধিকার। আমরা যেন প্রত্যেকের কষ্টে ব্যথিত হই।
তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
wadudtuhin@gmail.com
বাংলাদেশে বিশেষ করে উত্তর জনপদে এই শীত নামে ভয়ংকর রূপ নিয়ে। শীতের এই ভয়ংকর অবস্থা অতিদরিদ্র মানুষের মধ্যে অভিশাপের মতো নেমে আসে। তাদের শীত-বাস্তবতায় যে করুণ পরিণতি নেমে আসে তা অবর্ণনীয়। গ্রামীণ জনজীবনে আবাসিক অবকাঠামো ছন-বাঁশ-মাটি আর টিনে নির্মিত। এই ঘরগুলো এমনভাবে নির্মিত যা শীত প্রতিরোধক নয়। বেড়ার নিচে অনেকখানি ফাঁকা থাকে, আবার চালের নিচেও অনেকখানি ফাঁকা থাকে। এই ফাঁকটুকু বন্ধ করলে গরমের দিনে ঘরগুলো গ্যাস চেম্বার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শীতের দিনে গ্রামীণ জনপদের এই বাড়িগুলো এমনভাবে শীত-কুয়াশায় ঢাকা থাকে যে বাইরের তাপমাত্রা আর ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা সমান থাকে। হেমন্তের শেষে আস্তে আস্তে যখন শীত বাড়তে থাকে তখন বিত্তহীন মানুষেরা ক্রমশ শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাদের বেঁচে থাকতে হয় সংগ্রাম করে। পুঁজিবাদের নির্মম বাস্তবতায় নিম্নবিত্ত মানুষেরা যখন মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ তখন তাদের শীতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার কোনো উপায় থাকে না। তখন কখনো তাদের অপেক্ষা করতে হয় পুঁজিবাদের লৌকিক করুণার ওপর, কখনো রাষ্ট্রের করুণার ওপর। রাষ্ট্রের ওপর তাদের যে অধিকার আছে তা বোঝার উপায় নেই। প্রতিবছর যে পরিমাণ মানুষ শীতে মারা যায় তাতে করে বিশেষত উত্তর জনপদকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আওতায় এনে দুর্যোগ উত্তরণের রাষ্ট্রীয় চেষ্টা থাকা অত্যন্ত জরুরি। তা কখনোই হয়নি।
শীতার্ত বিত্তহীন মানুষের শীতবস্ত্র কতখানি প্রয়োজন তার একটি দৃষ্টান্ত দিচ্ছি। কয়েক দিন আগে রংপুরে একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন কিছু গরম কাপড় বিভিন্ন বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেছে। তারা সেই কাপড় একটি গ্রামে বিতরণ করতে গেছে। তারা আগে থেকে সেখানে প্রচারণাও চালায়নি। শুধু তাদের সেই গ্রামে উপস্থিতি মাত্রই সেখানে রটে গেল, শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। মুহূর্তে ভরে উঠল স্কুলমাঠ। নারী-শিশু-পুরুষ সবার ঠেলাঠেলিতে বিতরণকারীরা বিব্রতকর অবস্থায়। আমি লক্ষ করছিলাম, যাঁরা বিতরণ করতে এসেছেন তাঁদের কাছে মাত্র তিন বস্তা পুরোনো কাপড়। ভিড় সামলাতে না পেরে বিতরণকারীরা বললেন, ‘আপনারা সবাই লাইন হয়ে দাঁড়ান।’ শীতের সকালে যারা উপস্থিত হয়েছে তাদের শীত প্রতিরোধের জন্য যে সামান্য আচ্ছাদন তা দেখে ভেতরে ভীষণ কষ্ট অনুভব করলাম। বিতরণকারীরা লাইন হয়ে দাঁড়ানোর কথা বলায় সবাই লাইন হয়ে দাঁড়াল। বিতরণকারীরা ১০০ জনকেও গরম কাপড় দিতে পারেননি। যারা পেয়েছে তাদের চোখেমুখে এক অসামান্য প্রাপ্তির হাসি। আর যারা পায়নি তাদের চোখেমুখে যেন ঘন কুয়াশার চাদর। তাদের দিকে তাকিয়ে নিজেকে কেমন যেন অপরাধী অপরাধী বোধ হলো। এই সামান্য পুরোনো কাপড় পাওয়ার আশায় এত মানুষের ঠেলাঠেলি আর আকুতি দেখে এবং তাদের ছেঁড়া, পাতলা শীতবস্ত্র পরিধান করা অবস্থা দেখে তাদের প্রয়োজনীয়তা পরিষ্কার বোঝা যায়। সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটা বোঝা সহজ হলেও সরকার বুঝতে চায় না। বুঝলে সেটা যদি তার জন্য বোঝা হয় সে জন্য বুঝতে চায় না।
যখন শীত নামে তখন তা কখনো দৃশ্যমান, কখনো শুধুই অনুভূতিযোগ্য। শীত যখন ঘন কুয়াশার রূপ ধরে আসে তখন সন্ধ্যা-রাত-সকাল সবকিছুই থাকে কুয়াশায় আবৃত। কুয়াশা কখনো কখনো এমন ঘন হয়ে আসে যে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় তাকেও দেখা যায় না। এই বিরূপ আবহাওয়াতেও মাঠে ধান রোপণের কাজে যেতে হয় মজুরদের। জীবন বাজি রেখে পানিতে নেমে সারা দিন ধান লাগাতে হয়। যখন পথে কিছুই দেখা যায় না তখনো রিকশা নিয়ে রাস্তায় নামতে হয় রিকশাওয়ালাদের। কারণ এনজিওওয়ালাদের সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে। কখনো কখনো কোনো কুয়াশা ছাড়াই নামে শীত। শিরশিরে হাওয়ায় ঠান্ডা এসে যেন হাড় ছুঁয়ে যায়। গত কয়েক দিন ধরে দেশব্যাপী যে শীত নেমেছে, গণমাধ্যমে তাতে শীতজনিত রোগে প্রচুর মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু শীত প্রতিরোধে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বিতরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় কোনো বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যখন শীত চরম আকার ধারণ করে তখন শীতের ভয়াবহতা নিয়ে অনেক কথা হয়। এমন অবস্থায় একমুঠো রোদ যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা কয়েক দিন পরে যখন একচিলতে রোদ ওঠে তখন বোঝা যায়। বিত্তহীন মানুষের জন্য এই আলো এক অসীম স্বপ্ন নিয়ে উপস্থিত হয়। ধান কাটার পর যে ছড়া পড়ে থাকে সেই ছড়া বিত্তহীন মানুষেরা কেটে নিয়ে আসে একটু আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নেবে বলে।
শীতের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাড়ির গরু-ছাগলকে চট দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে করে ঠান্ডা কম লাগে। এমনকি গরুকে গরম পানি করে খাওয়ানো হয়। একজন গৃহস্থ তার বাড়ির গৃহপালিত প্রাণীর প্রতি যখন এতটাই সদয়, তাদের কষ্টে যখন নিজেও কষ্ট অনুভব করে, এবং কষ্ট থেকে পরিত্রাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তখন আমাদের রাষ্ট্র আমাদের বিত্তহীন মানুষের দিকে চোখ তুলেও চায় না। অথচ বিত্তহীন মানুষের শ্রম কম মূল্যে ক্রয় করে রাষ্ট্র তার চাকচিক্য বানিয়েছে, পুঁজিবাদীরা তাদের বিলাস বাড়িয়েছে। আমাদের এই মানবিক মূল্যবোধ তৈরি হোক যে রাষ্ট্রের প্রতিটি ধূলিকণায়, প্রতি আনা মুদ্রায় আমাদের সমান অধিকার। আমরা যেন প্রত্যেকের কষ্টে ব্যথিত হই।
তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
wadudtuhin@gmail.com
No comments