সৃষ্টিগুণে অনন্য স্থাপত্যগুলো...
আধুনিক এ যুগটাকে বলা হয় প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির উৎকর্ষে আমরা তরতর করে হেঁটে যাচ্ছি আগামীর দিকে। আর এই এগিয়ে যাওয়া ক্ষেত্রটি নিরলসভাবে প্রস্তুত করে যাচ্ছেন কিছু উদ্যমী মানুষ। প্রযুক্তির কল্যাণেই এখন বিশ্বের অধিকাংশ মানুষকে আর খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকতে হয় না। হাড় কাঁপানো শীতও কাউকে আর তেমন কাবু করতে পারে না। প্রতিনিয়ত হেঁটে হেঁটে পাড়িও দিতে হয় না মাইলের পর মাইল পথ। ক্ষিধে পেলেও খাবারের সন্ধানে
ছুটতে হয় না বন-জঙ্গলে। মোট কথা, সবই এখন হাতের নাগালে। চাইলেই পাওয়া যায়। মানুষের জীবনযাপন একেবারেই আরামপ্রদ করে তোলার পেছনে যেসব উদ্যমী মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে স্থাপত্যবিদদের কথা না বললেই নয়। সৃষ্টিকর্মের ইতিহাসে তারা প্রতিনিয়ত যুক্ত করচ্ছেন নতুন স্থাপত্য। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রতিযোগিতাও হচ্ছে। কোন শিল্পকর্মটি বিশ্বখ্যাত, তা নিরূপণও করা হচ্ছে। স্থাপত্যকলার প্রতিযোগিতায় এমনই একটি অনন্য সৃষ্টি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রশাসনিক কেন্দ্রস্থানটি। সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ভবন হিসেবে ১৯২২ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর একটি ভবনে প্রতিনিধিদের আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপর ১৯৩১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নকশা আহ্বান করা হয়। যাচাই শেষে ১৯৩১ সালের ১৮ জুলাই বিশ্ববিখ্যাত স্থাপত্যবিদ লা করবাইজির নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এ নিয়ে দেশজুড়ে হৈচৈ পড়ে যায়। রক্ষণশীলরা নানা কথা বলা শুরু করলে বাধ্য হয়ে ধ্রুপদী স্থাপত্যবিদ বরিস আইওফানের নকশা চুড়ান্ত অনুমোদন পায়। নকশায় আছে, খ্রিস্টের পরিত্রাতা ভবনটির শীর্ষে দাঁড়িয়ে সবাইকে নির্দেশ করছেন, সম্মিলিতভাবে কাজ করতে। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার ফলে থেমে যায় কাজও। তবে একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ২০০০ সালে এটি নতুন করে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
অন্যদিকে চায়নিজরা ২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের মূল ভেন্যু পাখির বাসার আদলে তৈরি করে চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীর। এর মূল ডিজাইনে সুইস স্থপতি ফার্ম হার্জজ ও ডি মিউরন। তবে এর বাস্তবায়ন করে চায়না আর্কিটেকচার ডিজাইন এ্যান্ড রিসার্চ গ্রুপ। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই তারা তৈরি করেন এই স্টেডিয়াম। চায়নিজরা তাদের গড়া এই অসাধারণ স্টেডিয়ামের নাম দেন- 'বার্ডস নেস্ট'। অলিম্পিক শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনেকের ধারণা ছিল, এই বার্ডস নেস্ট বা পাখির বাসাটি বখেই যাবে। কিন্তু না, বুদ্ধিতে চায়নিজদের কে হারাতে পারে? তারা বেইজিংয়ে অবস্থিত এ স্টেডিয়ামকে খেলাধুলার সঙ্গে কেনাকাটা ও বিনোদনের রাজধানীও বানিয়ে নেয়!
আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট ভবন হোয়াইট হাউসের স্থাপত্যশৈলীও অবাক হওয়ার মতো। ১৭৯১ সালে স্থাপিত এ ভবন এখনও হালের স্থাপত্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে আছে। সে সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন।
বিশ্বজুড়ে এমন আরও অসংখ্য স্থাপত্য আছে, যা সৃষ্টি-সৌন্দর্যে অনন্য। ভবনগুলোর দীপ্তি ছড়িয়ে পড়ছে নতুন প্রজন্মের স্থপতিদের মনে। ফলে তারাও চেষ্টা করে যাচ্ছেন, আরও অসাধারণ কিছু তৈরি করতে। আর এভাবেই বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্রমে পাড়ি দিতে যাচ্ছি নতুন আরেক যুগে।
আশরাফুল আলম মিলন
অন্যদিকে চায়নিজরা ২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের মূল ভেন্যু পাখির বাসার আদলে তৈরি করে চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীর। এর মূল ডিজাইনে সুইস স্থপতি ফার্ম হার্জজ ও ডি মিউরন। তবে এর বাস্তবায়ন করে চায়না আর্কিটেকচার ডিজাইন এ্যান্ড রিসার্চ গ্রুপ। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই তারা তৈরি করেন এই স্টেডিয়াম। চায়নিজরা তাদের গড়া এই অসাধারণ স্টেডিয়ামের নাম দেন- 'বার্ডস নেস্ট'। অলিম্পিক শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনেকের ধারণা ছিল, এই বার্ডস নেস্ট বা পাখির বাসাটি বখেই যাবে। কিন্তু না, বুদ্ধিতে চায়নিজদের কে হারাতে পারে? তারা বেইজিংয়ে অবস্থিত এ স্টেডিয়ামকে খেলাধুলার সঙ্গে কেনাকাটা ও বিনোদনের রাজধানীও বানিয়ে নেয়!
আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট ভবন হোয়াইট হাউসের স্থাপত্যশৈলীও অবাক হওয়ার মতো। ১৭৯১ সালে স্থাপিত এ ভবন এখনও হালের স্থাপত্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে আছে। সে সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন।
বিশ্বজুড়ে এমন আরও অসংখ্য স্থাপত্য আছে, যা সৃষ্টি-সৌন্দর্যে অনন্য। ভবনগুলোর দীপ্তি ছড়িয়ে পড়ছে নতুন প্রজন্মের স্থপতিদের মনে। ফলে তারাও চেষ্টা করে যাচ্ছেন, আরও অসাধারণ কিছু তৈরি করতে। আর এভাবেই বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্রমে পাড়ি দিতে যাচ্ছি নতুন আরেক যুগে।
আশরাফুল আলম মিলন
No comments