তদারককারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন-পলাতক চিকিৎসক
কর্মস্থল-পলাতক সরকারি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়ার এক বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার একই নির্দেশ দিতে হয়েছে। তিনি জানতে চাননি এক বছর আগে তিনি যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন, তা কেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করেনি। এ অবস্থা প্রমাণ করে, দেশের স্বাস্থ্য খাতের শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। চিকিৎসকদের গ্রামে না যাওয়ার রোগ অতি পুরোনো। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের একশ্রেণীর কর্মকর্তার ঔদাসীন্য ও যোগসাজশে চিকিৎসক সমাজের একটি বড় অংশ মাসের পর মাস কর্মস্থলে পলাতক থেকে নিজেদের চিকিৎসা-ক্যারিয়ার গঠনে ব্যস্ত এবং সেটা করে তারা পারও পেয়ে যাচ্ছেন। আজ যদি প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং এ জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যদি তিনি চিহ্নিত করেন, তাহলেই সমস্যার একটা সুরাহা হতে পারত।
সে কারণে ২৫ ডিসেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ওই নতুন নির্দেশে আমরা ভরসা রাখতে পারি না। কারণ, যে সরিষা দিয়ে ভূত তাড়ানো হবে, সেই সরিষাই ভূতে আক্রান্ত। স্বাচিপের সভাপতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতিকল্পে সম্ভব হলে প্রাণ উৎসর্গ করতে সংকল্পবদ্ধ। অথচ অপ্রিয় সত্য হলো, চিকিৎসকদের নিয়োগ ও পদোন্নতির প্রক্রিয়ায় দলীয়করণ আজ সর্বজনবিদিত। তাঁর ভালো করেই জানা থাকার কথা, কীভাবে তদবির ও ধরাধরির মধ্য দিয়ে গ্রামীণ কর্মস্থল ছেড়ে চিকিৎসকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গ্রামের জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করছে। এ বিষয়ে যদি প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে হয়, তাহলে প্রশ্ন ওঠে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাজ কী? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন তেমন নেই। নবনিযুক্ত চিকিৎসকদের নিজ জেলায় কর্মস্থল নির্দিষ্ট করেও তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে অপারগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ অপারগতার সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির যোগসূত্রও রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে খতিয়ে দেখতে হবে, কেন তাঁর আগের নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি। তদারককারীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে কর্মস্থলে না থাকা চিকিৎসকদের বেতন ও পদোন্নতি বন্ধের নির্দেশও কার্যকর হবে না।
সে কারণে ২৫ ডিসেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ওই নতুন নির্দেশে আমরা ভরসা রাখতে পারি না। কারণ, যে সরিষা দিয়ে ভূত তাড়ানো হবে, সেই সরিষাই ভূতে আক্রান্ত। স্বাচিপের সভাপতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতিকল্পে সম্ভব হলে প্রাণ উৎসর্গ করতে সংকল্পবদ্ধ। অথচ অপ্রিয় সত্য হলো, চিকিৎসকদের নিয়োগ ও পদোন্নতির প্রক্রিয়ায় দলীয়করণ আজ সর্বজনবিদিত। তাঁর ভালো করেই জানা থাকার কথা, কীভাবে তদবির ও ধরাধরির মধ্য দিয়ে গ্রামীণ কর্মস্থল ছেড়ে চিকিৎসকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গ্রামের জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করছে। এ বিষয়ে যদি প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে হয়, তাহলে প্রশ্ন ওঠে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাজ কী? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন তেমন নেই। নবনিযুক্ত চিকিৎসকদের নিজ জেলায় কর্মস্থল নির্দিষ্ট করেও তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে অপারগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ অপারগতার সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির যোগসূত্রও রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে খতিয়ে দেখতে হবে, কেন তাঁর আগের নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি। তদারককারীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে কর্মস্থলে না থাকা চিকিৎসকদের বেতন ও পদোন্নতি বন্ধের নির্দেশও কার্যকর হবে না।
No comments