নরসিংদী পৌর উপনির্বাচন-লোকমানের ছোট ভাই পেলেন আওয়ামী লীগের সমর্থন
নরসিংদী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের ছোট ভাই কামরুজ্জামান। গত সোমবার রাতে নরসিংদীর পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কমিটির সদস্যরা দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি কামরুজ্জামানকে সমর্থন জানান। নরসিংদী সদর আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম এবং মনোনয়ন কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কমিটি আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে কামরুজ্জামানকে পৌর মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে সমর্থনের ঘোষণা দিতে পারে।
মনোনয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, পৌর মেয়র পদে উপনির্বাচনে সাতজন আওয়ামী লীগের সমর্থন চান। তাঁরা হলেন: নিহত লোকমানের ছোট ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি কামরুজ্জামান, লোকমান হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সদস্য আসাদুজ্জামান খোকন, শহর আওয়ামী লীগের সদস্য আমজাদ হোসেন ভূঁইয়া, সুইডেন শাখা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও আওয়ামী লীগের নেতা আফজাল হোসেন। কিন্তু মনোনয়ন কমিটির সদস্যরা প্রার্থী নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চান।
গত সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মনোনয়ন কমিটির সদস্যরা। সেখানে ১২ সদস্যের মনোনয়ন কমিটির ১০ জন ও সাংসদ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন কমিটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নরসিংদীর সার্বিক পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে নিহত মেয়র লোকমানের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং লোকমানের মাকে প্রধানমন্ত্রীর সালাম পৌঁছে দিতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে মনোনয়ন কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বলেছেন, “যেহেতু মেয়র লোকমানের মা (মাজেদা বেগম) মেজ ছেলে কামরুজ্জামানকে পরিবারের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন, সেখানে অন্য কাউকে সমর্থন দিয়ে আপনারা দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবেন না।” ওনার ঘোষণাই আমাদের দলের ঘোষণা।’
একই ধরনের কথা বলেন সদর আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নরসিংদীবাসীর আবেগকে সভানেত্রী মূল্যায়ন করে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। নরসিংদীর সব নেতা দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই তাঁরা মাঠে নামবেন।’
যোগাযোগ করলে মেয়র পদের প্রার্থী কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমি এখনো দলীয় সমর্থনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাইনি। শুনেছি, দল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। দলের সম্মান রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল: জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র জানায়, মেয়র পদের উপনির্বাচনে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। গতকাল মঙ্গলবার যাচাই-বাছাই শেষে নয়জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বাতিল করা হয় আওয়ামী লীগের নেতা মোন্তাজ, হাবিবুর ও আমজাদ হোসেন ভূঁইয়ার মনোনয়নপত্র। এর মধ্যে স্বাক্ষর না থাকায় মোন্তাজ, ঋণখেলাপি হওয়ায় আমজাদ এবং ঋণ পরিশোধের প্রত্যয়নপত্র নির্ধারিত সময়ে জমা না দেওয়ায় হাবিবুরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আমজাদ ও হাবিবুর।
মনোনয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, পৌর মেয়র পদে উপনির্বাচনে সাতজন আওয়ামী লীগের সমর্থন চান। তাঁরা হলেন: নিহত লোকমানের ছোট ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি কামরুজ্জামান, লোকমান হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সদস্য আসাদুজ্জামান খোকন, শহর আওয়ামী লীগের সদস্য আমজাদ হোসেন ভূঁইয়া, সুইডেন শাখা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও আওয়ামী লীগের নেতা আফজাল হোসেন। কিন্তু মনোনয়ন কমিটির সদস্যরা প্রার্থী নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চান।
গত সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মনোনয়ন কমিটির সদস্যরা। সেখানে ১২ সদস্যের মনোনয়ন কমিটির ১০ জন ও সাংসদ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন কমিটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নরসিংদীর সার্বিক পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে নিহত মেয়র লোকমানের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং লোকমানের মাকে প্রধানমন্ত্রীর সালাম পৌঁছে দিতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে মনোনয়ন কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বলেছেন, “যেহেতু মেয়র লোকমানের মা (মাজেদা বেগম) মেজ ছেলে কামরুজ্জামানকে পরিবারের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন, সেখানে অন্য কাউকে সমর্থন দিয়ে আপনারা দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবেন না।” ওনার ঘোষণাই আমাদের দলের ঘোষণা।’
একই ধরনের কথা বলেন সদর আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নরসিংদীবাসীর আবেগকে সভানেত্রী মূল্যায়ন করে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। নরসিংদীর সব নেতা দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই তাঁরা মাঠে নামবেন।’
যোগাযোগ করলে মেয়র পদের প্রার্থী কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমি এখনো দলীয় সমর্থনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাইনি। শুনেছি, দল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। দলের সম্মান রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল: জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র জানায়, মেয়র পদের উপনির্বাচনে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। গতকাল মঙ্গলবার যাচাই-বাছাই শেষে নয়জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বাতিল করা হয় আওয়ামী লীগের নেতা মোন্তাজ, হাবিবুর ও আমজাদ হোসেন ভূঁইয়ার মনোনয়নপত্র। এর মধ্যে স্বাক্ষর না থাকায় মোন্তাজ, ঋণখেলাপি হওয়ায় আমজাদ এবং ঋণ পরিশোধের প্রত্যয়নপত্র নির্ধারিত সময়ে জমা না দেওয়ায় হাবিবুরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আমজাদ ও হাবিবুর।
No comments