বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি, আহত ৯-উজিরপুরে ব্যবসায়ী হত্যা, পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় মুঠোফোনের ফ্লেক্সিলোড ও মুদি ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সমাদ্দারকে (২৫) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কুড়ালিয়া বাজারে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে স্বপনকে গুরুতর অবস্থায় পাওয়া যায়। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে স্বপনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে পুলিশ সহযোগিতা করেছে অভিযোগ করে ক্ষুব্ধ গ্রা মবাসী গতকাল ওই পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে পুলিশ সহযোগিতা করেছে অভিযোগ করে ক্ষুব্ধ গ্রা মবাসী গতকাল ওই পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে
বিক্ষোভ মিছিল করে। পুলিশ লোকজনের ওপর গুলি চালালে আহত হয় নারী, শিশুসহ নয়জন। এর মধ্যে চারজনকে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বপন ব্যবসার পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীতে পড়তেন।
কুড়ালিয়া বাজারের ব্যবসায়ী শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে কেউ একজন স্বপনের নাম ধরে ডাকে। আমরা ভেবেছিলাম, কেউ হয়তো ফ্লেক্সিলোড করতে এসেছে। ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে স্থানীয় জেলে অরুণ সমাদ্দার স্বপনকে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে পুকুর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে বাজারে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে স্বপনের মৃত্যু হয়।’
স্বপনের ছোট ভাই তপন কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘সারের ডিলারশিপ নিয়ে স্থানীয় অমল মণ্ডলের সঙ্গে স্বপনের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। ১০ দিন আগে স্বপনকে মারতে চেয়েছিলেন অমল। অমল ও তাঁর এক শ্যালক আমার ভাইকে হত্যা করেছে। ভাই মৃত্যুর আগে আমাদের বলে গেছে, অমলই তাঁকে মেরেছে।’
একই কথা বলেন স্বপনের প্রতিবেশী মনিকা হালদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, স্বপনের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ-শিশু কুড়ালিয়া বাজারে জড়ো হয়। সকাল ১০টা বাজলেও ফাঁড়ির পুলিশ খোঁজ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে লোকজন। তারা পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করার অভিযোগ তোলে এবং তাদের গালাগাল করে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী মিছিল নিয়ে কুড়ালিয়া বাজারের দিকে আসতে থাকে। এ সময় ফাঁড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে পুলিশ। মুহূর্তে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয় নয়জন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী পুলিশ ফাঁড়ির দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘেরাও করে অমল মণ্ডলের বাড়ি।
স্বপনের বাবা হরলাল সমাদ্দার বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত থাহে না। হ্যার পরও পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কীভাবে হত্যা করা হলো? পুলিশ কিছু জানে না, এডা হইতে পারে না।’
জনপ্রতিনিধিরা যা বললেন: উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় নারীরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে পুলিশ তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুরুতর চারজনকে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উর্মিলা বাড়ৈ বলেন, ‘এলাকায় একজন ভালো ছেলে হিসেবে স্বপনের পরিচিত ছিল। তাঁর হত্যাকাণ্ড আমাদের হতবাক করেছে।’
উর্মিলা বাড়ৈ বলেন, স্বপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ভাই তপন উজিরপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।
পুলিশের বক্তব্য: কুড়ালিয়া ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, ‘রাতের ঘটনা আমরা কিছুই বলতে পারব না। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার দিকে এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশ ক্যাম্পের চারদিক ঘিরে ফেলে। তখন আত্মরক্ষার্থে ২১টি ফাঁকা গুলি চালাই। এতে গ্রামবাসী কেউ আহত হয়েছে কি না, জানি না। তবে আমাদের সাতজন আহত হয়েছে।’
পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্বপনকে হত্যার অভিযোগে অমল মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে স্বপনের লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুড়ালিয়া বাজার ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা হবে।’
স্বপন ব্যবসার পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীতে পড়তেন।
কুড়ালিয়া বাজারের ব্যবসায়ী শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে কেউ একজন স্বপনের নাম ধরে ডাকে। আমরা ভেবেছিলাম, কেউ হয়তো ফ্লেক্সিলোড করতে এসেছে। ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে স্থানীয় জেলে অরুণ সমাদ্দার স্বপনকে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে পুকুর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে বাজারে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে স্বপনের মৃত্যু হয়।’
স্বপনের ছোট ভাই তপন কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘সারের ডিলারশিপ নিয়ে স্থানীয় অমল মণ্ডলের সঙ্গে স্বপনের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। ১০ দিন আগে স্বপনকে মারতে চেয়েছিলেন অমল। অমল ও তাঁর এক শ্যালক আমার ভাইকে হত্যা করেছে। ভাই মৃত্যুর আগে আমাদের বলে গেছে, অমলই তাঁকে মেরেছে।’
একই কথা বলেন স্বপনের প্রতিবেশী মনিকা হালদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, স্বপনের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ-শিশু কুড়ালিয়া বাজারে জড়ো হয়। সকাল ১০টা বাজলেও ফাঁড়ির পুলিশ খোঁজ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে লোকজন। তারা পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করার অভিযোগ তোলে এবং তাদের গালাগাল করে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী মিছিল নিয়ে কুড়ালিয়া বাজারের দিকে আসতে থাকে। এ সময় ফাঁড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে পুলিশ। মুহূর্তে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয় নয়জন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী পুলিশ ফাঁড়ির দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘেরাও করে অমল মণ্ডলের বাড়ি।
স্বপনের বাবা হরলাল সমাদ্দার বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত থাহে না। হ্যার পরও পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কীভাবে হত্যা করা হলো? পুলিশ কিছু জানে না, এডা হইতে পারে না।’
জনপ্রতিনিধিরা যা বললেন: উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় নারীরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে পুলিশ তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুরুতর চারজনকে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উর্মিলা বাড়ৈ বলেন, ‘এলাকায় একজন ভালো ছেলে হিসেবে স্বপনের পরিচিত ছিল। তাঁর হত্যাকাণ্ড আমাদের হতবাক করেছে।’
উর্মিলা বাড়ৈ বলেন, স্বপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ভাই তপন উজিরপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।
পুলিশের বক্তব্য: কুড়ালিয়া ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, ‘রাতের ঘটনা আমরা কিছুই বলতে পারব না। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার দিকে এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশ ক্যাম্পের চারদিক ঘিরে ফেলে। তখন আত্মরক্ষার্থে ২১টি ফাঁকা গুলি চালাই। এতে গ্রামবাসী কেউ আহত হয়েছে কি না, জানি না। তবে আমাদের সাতজন আহত হয়েছে।’
পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্বপনকে হত্যার অভিযোগে অমল মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে স্বপনের লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুড়ালিয়া বাজার ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা হবে।’
No comments