ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১২-দেশ ও গণিতের জয়গান
চার অঙ্কের সবচেয়ে সুন্দর সংখ্যা কোনটি?’ এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা সমস্বরে বলে উঠল, ‘১৯৭১’। উপস্থাপক বললেন, ‘দেশের জয়গান করতে করতে আমরা বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা বয়ে নিয়ে যাব আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের আসর, আর্জেন্টিনায়।’ বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে এভাবেই দেশপ্রেমসিক্ত আত্মপ্রত্যয় ব্যক্ত করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১২-এর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পর্বে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
গণিতকে সামনে রেখে তারা দেশ গড়ার পাশাপাশি নিজেদের বদলানোর শপথ নেয়। নগরের সেন্ট প্লাসিড উচ্চবিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ‘গণিত শেখো স্বপ্ন দেখো’—এই স্লোগান নিয়ে উৎসব শুরু হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯১৪ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। গণিত ও দেশ নিয়ে নানা প্রশ্ন, পরীক্ষা, গান কবিতা ও কথামালায় জমজমাট উৎসবটির আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। ব্যবস্থাপনায় ছিল দৈনিক প্রথম আলো। এতে সহযোগিতা করে প্রথম আলো বন্ধুসভা, চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক গণিত উৎসব থেকে এবার মোট ৯০ জন প্রতিযোগী পেয়েছে ঢাকার মূল পর্বের টিকিট।
দিনব্যাপী উৎসবের সূচনা হয় জাতীয়, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেন্ট প্লাসিড স্কুলের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার প্লাসিডস প্রদীপ গোমেজ। গণিত অলিম্পিয়াড আন্তর্জাতিক পতাকা উত্তোলন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ভূমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম এবং গণিত অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধান ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মাহমুদ আকতার।
বক্তব্য দেন এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি মুসা ইব্রাহীম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক নীলরতন ভট্টাচার্য, প্রথম আলোর আবাসিক সম্পাদক আবুল মোমেন, সহযোগী সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান ও একাডেমিক কাউন্সিলর তামিম শাহরিয়ার।
সকালে সোয়া এক ঘণ্টার পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা মেতে ওঠে গণিত নিয়ে তাদের নানা জিজ্ঞাসায়। ‘আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বিপরীত চিত্র দেখি কেন?’, ‘চোখ ট্যারা করে দেখার সময় দ্বৈতছবি দেখি কেন?’ —শিক্ষার্থীদের এ রকম নানা প্রশ্নে ব্যতিব্যস্ত ছিলেন বিশেষজ্ঞরাও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে সবাই সমস্বরে শপথ নেয়—মিথ্যা, মুখস্থ ও মাদককে না বলার।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গণিতের মাধ্যমে নিজেদের চিন্তাভাবনার জগৎকে শাণিত করতে হবে।’
আবুল মোমেন বলেন, ‘গণিতভীতি দূর করতে হবে। আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়তে হলে গণিত ও বিজ্ঞানকে জানতে হবে।’
ব্রাদার প্লাসিড প্রদীপ গোমেজ বলেন, গণিত উৎসবের মধ্য দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভাববিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সৈয়দ মাহমুদ আকতার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরাই আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যেকোনো সৃজনশীল কাজে সব সময় পাশে থাকবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।’
বিভিন্ন পর্বে বন্ধুসভা চট্টগ্রামের সদস্যরা গান ও মূকাভিনয় প্রদর্শন করে। এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারী’। মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নেওয়া নারীদের কর্মযজ্ঞ নিয়ে বিশেষ দেয়াল পত্রিকা ও আলোকচিত্র বের করেছে চট্টগ্রামের প্রথম আলো বন্ধুসভা।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক গণিত উৎসব থেকে এবার মোট ৯০ জন প্রতিযোগী পেয়েছে ঢাকার মূল পর্বের টিকিট।
দিনব্যাপী উৎসবের সূচনা হয় জাতীয়, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেন্ট প্লাসিড স্কুলের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার প্লাসিডস প্রদীপ গোমেজ। গণিত অলিম্পিয়াড আন্তর্জাতিক পতাকা উত্তোলন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ভূমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম এবং গণিত অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধান ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মাহমুদ আকতার।
বক্তব্য দেন এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি মুসা ইব্রাহীম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক নীলরতন ভট্টাচার্য, প্রথম আলোর আবাসিক সম্পাদক আবুল মোমেন, সহযোগী সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান ও একাডেমিক কাউন্সিলর তামিম শাহরিয়ার।
সকালে সোয়া এক ঘণ্টার পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা মেতে ওঠে গণিত নিয়ে তাদের নানা জিজ্ঞাসায়। ‘আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বিপরীত চিত্র দেখি কেন?’, ‘চোখ ট্যারা করে দেখার সময় দ্বৈতছবি দেখি কেন?’ —শিক্ষার্থীদের এ রকম নানা প্রশ্নে ব্যতিব্যস্ত ছিলেন বিশেষজ্ঞরাও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে সবাই সমস্বরে শপথ নেয়—মিথ্যা, মুখস্থ ও মাদককে না বলার।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গণিতের মাধ্যমে নিজেদের চিন্তাভাবনার জগৎকে শাণিত করতে হবে।’
আবুল মোমেন বলেন, ‘গণিতভীতি দূর করতে হবে। আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়তে হলে গণিত ও বিজ্ঞানকে জানতে হবে।’
ব্রাদার প্লাসিড প্রদীপ গোমেজ বলেন, গণিত উৎসবের মধ্য দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভাববিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সৈয়দ মাহমুদ আকতার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরাই আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যেকোনো সৃজনশীল কাজে সব সময় পাশে থাকবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।’
বিভিন্ন পর্বে বন্ধুসভা চট্টগ্রামের সদস্যরা গান ও মূকাভিনয় প্রদর্শন করে। এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারী’। মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নেওয়া নারীদের কর্মযজ্ঞ নিয়ে বিশেষ দেয়াল পত্রিকা ও আলোকচিত্র বের করেছে চট্টগ্রামের প্রথম আলো বন্ধুসভা।
No comments