যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে যুবমঞ্চ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে গঠিত ৭টি প্রগতিশীল যুব সংগঠনের জোট 'যুব সংগ্রাম পরিষদ'। এ লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে স্থাপিত হয়েছে যুব সংগ্রাম পরিষদের যুবমঞ্চ। মঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গত তিন


বছরে যতটা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ততটা এগোয়নি। এ কারণে দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনগুলো একসঙ্গে মাঠে নামছে এ বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় সব ষড়যন্ত্রকারীকে প্রতিরোধ করার পর্ব শুরু হলো যুব সংগ্রাম পরিষদের রাজপথে নামার মধ্য দিয়ে।
যুবমঞ্চের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর আগে যুব সংগ্রাম পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ৭ সংগঠনের নেতারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বিচারের রায় বাস্তবায়নে হাতে হাত রেখে শপথ নেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা এ মঞ্চের কার্যক্রম চলবে।
যুবমঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী নাজমা আক্তার, যুবমৈত্রীর সভাপতি মোস্তফা আলমগীর রতন, জাতীয় যুব ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সেলিম, যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, জাতীয় যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুসাহিদ আহমেদ এবং জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন। এ ছাড়া উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নুরন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, অপু উকিল এমপিসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিক ও আত্মিক মিত্র হিসেবে খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এ কারণেই সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত করার জন্যই যুব সংগ্রাম পরিষদ রাজপথে নামল।
মির্জা আজম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় খালেদায় জিয়া এখন ককটেল হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি রাজধানীতে ককটেল সন্ত্রাস করেছেন।
আলোচানা অনুষ্ঠানের পর যুবমঞ্চে দেশাত্মবোধক গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে যুবমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

No comments

Powered by Blogger.