কারাগারে ৩২ শতাংশ বন্দী মাদক মামলার আসামি! by একরামুল হক ও প্রণব বল
চট্টগ্রাম কারাগারে আটক বন্দীদের প্রায় ৩২ শতাংশই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার আসামি। কারাগারটিতে বর্তমানে প্রায় চার হাজার ৭০০ বন্দী আছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজারই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার আসামি। কারাগার সূত্র জানায়, হত্যা, ছিনতাই ও চুরির মতো অপরাধের অভিযোগে করা মামলার অনেক আসামি আছে, যারা মাদকের টাকা জোগাড়ের জন্য এসব অপরাধ করেছে। এরা ওই ৩২ শতাংশের হিসাবের বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগীর মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রতিদিন গড়ে ১২-১৩ জন আসামি কারাগারে আসছে। একইভাবে আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রায় একইসংখ্যক বন্দী বেরিয়ে যাচ্ছে।
চার বছর ধরে চট্টগ্রাম কারাগারে মাদকসেবীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, চার বছর আগে গড়ে ১০-১২ জন মাদকাসক্ত বন্দীকে চিকিৎসা দিতে হতো। চার বছরের ব্যবধানে এ হার অনেক বেড়েছে, যা উদ্বেগের বিষয়।
সূত্র জানায়, গত ১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা ও নগর পুলিশ মাদক মামলায় ৩৬৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ ছিল ৫৯ জন। তাদেরকে কারা হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত ২ নভেম্বর বুধবারও কারাগারের হাসপাতালে ১৫ মাদকাসক্ত বন্দী চিকিৎসাধীন ছিল। কারাগারে আটক মাদকাসক্তদের মধ্যে ১৬৭ জন আছে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে।
নথিপত্রে দেখা যায়, চট্টগ্রাম কারাগারে আটক মাদকাসক্তের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের বেশির ভাগ নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবারের।
চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘খিঁচুনি দিয়ে পড়ে যাওয়া, পাতলা পায়খানা হওয়া, মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া, শ্বাসকষ্ট, নিম্ন রক্তচাপ, এমনকি অজ্ঞান হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায় মাদকাসক্তদের মধ্যে। অক্টোবরেই আমরা এ রকম ৫৯ রোগী পেয়েছি, যাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসাধীন প্রতিটি রোগীর সেরে উঠতে দুই থেকে পাঁচ সপ্তাহ লাগছে।’
কারাগার সূত্র জানায়, হাসপাতালে মোটামুটি সুস্থ হয়ে ওঠার পর মাদকাসক্তদের আলাদা একটি ওয়ার্ডে রাখা হয়। ওই ওয়ার্ডে গত সপ্তাহে প্রায় ৭১ জন বন্দী ছিল। আরেকটি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে ৫২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে। এদের ওপর কড়া নজর রাখতে হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। কারণ, আদালতে যাতায়াতের সুযোগে এরা মাদক নিয়ে আসার চেষ্টা চালায়। শরীর তল্লাশি করে তাদের একাধিক জনের কাছে মাদকও পাওয়া গেছে।
মাদকাসক্ত বন্দীদের অদ্ভুত সব আচরণ নিয়ে হিমশিম খেতে হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। জ্যেষ্ঠ কারা সুপার ছগীর মিয়া বলেন, নেশার ঘোরে তারা নিজেদের রাজা-বাদশা কিংবা মন্ত্রী-এমপি দাবি করে হম্বিতম্বি শুরু করে। এদের সামাল দেওয়া কঠিন।
চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘একাধিক ধরণের মাদক নেয় এমন আসক্তদের চিকিৎসা নিয়ে আমরা শঙ্কিত থাকি। কারণ, তাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি হয়। এমন জটিল রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেলেও পাঠাতে হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে মাদকাসক্তদের মধ্যে দুই বা ততোধিক ধরনের মাদকসেবীর সংখ্যা ১০ শতাংশের মতো। যেমন—একজন মাদকাসক্ত গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও মদ সবই সেবন করে। এ ধরনের আসক্তের চিকিৎসাও ব্যয়বহুল।
সম্প্রতি কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হলে কথা হয় পাহাড়তলীর মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বেলালের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, প্রতিদিন তিনি ইনজেকশন, হেরোইন ও ইয়াবা সেবন করতেন। এতে তাঁর দৈনিক খরচ হতো প্রায় দুই হাজার টাকা। প্রতিদিন এত টাকা কোথায় পেতেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাদক বেচে আমার দৈনিক আয় হতো ছয় হাজার টাকার বেশি।’ কাদের কাছ থেকে মাদকের সরবরাহ পেতেন—জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি তিনি।
বেলাল এ পর্যন্ত অন্তত ছয়বার গ্রেপ্তার হয়েছেন। চট্টগ্রাম কারাগারে সর্বোচ্চ সাড়ে চার মাস এবং সর্বনিম্ন দেড় মাস একটানা কারাভোগ করেন তিনি। তাঁকেও কারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তাঁর মামলা চালায় কে—জানতে চাইলে বেলাল বলেন, ‘আমার পুরোনো আইনজীবী আছেন। উনি আরও অনেকের মামলা চালান।’
কারা সূত্র জানায়, বন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক মাদকসেবী আবুল কালাম (৫৭)। তাঁর প্রতিদিন ২০০ টাকার বাংলা মদ, একটি ইয়াবা ও ২০ টাকার গাঁজার প্রয়োজন হতো। গ্রেপ্তারের পর গত ২১ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। সবচেয়ে কম বয়সের মাদকসেবীর নাম মনির (১৬)। সে ভবঘুরে।
চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোগীর ব্যবস্থাপত্র লেখার সময় কেইস হিস্ট্রি (বৃত্তান্ত) নিতে হয়। তা থেকে দেখা যায়, মাদকাসক্তদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মন্দ লোকের সংস্পর্শে এসে মাদক নিয়েছে। তবে হতাশা থেকে মাদক গ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি। এই হার ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ হতে পারে বলে জানান তিনি। পারিবারিক কলহ, বিশেষ করে মা-বাবার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, এমন পরিবারের সন্তানদের মধ্যেও মাদক সেবনের রয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার হয়ে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আবদুস সালাম (৪৮)। তিনি চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, খারাপ বন্ধুদের প্ররোচনায় সাত বছর আগে নেশা ধরেন তিনি। এখন তাঁর প্রতিদিন গড়ে ৩০০ টাকার হেরোইন ও ৩০ টাকার গাঁজা লাগে। সালামের মাদকের টাকা জোগাড় হয় রিকশা চালিয়ে। এর আগেও সালাম দুই দফায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। একবার টানা এক বছর কারাবন্দী ছিলেন।
নগরের এনায়েত বাজারের সুরুজ হতাশা থেকে মাদক সেবন করছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি হতাশার কারণ বলতে চান না। তিনিও কারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ৩১ অক্টোবর আটক হন সুরুজ।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা কারাগারে মাদকসেবীদের নিয়ে কাজ করছে ‘পদক্ষেপ কনসোর্টিয়াম’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। সংস্থাটি সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কারাগারের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কারারক্ষীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
সংস্থার কারিগরি সমন্বয়ক মির্জা মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাদক ব্যবহারকারীদের আমরা সরাসরি চিকিৎসা দিই না। তাঁদের চিকিৎসা এবং তাঁদের সঙ্গে আচরণের ব্যাপারে আমরা কারা চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিই।’
চার বছর ধরে চট্টগ্রাম কারাগারে মাদকসেবীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, চার বছর আগে গড়ে ১০-১২ জন মাদকাসক্ত বন্দীকে চিকিৎসা দিতে হতো। চার বছরের ব্যবধানে এ হার অনেক বেড়েছে, যা উদ্বেগের বিষয়।
সূত্র জানায়, গত ১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা ও নগর পুলিশ মাদক মামলায় ৩৬৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ ছিল ৫৯ জন। তাদেরকে কারা হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত ২ নভেম্বর বুধবারও কারাগারের হাসপাতালে ১৫ মাদকাসক্ত বন্দী চিকিৎসাধীন ছিল। কারাগারে আটক মাদকাসক্তদের মধ্যে ১৬৭ জন আছে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে।
নথিপত্রে দেখা যায়, চট্টগ্রাম কারাগারে আটক মাদকাসক্তের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের বেশির ভাগ নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবারের।
চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘খিঁচুনি দিয়ে পড়ে যাওয়া, পাতলা পায়খানা হওয়া, মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া, শ্বাসকষ্ট, নিম্ন রক্তচাপ, এমনকি অজ্ঞান হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায় মাদকাসক্তদের মধ্যে। অক্টোবরেই আমরা এ রকম ৫৯ রোগী পেয়েছি, যাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসাধীন প্রতিটি রোগীর সেরে উঠতে দুই থেকে পাঁচ সপ্তাহ লাগছে।’
কারাগার সূত্র জানায়, হাসপাতালে মোটামুটি সুস্থ হয়ে ওঠার পর মাদকাসক্তদের আলাদা একটি ওয়ার্ডে রাখা হয়। ওই ওয়ার্ডে গত সপ্তাহে প্রায় ৭১ জন বন্দী ছিল। আরেকটি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে ৫২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে। এদের ওপর কড়া নজর রাখতে হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। কারণ, আদালতে যাতায়াতের সুযোগে এরা মাদক নিয়ে আসার চেষ্টা চালায়। শরীর তল্লাশি করে তাদের একাধিক জনের কাছে মাদকও পাওয়া গেছে।
মাদকাসক্ত বন্দীদের অদ্ভুত সব আচরণ নিয়ে হিমশিম খেতে হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। জ্যেষ্ঠ কারা সুপার ছগীর মিয়া বলেন, নেশার ঘোরে তারা নিজেদের রাজা-বাদশা কিংবা মন্ত্রী-এমপি দাবি করে হম্বিতম্বি শুরু করে। এদের সামাল দেওয়া কঠিন।
চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘একাধিক ধরণের মাদক নেয় এমন আসক্তদের চিকিৎসা নিয়ে আমরা শঙ্কিত থাকি। কারণ, তাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি হয়। এমন জটিল রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেলেও পাঠাতে হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে মাদকাসক্তদের মধ্যে দুই বা ততোধিক ধরনের মাদকসেবীর সংখ্যা ১০ শতাংশের মতো। যেমন—একজন মাদকাসক্ত গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও মদ সবই সেবন করে। এ ধরনের আসক্তের চিকিৎসাও ব্যয়বহুল।
সম্প্রতি কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হলে কথা হয় পাহাড়তলীর মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বেলালের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, প্রতিদিন তিনি ইনজেকশন, হেরোইন ও ইয়াবা সেবন করতেন। এতে তাঁর দৈনিক খরচ হতো প্রায় দুই হাজার টাকা। প্রতিদিন এত টাকা কোথায় পেতেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাদক বেচে আমার দৈনিক আয় হতো ছয় হাজার টাকার বেশি।’ কাদের কাছ থেকে মাদকের সরবরাহ পেতেন—জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি তিনি।
বেলাল এ পর্যন্ত অন্তত ছয়বার গ্রেপ্তার হয়েছেন। চট্টগ্রাম কারাগারে সর্বোচ্চ সাড়ে চার মাস এবং সর্বনিম্ন দেড় মাস একটানা কারাভোগ করেন তিনি। তাঁকেও কারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তাঁর মামলা চালায় কে—জানতে চাইলে বেলাল বলেন, ‘আমার পুরোনো আইনজীবী আছেন। উনি আরও অনেকের মামলা চালান।’
কারা সূত্র জানায়, বন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক মাদকসেবী আবুল কালাম (৫৭)। তাঁর প্রতিদিন ২০০ টাকার বাংলা মদ, একটি ইয়াবা ও ২০ টাকার গাঁজার প্রয়োজন হতো। গ্রেপ্তারের পর গত ২১ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। সবচেয়ে কম বয়সের মাদকসেবীর নাম মনির (১৬)। সে ভবঘুরে।
চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোগীর ব্যবস্থাপত্র লেখার সময় কেইস হিস্ট্রি (বৃত্তান্ত) নিতে হয়। তা থেকে দেখা যায়, মাদকাসক্তদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মন্দ লোকের সংস্পর্শে এসে মাদক নিয়েছে। তবে হতাশা থেকে মাদক গ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি। এই হার ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ হতে পারে বলে জানান তিনি। পারিবারিক কলহ, বিশেষ করে মা-বাবার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, এমন পরিবারের সন্তানদের মধ্যেও মাদক সেবনের রয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার হয়ে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আবদুস সালাম (৪৮)। তিনি চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, খারাপ বন্ধুদের প্ররোচনায় সাত বছর আগে নেশা ধরেন তিনি। এখন তাঁর প্রতিদিন গড়ে ৩০০ টাকার হেরোইন ও ৩০ টাকার গাঁজা লাগে। সালামের মাদকের টাকা জোগাড় হয় রিকশা চালিয়ে। এর আগেও সালাম দুই দফায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। একবার টানা এক বছর কারাবন্দী ছিলেন।
নগরের এনায়েত বাজারের সুরুজ হতাশা থেকে মাদক সেবন করছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি হতাশার কারণ বলতে চান না। তিনিও কারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ৩১ অক্টোবর আটক হন সুরুজ।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা কারাগারে মাদকসেবীদের নিয়ে কাজ করছে ‘পদক্ষেপ কনসোর্টিয়াম’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। সংস্থাটি সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কারাগারের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কারারক্ষীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
সংস্থার কারিগরি সমন্বয়ক মির্জা মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাদক ব্যবহারকারীদের আমরা সরাসরি চিকিৎসা দিই না। তাঁদের চিকিৎসা এবং তাঁদের সঙ্গে আচরণের ব্যাপারে আমরা কারা চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিই।’
No comments