গল্প অন্তরালঃ বাসায় যেতাম ছেলেকে দেখতে-রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে রয়েছে মঞ্জু সরকারের 'অবগুণ্ঠন' উপন্যাস অবলম্বনে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ধারাবাহিক নাটক 'অবগুণ্ঠন'। আজ অন্তরালের গল্প বলেছেন এ নাটকের অভিনেত্রী শাহানা সুমি

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় এর আগেও বেশ কয়েকটি নাটকে কাজ করা হয়েছে। ফলে তাঁর কাজ সম্পর্কে একটা ধারণা আছে আমার। আমাকে ফোন করে জানালেন মঞ্জু সরকারের 'অবগুণ্ঠন' উপন্যাস অবলম্বনে তিনি একটি ধারাবাহিক নির্মাণ করবেন। সেখানে আমাকে মাসুদা চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। আমার শিডিউল মিলে গেল। উপন্যাসটি জোগাড় করে প্রথমে পড়া শুরু করলাম।


তারপর যখন স্ক্রিপ্ট পেলাম, তখন আমার চরিত্রটির ডিটেইল পড়া শুরু করলাম। চরিত্রের বাহ্যিক দিকগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করার একটা চেষ্টা চালাতে লাগলাম। যেমন, মাসুদা একটি কলোনিতে থাকে। আমি শুটিংয়ের আগে একটি কলোনি দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানকার মানুষের জীবনযাপন দেখলাম। যেকোনো নাটকের শুটিং শুরু করার আগে আমি চরিত্রের গেটআপ, মেকআপ ও পোশাক-আশাক_সব বিষয় নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে ডিসকাস করি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, একটি চরিত্রকে নিজের ভেতরে ধারণ করার আগে তার বাইরের রূপটিকে আগে ধারণ করতে হয়। তারপর এমনিতেই ভেতরকার চরিত্রটি বের হয়ে আসে। তারপর পরিচালক, সেট আর অন্যান্য অনুষঙ্গ তো রয়েছেই। সব কিছু ঠিক হলেই একটি চরিত্র জীবন্ত হয়ে ওঠে। গত অক্টোবরে এ নাটকে আমার অংশের শুটিং শুরু হয়। কিছু অংশের শুটিং হয় ধানমণ্ডির চারুলতা শুটিং স্পটে আর কিছু অংশের শুটিং হয় গ্রীন রোডের স্টাফ কোয়ার্টারে। মজার বিষয় হচ্ছে, শুটিং স্পটের কাছেই আমার বাসা। ফলে খুব দ্রুত আমি শুটিং স্পটে চলে আসতে পারতাম। যে সময়টায় আমরা শুটিং করেছি, তখন খুব লোডশেডিং হতো। লোডশেডিং হলে ওই এলাকায় জেনারেটর চালানো যেত না। ফলে শুটিং বন্ধ। আমি এ সুযোগে বাসায় চলে যেতাম ছেলেকে দেখতে। ঘণ্টাখানেক থেকে আবার আসতাম। প্রতিদিন এ রকম দু-তিনবার হতো। মাঝেমধ্যে আমার ছেলেও চলে আসত।

-অনুলিখন : গোলাম রাব্বানী

No comments

Powered by Blogger.