হারে শুরু বাংলাদেশের মিশন by নাজমুল হক
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের মেয়েদের। গুয়াংজুর প্রতিশোধ নিতে নেমে উল্টো ৭৩ রানে হেরে গেছে তারা। ওয়ানডে স্ট্যাটাসধারী পাকিস্তান যোগ্য দল হিসেবেই ম্যাচ জিতেছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রাথমিক বিপর্যয়ের পরও ১৯৭ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। আর এতেই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। কারণ ইদানীং বাংলাদেশ দলের স্কোর ১২০ থেকে ১৩০ ঘরে ঘোরাফেরা করছে।
যদিও গতকাল বাংলাদেশের টপ অর্ডার বেশ আশাজাগানো সূচনা করেছিল; কিন্তু দিন শেষে দেখা গেল, সে বৃত্তেই সালমা বাহিনী, ১২৪ রানে অল আউট।
পাকিস্তান বেশ বড় টার্গেট ছুড়ে দিলেও বাংলাদেশি দুই ওপেনার আয়েশা এবং পান্না বেশ ভালো সূচনা করে জমজমাট লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিশেষ করে আয়েশা আকতার পাক ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে তুলে মেরে তিনটি বাউন্ডারিতে মাঠে উপস্থিত হাজার দুয়েক দর্শককে মাতিয়ে তুলেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই মাথার ওপর দিয়ে মারতে গিয়েই মিডঅনে ধরা পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে দু'বার পাক ফিল্ডারদের বদন্যতায় রক্ষা পান। ১৯ রান করে তিনি ফিরে গেলেও পান্না এবং রুমানা দলকে বেশ ভালোমতোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন; কিন্তু ৫২ রানের মাথায় পান্না আউট হওয়ার হওয়ার পরই শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া। বিশ থেকে ছাবি্বশ_ এ ছয় ওভারের মধ্যে ধসে যায় বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। রুমানা, অধিনায়ক সালমা, শুকতারা, ফারজানা আউট হয়ে গেলে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। খেলা শেষে কোচ বলেছেন, ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছে।
১৯৮ রানের টার্গেট বাংলাদেশের জন্য একটু বড়ই। সালমা বাহিনীর ব্যাটিংয়ের যে শক্তি তাতে এ রান করতে হলে অসাধারণ কিছু করতে হতো। তবে ক্যাচ মিসের কারণেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনাটা খেলার প্রথম ভাগেই নষ্ট হয়ে যায়। ৫৬ রানে ৩ উইকেট পতনের পর চতুর্থ উইকেটে ৭৮ রান যোগ করে পাকিস্তান। এ জুটিই মূলত খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তবে ম্যাচ বের করে নেওয়া এ জুটিটি ভাঙার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে এ জুটি তথা পাকিস্তানের ব্যাটিং যাকে ঘিরে আবর্তিত, সে বিসমাহ মারুফকে শুরুতেই আউট করার খুব ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিল; কিন্তু মিড উইকেটে তার সহজ ক্যাচ হাত গলে বেরিয়ে যায়। ১২ রানের সময় জীবন পাওয়া বিসমাহ শেষ পর্যন্ত রান করেন ৭৯। শুধু বিসমাহ না, আরও দুটি সহজ ক্যাচ ফেলেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এর মধ্যে আছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা কানিতা জলিলের ক্যাচও। এছাড়া মিসের তালিকায় একটি স্টাম্পিংও আছে।
প্রায় এক যুগ আগে ক্রিকেট চর্চা শুরু করা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ পরাজয় হয়তো অস্বাভাবিক না। তবে শীর্ষ ছয়ের টার্গেট নিয়ে এই বাছাইপর্ব খেলতে নামা বাংলাদেশের আসল দুটি খেলা কিন্তু এখনও বাকি। গ্রুপের একটু কম শক্তির জাপান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি বাংলাদেশের টার্গেট। এর মধ্যে আজ জাপানের বিপক্ষে খেলাটিকে তো কোচ মমতা বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, জাপানকে হারিয়ে বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে টিকে থাকবে, নাকি অংশগ্রহণের স্বাদ নিয়েই তুষ্ট থাকবে!
পাকিস্তান বেশ বড় টার্গেট ছুড়ে দিলেও বাংলাদেশি দুই ওপেনার আয়েশা এবং পান্না বেশ ভালো সূচনা করে জমজমাট লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিশেষ করে আয়েশা আকতার পাক ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে তুলে মেরে তিনটি বাউন্ডারিতে মাঠে উপস্থিত হাজার দুয়েক দর্শককে মাতিয়ে তুলেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই মাথার ওপর দিয়ে মারতে গিয়েই মিডঅনে ধরা পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে দু'বার পাক ফিল্ডারদের বদন্যতায় রক্ষা পান। ১৯ রান করে তিনি ফিরে গেলেও পান্না এবং রুমানা দলকে বেশ ভালোমতোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন; কিন্তু ৫২ রানের মাথায় পান্না আউট হওয়ার হওয়ার পরই শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া। বিশ থেকে ছাবি্বশ_ এ ছয় ওভারের মধ্যে ধসে যায় বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। রুমানা, অধিনায়ক সালমা, শুকতারা, ফারজানা আউট হয়ে গেলে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। খেলা শেষে কোচ বলেছেন, ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছে।
১৯৮ রানের টার্গেট বাংলাদেশের জন্য একটু বড়ই। সালমা বাহিনীর ব্যাটিংয়ের যে শক্তি তাতে এ রান করতে হলে অসাধারণ কিছু করতে হতো। তবে ক্যাচ মিসের কারণেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনাটা খেলার প্রথম ভাগেই নষ্ট হয়ে যায়। ৫৬ রানে ৩ উইকেট পতনের পর চতুর্থ উইকেটে ৭৮ রান যোগ করে পাকিস্তান। এ জুটিই মূলত খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তবে ম্যাচ বের করে নেওয়া এ জুটিটি ভাঙার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে এ জুটি তথা পাকিস্তানের ব্যাটিং যাকে ঘিরে আবর্তিত, সে বিসমাহ মারুফকে শুরুতেই আউট করার খুব ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিল; কিন্তু মিড উইকেটে তার সহজ ক্যাচ হাত গলে বেরিয়ে যায়। ১২ রানের সময় জীবন পাওয়া বিসমাহ শেষ পর্যন্ত রান করেন ৭৯। শুধু বিসমাহ না, আরও দুটি সহজ ক্যাচ ফেলেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এর মধ্যে আছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা কানিতা জলিলের ক্যাচও। এছাড়া মিসের তালিকায় একটি স্টাম্পিংও আছে।
প্রায় এক যুগ আগে ক্রিকেট চর্চা শুরু করা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ পরাজয় হয়তো অস্বাভাবিক না। তবে শীর্ষ ছয়ের টার্গেট নিয়ে এই বাছাইপর্ব খেলতে নামা বাংলাদেশের আসল দুটি খেলা কিন্তু এখনও বাকি। গ্রুপের একটু কম শক্তির জাপান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি বাংলাদেশের টার্গেট। এর মধ্যে আজ জাপানের বিপক্ষে খেলাটিকে তো কোচ মমতা বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, জাপানকে হারিয়ে বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে টিকে থাকবে, নাকি অংশগ্রহণের স্বাদ নিয়েই তুষ্ট থাকবে!
No comments