ব্যাংকের হিসাব সংরক্ষণ নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ by ওবায়দুল্লাহ রনি
ব্যাংকগুলোর হিসাব সংরক্ষণ বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নীতিমালার মাধ্যমে ব্যাংকিং আইন, বিধিবিধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার এবং হিসাবায়ন স্ট্যান্ডার্ডের মধ্যে সামঞ্জস্য আনা হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠণ করা হয়েছে। গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শিগগিরই নীতিমালাটি প্রণয়ন করা হবে।
ওই কমিটি আগামী ২১ নভেম্বর প্রথম সভা আহ্বান করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ব্যাংকের হিসাব সংরক্ষণ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো অভিন্ন নীতিমালা নেই। ফলে ব্যাংকগুলো নিজ নিজ পদ্ধতিতে হিসাব সংরক্ষণ করে। এতে তাদের হিসাবায়ন নিয়ে অনেক সময় জটিলতা তৈরি হয়। এটি নিরসনে আইসিএবির পক্ষ থেকে একটি নীতিমালা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইসিএবির সভাপতি পারভীন মাহমুদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে প্রস্তাবটি দেন। বৈঠকে আইসিএবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর বিধিবিধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার সঙ্গে আইএফআরএস ও আইএএসের কিছু অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। এতে ব্যাংকিং খাতের হিসাবায়ন পদ্ধতিতে সমস্যা হচ্ছে। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চাওয়া হয়। ওই বৈঠকেই বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইসিএবির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের বিষয়ে গভর্নর সম্মতি দেন।
এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) মহাব্যবস্থাপককে প্রধান করে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি আগামী ২১ নভেম্বর প্রথম বৈঠকটি করবে। কমিটির বাকি ১১ জনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা রয়েছেন ৬ জন ও আইসিএবির ৫ জন। প্রথম বৈঠকে হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি নীতিমালা তৈরির কার্যপরিধি নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। পরে তারা এসব বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এসব প্রক্রিয়া শেষে নীতিমালার বিষয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন তারা।
সূত্র জানায়, হিসাব পদ্ধতির বিষয়ে নীতিমালা তৈরির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আইসিএবির পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের মান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় উন্নত। তবে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় হিসাবায়ন স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই। তারা বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৩৮ ধারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রথম তফসিল আইএএস ৩০-এর অনুসরণে প্রস্তুতকৃত। যা সাম্প্রতিক কালে প্রবর্তিত আইএফআরএস ৭, আইএএস ৩২ ও ৩৯ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৩৮ ধারাটি হিসাব ও ব্যালেন্সশিট সংক্রান্ত।
এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) মহাব্যবস্থাপককে প্রধান করে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি আগামী ২১ নভেম্বর প্রথম বৈঠকটি করবে। কমিটির বাকি ১১ জনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা রয়েছেন ৬ জন ও আইসিএবির ৫ জন। প্রথম বৈঠকে হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি নীতিমালা তৈরির কার্যপরিধি নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। পরে তারা এসব বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এসব প্রক্রিয়া শেষে নীতিমালার বিষয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন তারা।
সূত্র জানায়, হিসাব পদ্ধতির বিষয়ে নীতিমালা তৈরির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আইসিএবির পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের মান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় উন্নত। তবে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় হিসাবায়ন স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই। তারা বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৩৮ ধারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রথম তফসিল আইএএস ৩০-এর অনুসরণে প্রস্তুতকৃত। যা সাম্প্রতিক কালে প্রবর্তিত আইএফআরএস ৭, আইএএস ৩২ ও ৩৯ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৩৮ ধারাটি হিসাব ও ব্যালেন্সশিট সংক্রান্ত।
No comments