গৌরনদীর মোহন সাহার বাড়ি by নৃপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠি গ্রামে জমিদার মোহনলাল সাহার স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে ১৬০ বছরের পুরনো সিংহমূর্তিখচিত দুর্গা মন্দির ও ভবন। ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ার পরও ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করেছে জমিদার বাড়ির উত্ররসূরিরা।
বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রাচীনতম সিংহমূর্তিখচিত সুবৃহৎ দুর্গা মন্দিরটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগত পর্যবেক্ষক ও ভক্তরা পূজা-অর্চনা করছেন। এতদঞ্চলের মধ্যে এ দুর্গা মন্দিরটি সর্ববৃহৎ হওয়ায় প্রতি বছরই মহাধুমধামের সঙ্গে এ মন্দিরে দুর্গাপূজা হয়ে আসছে।
গৌরনদী উপজেলা সদর থেকে প্রায় এক হাজার ফুট দূরত্বে আড়িয়াল খাঁ নদের প্রশাখা গৌরনদী মীরের হাট নদীর তীরে জমিদার মোহনলাল সাহা এ বাড়িটি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির সামনেই রয়েছে শান বাঁধানো সুবিশাল একটি দীঘি। বর্তমানে প্রাচীনতম ভবন ও মন্দিরটি থাকলেও তাতে নেই কোনো জৌলুস। বাড়ির দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও আগাছার সৃষ্টি হয়ে প্রাচীনতম ভবনের সাক্ষী হিসেবেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাড়ির সামনেই রয়েছে সিংহমূর্তিখচিত মন্দির।
তৎকালে উপমহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ মন্দির হিসেবে এ মন্দিরটিতে ভক্ত-দর্শনার্থীরা পূজা-অর্চনা করতে ভিড় করতেন। কারুকাজ করা ঐতিহাসিক এ মন্দিরের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে ভবনের দেয়ালের আস্তর। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার ও তাদের স্থানীয় সহযোগী রাজাকাররা এ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করে। এক সময় এ বাড়িতে এ অঞ্চলের মানুষের বিনোদনের জন্য যাত্রা, জারি, সারি ও পালাগানের আয়োজন করা হতো। হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় মুখরিত ছিল এ বাড়িটি। আজ তার কিছুই নেই। জমিদার মোহনলাল সাহার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজের মধ্যে অন্যতম সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাড়ির পার্শ্ববর্তী আশোকাঠি নামক স্থানে নির্মিত পালরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। জমিদার বাড়িতে বসবাসকারী জমিদারের উত্তরসূরিরা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী একটি মহল জমিদার বাড়িটি দখল করে আত্মসাতের যড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা সরকারি উদ্যোগে ইতিহাস-ঐতিহ্যসমৃদ্ধ এ জমিদার বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণ করার দাবি জানিয়েছেন। রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জমিদার বাড়িটি হতে পারে একটি পর্যটন কেন্দ্র।
খালিয়া, মাদারীপুর
গৌরনদী উপজেলা সদর থেকে প্রায় এক হাজার ফুট দূরত্বে আড়িয়াল খাঁ নদের প্রশাখা গৌরনদী মীরের হাট নদীর তীরে জমিদার মোহনলাল সাহা এ বাড়িটি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির সামনেই রয়েছে শান বাঁধানো সুবিশাল একটি দীঘি। বর্তমানে প্রাচীনতম ভবন ও মন্দিরটি থাকলেও তাতে নেই কোনো জৌলুস। বাড়ির দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও আগাছার সৃষ্টি হয়ে প্রাচীনতম ভবনের সাক্ষী হিসেবেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাড়ির সামনেই রয়েছে সিংহমূর্তিখচিত মন্দির।
তৎকালে উপমহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ মন্দির হিসেবে এ মন্দিরটিতে ভক্ত-দর্শনার্থীরা পূজা-অর্চনা করতে ভিড় করতেন। কারুকাজ করা ঐতিহাসিক এ মন্দিরের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে ভবনের দেয়ালের আস্তর। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার ও তাদের স্থানীয় সহযোগী রাজাকাররা এ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করে। এক সময় এ বাড়িতে এ অঞ্চলের মানুষের বিনোদনের জন্য যাত্রা, জারি, সারি ও পালাগানের আয়োজন করা হতো। হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় মুখরিত ছিল এ বাড়িটি। আজ তার কিছুই নেই। জমিদার মোহনলাল সাহার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজের মধ্যে অন্যতম সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাড়ির পার্শ্ববর্তী আশোকাঠি নামক স্থানে নির্মিত পালরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। জমিদার বাড়িতে বসবাসকারী জমিদারের উত্তরসূরিরা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী একটি মহল জমিদার বাড়িটি দখল করে আত্মসাতের যড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা সরকারি উদ্যোগে ইতিহাস-ঐতিহ্যসমৃদ্ধ এ জমিদার বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণ করার দাবি জানিয়েছেন। রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জমিদার বাড়িটি হতে পারে একটি পর্যটন কেন্দ্র।
খালিয়া, মাদারীপুর
No comments