পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে রূপান্তরিত হচ্ছে বর্ধমান হাউস by এসএম মুন্না
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঐতিহ্যবাহী বর্ধমান হাউসে ভাষা আন্দোলন এবং জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর স্থাপন করার পর এবার পুরো ভবনটিকে রূপান্তর করা হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে। বাংলা একাডেমীর কার্যক্রম বর্তমানে এ বর্ধমান হাউস থেকে পরিচালিত হলেও আগামী ডিসেম্বরে নতুন ভবনে তা স্থানান্তরের পরপরই ভবনটি জাদুঘরের মর্যাদা পাবে।
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান সমকালকে বলেন, ঐতিহ্যবাহী ভবনটিকে জাদুঘরে রূপান্তরের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান সমকালকে বলেন, ঐতিহ্যবাহী ভবনটিকে জাদুঘরে রূপান্তরের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বর্ধমান হাউসের অন্যান্য কার্যক্রম নতুন ভবনে স্থানান্তর করার পরই পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে। আসন্ন বইমেলার আগেই এর কাজ সম্পন্ন হবে।
তিনি আরও বলেন, ভবনটিকে জাদুঘরে রূপ দিতে পারলে তা হবে বড় ধরনের কাজ। জাদুঘরে ম্যাপের মাধ্যমে বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ তুলে ধরা হবে। যাতে দর্শনার্থীরা সহজেই বুঝতে পারেন তাদের প্রাণের ভাষার বিকাশ কীভাবে ঘটেছে।
বর্ধমান হাউস ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলোর একটি। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময়ে নির্মিত হয় বর্ধমান হাউস। কলকাতার বর্ধমানের রাজারা এক সময় এখানে বসবাস করতেন। ভবনটি তখন ছিল দোতলাবিশিষ্ট। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এটি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তাদের অতিথিশালারূপে ব্যবহার করা হতো। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ১৯৫২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এটি ছিল পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন। পরে এটি তৃতীয় তলায় রূপ পায়। বিভিন্ন সংস্থার কার্যালয়ের পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে এ ভবন থেকে বাংলা একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমীর জন্য অষ্টম তলাবিশিষ্ট নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর থেকে ভবনটিকে নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান হাউসের দ্বিতীয় তলায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ভবনটির নিচতলায় প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একাডেমীর জন্য নির্মিত ভবনে কার্যক্রম স্থানান্তরের জটিলতার কারণে বর্ধমান হাউসকে এতদিন পরিপূর্ণ জাদুঘরের রূপ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি নামেমাত্র দুটি ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাদুঘরের উদ্বোধন করলেও তার কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে। এখনও ভবনটিতে বাংলা একাডেমীর লাইব্রেরি, সংকলন, ফোকলোর ও কম্পিউটার ট্রেনিং প্রোগ্রামের কার্যক্রম রয়েছে। ডিসেম্বরে নতুন ভবনে স্থানান্তর হচ্ছে একাডেমীর কার্যক্রম। তখন জাদুঘরের জন্য ভবনটিকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
দেশের সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভবনটির নিচতলায় থাকছে জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর। এরই মধ্যে জাদুঘরটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের স্মৃতিবিজড়িত নানা স্মারক স্থান পেয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে তাদের হাতের লেখা, ব্যবহৃত জিনিসপত্র, পা ুলিপিসহ বিভিন্ন দুর্লভ স্মারক। এ ছাড়াও বিশিষ্টজনদের তৈলচিত্র ও সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরা হয়েছে এখানে। নারী সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য রয়েছে বেগম রোকেয়া কর্নার। যেখানে তার হাতে লেখা পা ুলিপি, ব্যবহৃত জিনিসপত্র ছাড়াও রয়েছে নানা স্মারক।
পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ভাষা আন্দোলনের জাদুঘরকে আরও সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক দলিলপত্র ছাড়াও ভাষাসংগ্রামীদের অবদান সংক্রান্ত প্রমাণাদি এখানে সংরক্ষিত রয়েছে।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী তৃতীয় তলায় বর্ধমান হাউসে স্থাপন করা হবে বাংলা একাডেমী আর্কাইভস। যেখানে একাডেমী প্রকাশিত বইয়ের তালিকা, একাডেমীতে আসা বিশিষ্টজনদের নামের তালিকা, একাডেমীর প্রধান প্রধান কর্মসূচি, বাংলা একাডেমী ফেলোদের তালিকা, একুশে বইমেলা সংক্রান্ত তথ্য ও ১৯৭৪ সালের সাহিত্য সম্মেলনের তথ্য থাকবে। এ ফ্লোরে বাংলা একাডেমী আর্কাইভসের পাশাপাশি থাকবে লোক-ঐতিহ্য জাদুঘর। বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে এ জাদুঘরে।
বাংলা একাডেমীর উপ-পরিচালক মুর্শিদুদ্দিন আহম্মদ সমকালকে বলেন, বর্ধমান হাউসকে জাদুঘর করার কাজ অনেকটা এগিয়েছে। এরই মধ্যে ভাষা আন্দোলন এবং জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভবনটিকে জাদুঘরে রূপ দিতে পারলে তা হবে বড় ধরনের কাজ। জাদুঘরে ম্যাপের মাধ্যমে বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ তুলে ধরা হবে। যাতে দর্শনার্থীরা সহজেই বুঝতে পারেন তাদের প্রাণের ভাষার বিকাশ কীভাবে ঘটেছে।
বর্ধমান হাউস ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলোর একটি। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময়ে নির্মিত হয় বর্ধমান হাউস। কলকাতার বর্ধমানের রাজারা এক সময় এখানে বসবাস করতেন। ভবনটি তখন ছিল দোতলাবিশিষ্ট। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এটি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তাদের অতিথিশালারূপে ব্যবহার করা হতো। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ১৯৫২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এটি ছিল পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন। পরে এটি তৃতীয় তলায় রূপ পায়। বিভিন্ন সংস্থার কার্যালয়ের পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে এ ভবন থেকে বাংলা একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমীর জন্য অষ্টম তলাবিশিষ্ট নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর থেকে ভবনটিকে নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান হাউসের দ্বিতীয় তলায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ভবনটির নিচতলায় প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একাডেমীর জন্য নির্মিত ভবনে কার্যক্রম স্থানান্তরের জটিলতার কারণে বর্ধমান হাউসকে এতদিন পরিপূর্ণ জাদুঘরের রূপ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি নামেমাত্র দুটি ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাদুঘরের উদ্বোধন করলেও তার কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে। এখনও ভবনটিতে বাংলা একাডেমীর লাইব্রেরি, সংকলন, ফোকলোর ও কম্পিউটার ট্রেনিং প্রোগ্রামের কার্যক্রম রয়েছে। ডিসেম্বরে নতুন ভবনে স্থানান্তর হচ্ছে একাডেমীর কার্যক্রম। তখন জাদুঘরের জন্য ভবনটিকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
দেশের সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভবনটির নিচতলায় থাকছে জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর। এরই মধ্যে জাদুঘরটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের স্মৃতিবিজড়িত নানা স্মারক স্থান পেয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে তাদের হাতের লেখা, ব্যবহৃত জিনিসপত্র, পা ুলিপিসহ বিভিন্ন দুর্লভ স্মারক। এ ছাড়াও বিশিষ্টজনদের তৈলচিত্র ও সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরা হয়েছে এখানে। নারী সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য রয়েছে বেগম রোকেয়া কর্নার। যেখানে তার হাতে লেখা পা ুলিপি, ব্যবহৃত জিনিসপত্র ছাড়াও রয়েছে নানা স্মারক।
পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ভাষা আন্দোলনের জাদুঘরকে আরও সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক দলিলপত্র ছাড়াও ভাষাসংগ্রামীদের অবদান সংক্রান্ত প্রমাণাদি এখানে সংরক্ষিত রয়েছে।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী তৃতীয় তলায় বর্ধমান হাউসে স্থাপন করা হবে বাংলা একাডেমী আর্কাইভস। যেখানে একাডেমী প্রকাশিত বইয়ের তালিকা, একাডেমীতে আসা বিশিষ্টজনদের নামের তালিকা, একাডেমীর প্রধান প্রধান কর্মসূচি, বাংলা একাডেমী ফেলোদের তালিকা, একুশে বইমেলা সংক্রান্ত তথ্য ও ১৯৭৪ সালের সাহিত্য সম্মেলনের তথ্য থাকবে। এ ফ্লোরে বাংলা একাডেমী আর্কাইভসের পাশাপাশি থাকবে লোক-ঐতিহ্য জাদুঘর। বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে এ জাদুঘরে।
বাংলা একাডেমীর উপ-পরিচালক মুর্শিদুদ্দিন আহম্মদ সমকালকে বলেন, বর্ধমান হাউসকে জাদুঘর করার কাজ অনেকটা এগিয়েছে। এরই মধ্যে ভাষা আন্দোলন এবং জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হচ্ছে।
No comments