সাম্প্রতিক-সরকারি দলের অস্তিত্বের লড়াই বনাম বিরোধী দলের ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই! by শাকিল ফারুক
দেশের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। অর্থনীতিবিদরা এ নিয়ে কথা বলতে গেলে তাঁদের কপালে গভীর দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা যাচ্ছে। সামনে তাহলে ভয়ংকর কোনো সময় অপেক্ষা করছে নাকি! মাননীয় অর্থমন্ত্রী অবশ্য এসব নিয়ে বিচলিত নন। অর্থনীতি নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কোথায় তাঁর? তিনি ব্যস্ত সিএনজির দাম আরেক দফা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে।
দেশের সব গ্যাস শেষ হয়ে যাচ্ছে গাড়িতে, তাই তিনি দাম বাড়িয়ে গ্যাস সংরক্ষণের অভিনব উপায় আবিষ্কার করতে চলেছেন। তবে বেরসিক ব্যবসায়ীরা অবশ্য মন্ত্রীর এই আবিষ্কারের নেশাকে মোটেই আমলে নিচ্ছেন না। তাঁরা হুমকি দিয়েছেন, দাম বাড়লে ব্যবসাই বন্ধ করে দেবেন। আর জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্থিরতা শুরু হয়ে গেছে পরিবহন ভাড়া থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারেও।
মেয়র লোকমান খুন হওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গেল। অপরাধীর টিকিটিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ। যাদের নামে মামলা করা হয়েছে, তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। এলাকার সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অভিযুক্তদের নামে সাফাই গেয়ে বেড়াচ্ছেন। লোকমানের বাড়ির বাইরে বোমা পাওয়া যাচ্ছে। তাঁর ঘনিষ্ঠজনকে হত্যার চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রাণ গেল লোকমানের মতো জননেতার। এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলটির প্রতি আস্থা কমে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকনকে নিয়ে যে খেলা শুরু হয়েছে, তা মোটেই কাম্য নয়। এক মামলা থেকে জামিনের পর অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়তো রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে এখনো তেমন কোনো প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে আছে বলে জানা যায়নি।
সার্ক সম্মেলন শেষ হলো। এ সম্মেলনকে সামনে রেখে সরকারের পক্ষ থেকে আবারও তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে আনা হলো। কথাবার্তায় মনে হলো যেন সার্ক সম্মেলন থেকেই চুক্তি করে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। বাস্তবে তা হয়নি। মনমোহনের সঙ্গে আলোচনার পর সেই পুরনো জিনিসটাই পাওয়া গেছে আবারও। জিনিসটা হলো_আশ্বাস। শিগগিরই চুক্তি হবে এমন আশ্বাসের কথা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শুরু থেকে এমন আশ্বাসই কেবল পাওয়া গেছে। তবে এই 'শিগগিরই' ঠিক কবে আসবে তা কেউ জানে না। পাঠকদের নিশ্চয় মনে আছে, কিছুদিন আগে যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ঠিক কবে নাগাদ এই চুক্তি হতে পারে। তিনি বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, তিনি তো জ্যোতিষী নন, ঠিক কবে হবে তা তিনি কী করে বলবেন! যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে চুক্তির কাজটি হবে, সে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীই আছেন ধোঁয়াশায়। তাহলে জনগণের সঙ্গে এই 'শিগগিরই' নিয়ে প্রতারণা কেন?
এমন নানা ইস্যুতে ক্ষমতাসীন দলের ওপর যথেষ্ট বিরক্ত সাধারণ মানুষ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে আরো জমজমাট করে তোলার কৌশল হয়তো হাতে নিয়েছে বিএনপি। এখন আর আগের মতো বিক্ষোভ-সমাবেশ নয়, বিরোধী দল নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য গুছিয়ে নামছে মাঠে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের দুর্বলতা আর ভুলগুলো এখনই শুধরে না নিলে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।
গ্যাস নিয়ে গোলমাল
সাত মাসে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে তিন দফা। ৯ নভেম্বর আরো এক দফা বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। সেদিনই রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মন্ত্রী দাম বাড়ানোর জন্য যেসব কারণ জানাচ্ছেন, এর কোনোটার সঙ্গেই সিএনজির দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া গেল না।
সবচেয়ে বড় বিষয়, জ্বালানি বা গ্যাসের দাম বাড়ানো-কমানোর চিন্তা করার জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয় নামে একটি মন্ত্রণালয় এবং এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন কিছু মানুষ। সেখানে অর্থমন্ত্রীর কেন এত উৎসাহ? অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কি তাঁকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাকি! মন্ত্রীর সিএনজির দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত পেয়ে এরই মধ্যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ মন্ত্রীর এসব সিদ্ধান্ত দেশের ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগকে ফেলবে হুমকির মুখে। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ যানবাহন সিএনজিচালিত। সেটা হওয়ারই কথা, কারণ জ্বালানি তেলের কালো ধোঁয়া থেকে পরিবেশ বাঁচাতেই রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার শুরু হয়। সেই সুবাদে ৯০ শতাংশ গাড়ি সিএনজিতে চলছে সেটা আনন্দের খবর। এ ছাড়া সারা দেশে সিএনজিচালিত পরিবহন আছে আরো দুই লাখ ২০ হাজার। ব্যাপক হারেই ব্যবহৃত হচ্ছে সিএনজি। তাতে কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে না কোনো, উল্টো জ্বালানি তেলের বদলে সিএনজি ব্যবহারের কারণে বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে সরকারের। সেই সঙ্গে গ্যাসও যে খুব বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে তা-ও নয়। দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয় ৯টি খাতে। বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ গ্যাস ব্যয় হয় প্রায় ৪২ শতাংশ। আর সিএনজিতে ব্যবহার হয় মাত্র ৫ শতাংশ। এর পরও একমাত্র এই খাত থেকেই সর্বোচ্চ রাজস্ব পায় সরকার। সিএনজিচালিত পরিবহনের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে আরো নানা ক্ষেত্র। দেশে এখন ৫৮৫টি সিএনজি স্টেশন এবং ১৭০টি কনভারশন ওয়ার্কশপ আছে। পরিবহন এবং এসব প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। সিএনজির দাম বাড়লে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে এই বিশাল বাজারে। লাভজনক একটি খাতে কেন ছড়ানো হয় এই অস্থিরতা। অর্থমন্ত্রী কেন গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফন্দি-ফিকির করছেন?
এবারের আগেরবার যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল তখন শোনা গেল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএম) নির্দেশেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী এ কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন বটে, তবে দাম বাড়ানোর পর পরই আইএমএফের কর্তাদের সঙ্গে আলাপ করতে বিদেশ গিয়েছিলেন তিনি। আমরা এ ঘটনা থেকে কী বুঝব! সিএনজির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে দেশের লাভজনক এবং সম্ভাবনাময় একটি খাতকে ধ্বংস করার কূটকৌশল ছাড়া আর কী কিছু করা হচ্ছে! কার স্বার্থে নেওয়া হচ্ছে এসব অবিবেচক সিদ্ধান্ত? জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কেন এত আগ্রহ? এমন ঘোলাটে বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকা দরকার।
সময় এখন বদলের
মন্ত্রিসভা রদবদলের দাবি জোরদার হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিপরিষদে পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বে থাকা কয়েকজন মন্ত্রী এরই মধ্যে নিজেদের চরম অযোগ্যতা এবং চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁদের পরিবর্তনের দাবিও উঠেছে, সরকার গা করেনি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই বরং মন্ত্রীদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। এবার ক্ষমতাসীন দলের উপদেষ্টামহল থেকেই দাবি উঠেছে, মন্ত্রিসভা পুনর্মূল্যায়নের। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সরকার পরিচালনায় সৃষ্ট সংকট নিরসনে মন্ত্রিসভা পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশের 'একাই এক শ' রাজনীতিতে অবশ্য উপদেষ্টাদের উপদেশ নিয়ে কেউ খুব একটা মাথা ঘামায় বলে মনে হয় না। ধারাবাহিকভাবে অযোগ্যতার পরিচয় দেওয়ার পরও কয়েকজন মন্ত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভদৃষ্টি রয়েছে। এখন উপদেষ্টাদের সুপারিশে সেই দৃষ্টি সরবে কি না কে জানে! যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন তো কেবল প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়ভাজন হওয়ার কারণেই এখনো মন্ত্রিত্বের আসনে। তবে সরকারের কাজে নতুন করে গতি সঞ্চার করতে কিছুটা পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন।
তিস্তা চুক্তি হবে শিগগিরই!
তিস্তা চুক্তি বিষয়ে সরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিথ্যাচার করছে। মিথ্যা স্বপ্ন দেখাচ্ছে দেশের মানুষকে। মনমোহন সিং বাংলাদেশে এলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সরকার নিয়োজিত আমলাদের ব্যর্থতায় তিস্তা চুক্তি আটকে গেল একেবারে শেষ মুহূর্তে। এখন সরকার নিজেদের সেই ব্যর্থতা ঢাকতে শিগগিরই তিস্তা চুক্তির স্বপ্ন দেখাচ্ছে মানুষকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে আটকে যাওয়া চুক্তি নিয়ে মমতা নিজের মত বদলেছেন বলে জানা যায়নি ভারতের গণমাধ্যমগুলোর আদ্যোপান্ত ঘেঁটে। মমতার মমতা ছাড়া এই চুক্তি হবে না। মনমোহনের সফরের পর থেকেই বলা হচ্ছে, চুক্তি হবে। সম্প্রতি সার্ক সম্মেলন নিয়েও মানুষের আগ্রহ বেশি ছিল তিস্তার কারণেই। কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলে গিয়েছিলেন সার্ক সম্মেলনে তিস্তা প্রসঙ্গে আলোচনা হবে। আলোচনা হয়েছে। এবং সেই পুরনো আশ্বাস নিয়েই দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী_শিগগিরই তিস্তা চুক্তি হবে।
এই চুক্তির সাম্প্রতিক অবস্থা জনগণের সামনে খোলাসা করা উচিত সরকারের। তবে পারস্পরিক যে বিশ্বাস তৈরি হবে সরকার ও জনগণের মধ্যে তা দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। কিন্তু কোনো সরকারই এমন করে না। আওয়ামী লীগও করবে না। এই চুক্তি নিয়ে যে লুকোচুরি তারা শুরু করেছে, চুক্তি না হলে এর দায়ভারও বর্তাবে বর্তমান সরকারের ওপরই।
নাটক যখন নরসিংদীতে
রাজনীতি করুন, তবে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যাবে না_এটাই নাকি নরসিংদীর রাজনীতির নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। উদাহরণ হিসেবে লোকমান হোসেনের স্মৃতি এখনো সামনে আছে। ১ নভেম্বর নরসিংদীর দুইবারের মেয়র এবং শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমানকে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবাদে রেলগাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে নরসিংদীতে। প্রাথমিকভাবে বিএনপি-আওয়ামী লীগ দ্বন্দ্ব হিসেবে চিহ্নিত হলেও পরে জানা গেল, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ঘটেছে এই ঘটনা। মামলা হয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ছোট ভাইসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে। এই খুনের দায়ে প্রথমে বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে মামলা করা হলে খোকনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বটে, তবে অন্য মামলায় বন্দি আছেন তিনি। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্যই করা হচ্ছে এসব। সরকার অবশ্য দাবি করেছে, এ বিষয়ে কিছুই জানে না তারা। নিজেদের নেতার মৃত্যুর ঘটনায় সরকার কিছুই করতে পারেনি, কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা আর অব্যাহতি দেওয়া ছাড়া। অভ্যন্তরীণ এসব কোন্দলে নরসিংদীতে জনগণের আস্থা হারাচ্ছে আওয়ামী লীগ। অভিযুক্তদের পক্ষে সাফাই গাইছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হীরু। লোকমানের ঘনিষ্ঠ এস এম কাইয়ুমকে খুনের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে তারা কারা সে কথা বলেনি পুলিশ। যে-ই হোক না কেন, কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কাজ তো কাউকে খুনের চেষ্টা করা নয়। কাইয়ুম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা লোকমান হত্যার বিচারের দাবিতে সোচ্চার একজনকে কেন হত্যার চেষ্টা করবেন? কার স্বার্থে? সরকারের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে নরসিংদীর এই নাটকের অবসান হওয়ার উচিত শিগগিরই।
দলীয় নেতাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে এসব বিশৃঙ্খলা আওয়ামী লীগকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে, সে খবর কি কারো আছে? আর কারো থাকুক বা না থাকুক বিএনপির কিন্তু ঠিকই আছে। সরকার একের পর এক ভুল করে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে বিরোধী দলের হাতে। বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন বেগবান হবে এসব অস্ত্রের বদৌলতে। আওয়ামী লীগ এখন কী করে সেটাই দেখার বিষয়।
shakilfaruq@yahoo.com
No comments