জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল-অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে হবে
জ্বালানি তেলের দাম আবারও লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এদিকে গ্যাসের তথা সিএনজির দামও বাড়ানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এর আগে আইএমএমসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে সরকারের বিশাল ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দিয়েছিল। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তার সঙ্গে সংগতি রেখে গ্যাসের দামও বাড়ানো হবে_এমন একটা সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া আছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডিও বলেছে, ভর্তুকি কমানো এখন সরকারের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কারণ বছরে কেবল জ্বালানি তেল আমদানিতেই সরকারকে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিতে হয়। আবার বিদ্যুৎ খাতে যে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, তাও প্রধানত জ্বালানি তেলের কারণেই দিতে হয়। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রীর এই ইঙ্গিতে সিএনজি বিক্রেতা ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ মাত্র মাসখানেক আগেই সিএনজির দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, জ্বালানি তেল ও সিএনজির দাম আবার বাড়ানো হলে আবারও বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাবে। দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বাড়বে। আর তা জনজীবনে নতুন করে ভোগান্তি বাড়াবে। এসব কারণে দাতা সংস্থাগুলোর অব্যাহত চাপের মুখেও সরকারের নীতিনির্ধারকরা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত। কিন্তু এত বিশাল ভর্তুকি নিয়ে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনাও চরম সংকটে রয়েছে। বহু উন্নয়ন কাজের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে, যা সার্বিকভাবে দেশের জন্যও কল্যাণকর নয়। ফলে সরকারকে তার আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতেই হবে। আর সেটি কেবল জ্বালানি তেল বা সিএনজির দাম বাড়ালেই সম্পন্ন হবে_এমনটা ভাবারও কোনো কারণ নেই। বর্তমান সরকারের সময় তিন বছরেও বড় কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। কবে শুরু হবে তাও অনিশ্চিত। জ্বালানি তেলভিত্তিক ছোট ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে সাময়িক চাহিদা মেটাতে গিয়ে সরকারের জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে ভর্তুকির পরিমাণও অনেক বেড়ে গেছে। সেখানে উৎপাদিত বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি খরচও অনেক বেশি। এ জন্য সরকারকে জ্বালানি তেল আমদানি ও বেশি মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে প্রচুর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এখন এসব ভর্তুকি মেটাতে গিয়ে জনভোগান্তি বাড়ানো কতটুকু যৌক্তিক হবে, তাও ভেবে দেখতে হবে।
এটা ঠিক, গৃহস্থালি পর্যায়ে এখনো গ্যাসের প্রচুর অপচয় হচ্ছে। আবার যেসব শহরে গ্যাস নেই, সেখানে একটি পরিবারকে এলপি গ্যাস ব্যবহার করতে গিয়ে মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ করতে হয়। একই দেশের দুই শহরের নাগরিকদের মধ্যে গ্যাস ব্যবহারের জন্য খরচের এত বড় বৈষম্যও কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই সরকারকে ক্রমান্বয়ে এলপি গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দাম কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের দেশে গ্যাসের চাহিদা যে হারে বাড়ছে, গ্যাসের উৎপাদন সে হারে বাড়ছে না। সে ক্ষেত্রে ব্যাপক ভিত্তিতে সিএনজি স্টেশন নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার আগেই সরকারকে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি অনুমান করা উচিত ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমানে যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে থাকলে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দেশে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে। তখন গ্যাসভিত্তিক শিল্পের উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়বে। কাজেই যত দ্রুত সম্ভব গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কেবল দাম বাড়িয়ে এর সমাধান করা যাবে না।
এদিকে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, জ্বালানি তেল ও সিএনজির দাম আবার বাড়ানো হলে আবারও বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাবে। দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বাড়বে। আর তা জনজীবনে নতুন করে ভোগান্তি বাড়াবে। এসব কারণে দাতা সংস্থাগুলোর অব্যাহত চাপের মুখেও সরকারের নীতিনির্ধারকরা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত। কিন্তু এত বিশাল ভর্তুকি নিয়ে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনাও চরম সংকটে রয়েছে। বহু উন্নয়ন কাজের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে, যা সার্বিকভাবে দেশের জন্যও কল্যাণকর নয়। ফলে সরকারকে তার আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতেই হবে। আর সেটি কেবল জ্বালানি তেল বা সিএনজির দাম বাড়ালেই সম্পন্ন হবে_এমনটা ভাবারও কোনো কারণ নেই। বর্তমান সরকারের সময় তিন বছরেও বড় কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। কবে শুরু হবে তাও অনিশ্চিত। জ্বালানি তেলভিত্তিক ছোট ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে সাময়িক চাহিদা মেটাতে গিয়ে সরকারের জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে ভর্তুকির পরিমাণও অনেক বেড়ে গেছে। সেখানে উৎপাদিত বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি খরচও অনেক বেশি। এ জন্য সরকারকে জ্বালানি তেল আমদানি ও বেশি মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে প্রচুর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এখন এসব ভর্তুকি মেটাতে গিয়ে জনভোগান্তি বাড়ানো কতটুকু যৌক্তিক হবে, তাও ভেবে দেখতে হবে।
এটা ঠিক, গৃহস্থালি পর্যায়ে এখনো গ্যাসের প্রচুর অপচয় হচ্ছে। আবার যেসব শহরে গ্যাস নেই, সেখানে একটি পরিবারকে এলপি গ্যাস ব্যবহার করতে গিয়ে মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ করতে হয়। একই দেশের দুই শহরের নাগরিকদের মধ্যে গ্যাস ব্যবহারের জন্য খরচের এত বড় বৈষম্যও কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই সরকারকে ক্রমান্বয়ে এলপি গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দাম কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের দেশে গ্যাসের চাহিদা যে হারে বাড়ছে, গ্যাসের উৎপাদন সে হারে বাড়ছে না। সে ক্ষেত্রে ব্যাপক ভিত্তিতে সিএনজি স্টেশন নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার আগেই সরকারকে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি অনুমান করা উচিত ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমানে যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে থাকলে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দেশে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে। তখন গ্যাসভিত্তিক শিল্পের উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়বে। কাজেই যত দ্রুত সম্ভব গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কেবল দাম বাড়িয়ে এর সমাধান করা যাবে না।
No comments