স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজে সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবেঅর্থ মন্ত্রণালয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করি না by আ হ ম মোস্তফা কামাল
সিবি ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিআমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসায়ী হলেও নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজে সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করি_এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে যেসব সুপারিশ করা হয় সেগুলো দেশের স্বার্থেই করা হয়। আমার নিজ প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিস্বার্থে নয়। যাঁরা এ ধরনের অভিযোগ করেন তাঁরা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
আমার সংসদীয় কমিটির সুপারিশগুলো পর্যবেক্ষণ করলেও তা বোঝা যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এ পর্যন্ত প্রায় ২০০টি সুপারিশ করেছে। এগুলোর বেশির ভাগ বাস্তবায়নও হয়েছে। এসব সুপারিশ দেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করেছে। পুঁজিবাজার নিয়ে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে তা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে এ-সংক্রান্ত সব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারের এ দশা হতো না। সংসদীয় কমিটি সব সময় চেয়েছে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল থাকুক। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর ফাঁকি মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। কোনোটি ২০ বছর ধরে চলছে। কিন্তু এনবিআর এর কোনো সমাধান করতে পারছে না। তাদের পর্যাপ্ত জনবল নেই। এ ছাড়া এনবিআরের কাজ রাজস্ব আয় করা। রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে বাধাগুলো দূর করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজনে আইন সংশোধনের কথাও বলেছে সংসদীয় কমিটি। কিন্তু এসব সমস্যা দূর না করায় ঠিকমতো রাজস্ব আয় হচ্ছে না। আয়কর আদায়ের শর্ত শিথিল করা হলে জনগণ উপকৃত হতো। সরকারও উপকৃত হতো। এটা যেকোনো সরকারের ক্ষেত্রেই সমান প্রযোজ্য। সরকার যদি রাজস্বই আদায় করতে না পারে তাহলে দেশ চলবে কিভাবে? আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব খুবই স্বচ্ছভাবে পালন করছি। এতে কারো কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। কারণ সরকারের কাজে স্বচ্ছতা আনার জন্যই বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদীয় কমিটিগুলো গঠন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ কাজকে যুগান্তকারী বলে মনে করি।
No comments