নির্বাচন পেছানোর আলামত by রফিকুল ইসলাম
বাফুফের ভোটাধিকার হারাচ্ছে অনেক ডিএফএ হ কাউন্সিলর নিয়ে জটিলতাগঠনতন্ত্র সংশোধনে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ৩ কর্মকর্তা হ ফিফা-এএফসিতে দৌড়ঝাঁপের প্রস্তুতি হ দায়িত্বকাল বাড়ানোর কৌশল!নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আসছে ২৭ এপ্রিল শেষ হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটির মেয়াদ। গঠনতন্ত্র অনুসারে এ সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নির্বাচন। বাকি সাড়ে পাঁচ মাস।
আরও কয়েক মাস আগেই বেজে উঠেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নির্বাচনী ডামাডোল। শুরু হয়েছে কর্মকর্তাদের ইঁদুর দৌড়। তৈরি হচ্ছে নানা মেরুকরণ। প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে দৃশ্যপট। একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হওয়ার আলামতও তৈরি হচ্ছে। জুনের শেষ নাগাদ এমনকি তারও পরে চলে যেতে পারে বাফুফের নির্বাচন। ২০০৮-এর মতো এবারও বাফুফের নির্বাচনের ভাগ্যবন্দি হতে পারে ফিফা ও এএফসির হাতে।
পেছালেও নির্বাচন হতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই; কিন্তু বড় খবর হলো, নির্বাচন যখনই হোক এবার ভোটাধিকার হারাতে যাচ্ছে অনেক জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ)। ফিফা ও এএফসির দোহাই দিয়ে সেভাবেই সংশোধন হচ্ছে বাফুফের গঠনতন্ত্র। ফিফা, এএফসি এবং বাফুফের সাধারণ সভা সংশোধিত এ গঠনতন্ত্র অনুমোদন দিলে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জিম্মি হয়ে পড়বে বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে। বাফুফের নির্বাহী কমিটির গাইডলাইন অনুসারে প্রতিটি বিভাগ থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যার জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ভোট দিতে পারবে নির্বাচনে। অন্যরা হয়ে থাকবে সাক্ষীগোপাল।
২০০৮ সালের এজিএমএ ১৩৪ জন কাউন্সিলর থাকলেও ফিফার নির্দেশনা অনুসারে সার্ভিসেস সংস্থাগুলোর ভোটাধিকার ছিল না। ওই নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ১১১ জন কাউন্সিলর। আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর আর ভোটারের সংখ্যা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। বাফুফের তিন সদস্য হারুনুর রশিদ, সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু এবং আনোয়ারুল হক হেলালকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে 'গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি'।
গঠনতন্ত্রের জটিলতা অবসানের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে তৎকালীন সভাপতি এসএ সুলতানের নেতৃত্বে দুটি প্রতিনিধি দল একবার গিয়েছিল ফিফায়, আরেকবার এএফসিতে। সভাপতির সঙ্গে ফিফায় গিয়েছিলেন তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির আহমেদ ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। এএফসিতে মালয়েশিয়ায় এসএ সুলতানের সঙ্গী হয়েছিলেন বাদল রায় এবং বিওএর পরিচালক ও সিইও কর্নেল (অব.) ওয়ালি উল্লাহ। গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির এক কর্মকর্তা জানান, 'ফিফা ও এএফসিতে গিয়ে প্রতিনিধি দল রাজি হয়েছিলেন তাদের শর্তে। শর্তমতে তখন সব ডিএফএ ভোট দিতে পারলেও এবার পারবে না। বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলো সরাসরি ভোটার হবে এবং কয়টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ভোট দিতে পারবে, তা নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। সংখ্যাটা নির্ধারণ করবে বাফুফে। তাও আবার প্রথমে বাফুফের বিশেষ সাধারণ সভায় এবং পরে ফিফা-এএফসিতে অনুমোদন হতে হবে।' সবকিছু ঠিক মতো হচ্ছে কি-না, তা দেখতে গত নির্বাচনে ছিলেন ফিফা প্রতিনিধি মনিলাল ফার্নান্দো এবং এএফসি প্রতিনিধি দাতো পলমনি। এর আগে বিশেষ সাধারণ সভায়ও উপস্থিত ছিলেন তারা।
জটিলতা কেবল ডিএফএ নিয়েই নয়, এবার ক্লাব ভোটার নিয়েও সমস্যা তৈরি হতে পারে। পেশাদার ফুটবল লীগ থেকে দল অবনমন, নতুন দল অন্তর্ভুক্তি এবং সর্বশেষ দ্বিতীয় স্তর প্রবর্তনেও এ জটিলতা দেখা দিয়েছে। গত সাড়ে ৩ বছরে গঠনতন্ত্র খুলেও দেখেনি বাফুফে। এখন সংশোধন কমিটি কাজ শুরু করে এসব জটিলতার কথা বলছে। হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কমিটির কর্মকর্তারা। এর ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন যে হচ্ছে না, ধরেই নেওয়া যায়। বাফুফে কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সে অবস্থা তৈরিও করে রাখছেন। কারণ বাফুফে চাইলে নির্বাচন তিন মাস পিছিয়ে দিতে পারে। ফিফা-এএফসিকে কানপড়া দিতে পারলে সময়টা আরও বাড়িয়ে নিতে পারবেন ক্ষমতাসীনরা। প্রয়োজনে সে দৌড়ঝাঁপের প্রস্তুতিও যেমন চলছে, তেমন চলছে জটিলতা সামনে রেখে দায়িত্বকাল বাড়িয়ে নেওয়ার কৌশলও।
পেছালেও নির্বাচন হতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই; কিন্তু বড় খবর হলো, নির্বাচন যখনই হোক এবার ভোটাধিকার হারাতে যাচ্ছে অনেক জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ)। ফিফা ও এএফসির দোহাই দিয়ে সেভাবেই সংশোধন হচ্ছে বাফুফের গঠনতন্ত্র। ফিফা, এএফসি এবং বাফুফের সাধারণ সভা সংশোধিত এ গঠনতন্ত্র অনুমোদন দিলে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জিম্মি হয়ে পড়বে বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে। বাফুফের নির্বাহী কমিটির গাইডলাইন অনুসারে প্রতিটি বিভাগ থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যার জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ভোট দিতে পারবে নির্বাচনে। অন্যরা হয়ে থাকবে সাক্ষীগোপাল।
২০০৮ সালের এজিএমএ ১৩৪ জন কাউন্সিলর থাকলেও ফিফার নির্দেশনা অনুসারে সার্ভিসেস সংস্থাগুলোর ভোটাধিকার ছিল না। ওই নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ১১১ জন কাউন্সিলর। আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর আর ভোটারের সংখ্যা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। বাফুফের তিন সদস্য হারুনুর রশিদ, সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু এবং আনোয়ারুল হক হেলালকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে 'গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি'।
গঠনতন্ত্রের জটিলতা অবসানের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে তৎকালীন সভাপতি এসএ সুলতানের নেতৃত্বে দুটি প্রতিনিধি দল একবার গিয়েছিল ফিফায়, আরেকবার এএফসিতে। সভাপতির সঙ্গে ফিফায় গিয়েছিলেন তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির আহমেদ ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। এএফসিতে মালয়েশিয়ায় এসএ সুলতানের সঙ্গী হয়েছিলেন বাদল রায় এবং বিওএর পরিচালক ও সিইও কর্নেল (অব.) ওয়ালি উল্লাহ। গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির এক কর্মকর্তা জানান, 'ফিফা ও এএফসিতে গিয়ে প্রতিনিধি দল রাজি হয়েছিলেন তাদের শর্তে। শর্তমতে তখন সব ডিএফএ ভোট দিতে পারলেও এবার পারবে না। বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলো সরাসরি ভোটার হবে এবং কয়টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ভোট দিতে পারবে, তা নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। সংখ্যাটা নির্ধারণ করবে বাফুফে। তাও আবার প্রথমে বাফুফের বিশেষ সাধারণ সভায় এবং পরে ফিফা-এএফসিতে অনুমোদন হতে হবে।' সবকিছু ঠিক মতো হচ্ছে কি-না, তা দেখতে গত নির্বাচনে ছিলেন ফিফা প্রতিনিধি মনিলাল ফার্নান্দো এবং এএফসি প্রতিনিধি দাতো পলমনি। এর আগে বিশেষ সাধারণ সভায়ও উপস্থিত ছিলেন তারা।
জটিলতা কেবল ডিএফএ নিয়েই নয়, এবার ক্লাব ভোটার নিয়েও সমস্যা তৈরি হতে পারে। পেশাদার ফুটবল লীগ থেকে দল অবনমন, নতুন দল অন্তর্ভুক্তি এবং সর্বশেষ দ্বিতীয় স্তর প্রবর্তনেও এ জটিলতা দেখা দিয়েছে। গত সাড়ে ৩ বছরে গঠনতন্ত্র খুলেও দেখেনি বাফুফে। এখন সংশোধন কমিটি কাজ শুরু করে এসব জটিলতার কথা বলছে। হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কমিটির কর্মকর্তারা। এর ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন যে হচ্ছে না, ধরেই নেওয়া যায়। বাফুফে কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সে অবস্থা তৈরিও করে রাখছেন। কারণ বাফুফে চাইলে নির্বাচন তিন মাস পিছিয়ে দিতে পারে। ফিফা-এএফসিকে কানপড়া দিতে পারলে সময়টা আরও বাড়িয়ে নিতে পারবেন ক্ষমতাসীনরা। প্রয়োজনে সে দৌড়ঝাঁপের প্রস্তুতিও যেমন চলছে, তেমন চলছে জটিলতা সামনে রেখে দায়িত্বকাল বাড়িয়ে নেওয়ার কৌশলও।
No comments