প্রতিবেদনের বিশ্বস্ততা বাড়াতে গার্ডিয়ানের পদক্ষেপ
পত্রিকায় পাঠকদের মতামত প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। পাঠকরা আগেই জানতে পারবেন, পত্রিকাটির সাংবাদিকরা কি বিষয়ে লিখছেন। এ ছাড়া প্রকাশিতব্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের একটা লিস্টও প্রকাশ করা হবে আগেই। প্রতিবেদন লেখার কাজে সাংবাদিকের সহায়তা দিতে পারবেন পাঠকরা। পেশাদারিত্বের উৎকর্ষের এ যুগে অনেকে এ উদ্যোগকে পাগলামি বলে মনে করছেন।
গার্ডিয়ানের ওয়েবসাইটে তার সাংবাদিকরা কি বিষয় নিয়ে কাজ করছেন, প্রতিদিন এর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের সঙ্গে টুইটারের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পাঠকদের অনুরোধও করেছে বাম ঘেঁষা পত্রিকাটি।
পত্রিকাটির অন্যতম সম্পাদক ডেন রবার্টস বলেন, ব্রিটিশ সাপ্তাহিক নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের ফোন হ্যাকিং কেলেঙ্কারির পর পাঠকরা এখন একটি সংবাদ কীভাবে তৈরি হয় তা জানতে বেশি উৎসাহী। পত্রিকাটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক জেমস র্যানডারসন বলেন, 'বাজারে আমাদের প্রতিযোগীরা দেখতে পাচ্ছেন আমরা কি নিয়ে কাজ করছি। কেউ আমাদের তথ্য চুরি বা প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিশেষ নিয়ম লঙ্ঘন করছে_ তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কারণ পাঠক আগেই জানতে পারবেন কোনটি আমাদের প্রতিবেদন।'
জেমস র্যানডারসনের পেছনের একটি কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছিল ওইদিনের জাতীয়, আন্তর্জাতিক, খেলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদের তালিকা। এ তালিকা সরাসরি টুইটারে দেওয়া রয়েছে। সেখান থেকে পাঠকরা দেখতে পারবেন সাংবাদিকরা আগামীকালের জন্য কি কি বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করছেন। চাইলে তারা এ বিষয়ে তাদের মতামত, পরামর্শ ও তথ্য দিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে। ডেন রবার্টসের মতে, সাংবাদিকতা নিয়ে এ মুহূর্তে এক ধরনের সংশয় কাজ করছে। এখন যে ধারা চলছে তাতে আপনি গোপনে কাজ করে পরদিন পাঠকের হাতে খবর তুলে দেবেন। কিন্তু পাঠক জানতেও পারবেন না আপনি অবৈধ কোনো পন্থায় খবরটি সংগ্রহ করেছেন কি-না। স্বচ্ছতার এ যুগে আরও বিশ্বস্ততার জন্য আপনাকে আপনার কাজের পদ্ধতি উন্মুক্ত রাখতে হবে।
পত্রিকাটির অন্যতম সম্পাদক ডেন রবার্টস বলেন, ব্রিটিশ সাপ্তাহিক নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের ফোন হ্যাকিং কেলেঙ্কারির পর পাঠকরা এখন একটি সংবাদ কীভাবে তৈরি হয় তা জানতে বেশি উৎসাহী। পত্রিকাটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক জেমস র্যানডারসন বলেন, 'বাজারে আমাদের প্রতিযোগীরা দেখতে পাচ্ছেন আমরা কি নিয়ে কাজ করছি। কেউ আমাদের তথ্য চুরি বা প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিশেষ নিয়ম লঙ্ঘন করছে_ তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কারণ পাঠক আগেই জানতে পারবেন কোনটি আমাদের প্রতিবেদন।'
জেমস র্যানডারসনের পেছনের একটি কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছিল ওইদিনের জাতীয়, আন্তর্জাতিক, খেলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদের তালিকা। এ তালিকা সরাসরি টুইটারে দেওয়া রয়েছে। সেখান থেকে পাঠকরা দেখতে পারবেন সাংবাদিকরা আগামীকালের জন্য কি কি বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করছেন। চাইলে তারা এ বিষয়ে তাদের মতামত, পরামর্শ ও তথ্য দিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে। ডেন রবার্টসের মতে, সাংবাদিকতা নিয়ে এ মুহূর্তে এক ধরনের সংশয় কাজ করছে। এখন যে ধারা চলছে তাতে আপনি গোপনে কাজ করে পরদিন পাঠকের হাতে খবর তুলে দেবেন। কিন্তু পাঠক জানতেও পারবেন না আপনি অবৈধ কোনো পন্থায় খবরটি সংগ্রহ করেছেন কি-না। স্বচ্ছতার এ যুগে আরও বিশ্বস্ততার জন্য আপনাকে আপনার কাজের পদ্ধতি উন্মুক্ত রাখতে হবে।
No comments