আবারও বৈঠকে বসছে আরব লীগ-সদস্যপদ স্থগিত করা নিয়ে সিরিয়ার তীব্র প্রতিক্রিয়া
সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করার আরব লীগের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দামেস্ক। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল মুয়াল্লেম গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তকে 'ভয়ংকর পদক্ষেপ' হিসেবে অভিহিত করে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আরব লীগের মধ্যেও বিভক্তি রয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও বিষয়টি নিয়ে ওই দিন আবারও বৈঠকে বসতে যাচ্ছে আরব লীগ।
সিরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সিরিয়ার 'আরব লীগের সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত বৈধ নয়। ওয়ালিদ আল মুয়াল্লেম কায়রোভিত্তিক এই সংস্থার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কেরও তীব্র সমালোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রকে সংস্থার 'অঘোষিত সদস্য' হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের ইন্ধনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরব লীগ। তিনি বলেন, তাঁর বিশ্বাস রাশিয়া ও চীন নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়া প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে না। ইতিমধ্যেই এই দুটি দেশ সিরিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে পরিষদে তোলা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি সিরিয়ার জনগণের উদ্দেশে বলেন, 'ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। জনগণের শক্তি ও জাতীয় ঐক্যের কারণে সিরিয়া আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে।'
আরব লীগ গত শনিবার চলমান সহিংসতা বন্ধে প্রেসিডেন্ট আসাদ সংস্থার প্রস্তাবিত শর্তে রাজি না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করে। সিরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া দামেস্ক থেকে আরব দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের হুমকিও দিয়েছে তারা। তবে সিদ্ধান্তটি নিয়ে আরব লীগে বিভক্তি রয়েছে। আলজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আমর বেলানি বলেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৬ নভেম্বর মরক্কোর রাজধানী রাবাতে সিরিয়া প্রসঙ্গে আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আবারও বৈঠকে বসবেন।' ওই দিন থেকেই সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত হওয়ার কথা। মরক্কোর এক কর্মকর্তাও বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেলানি জানান, গত ২ নভেম্বর আরব লীগ আসাদ সরকারে সঙ্গে একটি চুক্তি করে। এতে গ্রেপ্তারকৃত বিরোধী নেতা-কর্মীদের মুক্তি, বিভিন্ন স্থানে মোতায়েনকৃত সেনাদের প্রত্যাহার, গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের স্বাধীনভাবে বিচরণ এবং বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলা হয়। সে সময় আরব লীগের বৈঠকে এই চুক্তি মেনে নেওয়ার জন্য আসাদকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
এদিকে আরব লীগের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই ল্যাভরভ গতকাল বলেন, সিদ্ধান্তটি ভুল হয়েছে। রুশ সংবাদ সংস্থা ল্যাভরভের বরাত দিয়ে জানায়, 'আমরা বিশ্বাস করি সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল। এবং দেখে মনে হচ্ছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আল-জাজিরা।
আরব লীগ গত শনিবার চলমান সহিংসতা বন্ধে প্রেসিডেন্ট আসাদ সংস্থার প্রস্তাবিত শর্তে রাজি না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করে। সিরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া দামেস্ক থেকে আরব দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের হুমকিও দিয়েছে তারা। তবে সিদ্ধান্তটি নিয়ে আরব লীগে বিভক্তি রয়েছে। আলজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আমর বেলানি বলেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৬ নভেম্বর মরক্কোর রাজধানী রাবাতে সিরিয়া প্রসঙ্গে আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আবারও বৈঠকে বসবেন।' ওই দিন থেকেই সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত হওয়ার কথা। মরক্কোর এক কর্মকর্তাও বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেলানি জানান, গত ২ নভেম্বর আরব লীগ আসাদ সরকারে সঙ্গে একটি চুক্তি করে। এতে গ্রেপ্তারকৃত বিরোধী নেতা-কর্মীদের মুক্তি, বিভিন্ন স্থানে মোতায়েনকৃত সেনাদের প্রত্যাহার, গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের স্বাধীনভাবে বিচরণ এবং বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলা হয়। সে সময় আরব লীগের বৈঠকে এই চুক্তি মেনে নেওয়ার জন্য আসাদকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
এদিকে আরব লীগের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই ল্যাভরভ গতকাল বলেন, সিদ্ধান্তটি ভুল হয়েছে। রুশ সংবাদ সংস্থা ল্যাভরভের বরাত দিয়ে জানায়, 'আমরা বিশ্বাস করি সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল। এবং দেখে মনে হচ্ছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আল-জাজিরা।
No comments