১৪ দফা ঢাকা ঘোষণায় সিভিএফ সম্মেলন শেষ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) তৃতীয় সম্মেলন ১৪ দফা ঢাকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। মন্ত্রীপর্যায়ের সম্মেলন শেষে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ঘোষণাসহ সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানানো হয়। বাংলাদেশ ফোরামের পরবর্তী সময়ের সভাপতি দেশ মনোনীত হয়েছে। এ ফোরামের পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কোস্টারিকায়।
পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ঘোষণার কথা জানান। ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে ঢাকা ঘোষণা তোলা হবে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে দেওয়া দ্রুত ও দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকার শিগগিরই বাস্তবায়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষমতা তৈরি করতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রযুক্তি সরবরাহের দাবিও এতে জানানো হয়। কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ কমাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে জোরালো ও ঐকবদ্ধ প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্তও ঢাকা ঘোষণায় নেওয়া হয়। গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে উন্নত দেশগুলোর দেওয়া বাৎসরিক অনুদান বাড়ানোর প্রতিও দাবি জানানো হয়েছে।
সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ুর ক্ষতি মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর সহায়তার ঘোষণা ও অর্থ ছাড়ের মধ্যে স্বচ্ছতা নেই। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় এই মুহূর্তে প্রয়োজন ১০ বিলিয়ন ডলার। পাওয়া গেছে ১২৫ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রতিশ্রুত সাত মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুত ২০ মিলিয়ন ইউরো পাইপলাইনে আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অভিবাসন শরণার্থীদের অন্য দেশে বসতি স্থাপনের সুযোগের পক্ষে কথা বলছে বাংলাদেশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সার্ক পরিবেশমন্ত্রীদের ফোরামে আলোচনা হয়েছে।
সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ুর ক্ষতি মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর সহায়তার ঘোষণা ও অর্থ ছাড়ের মধ্যে স্বচ্ছতা নেই। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় এই মুহূর্তে প্রয়োজন ১০ বিলিয়ন ডলার। পাওয়া গেছে ১২৫ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রতিশ্রুত সাত মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুত ২০ মিলিয়ন ইউরো পাইপলাইনে আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অভিবাসন শরণার্থীদের অন্য দেশে বসতি স্থাপনের সুযোগের পক্ষে কথা বলছে বাংলাদেশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সার্ক পরিবেশমন্ত্রীদের ফোরামে আলোচনা হয়েছে।
No comments