ঝলমলে চুলের জন্য

লমলে চুল সবাই চায়। এর জন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। প্রিয় চুলগুলো কীভাবে করে তুলবেন আরেকটু সুন্দর তা-ই জেনে নিন এই লেখায় ... লিখেছেন বীথিস হারবালের বীথি চৌধুরীনিজেকে সুন্দর দেখাতে কে না চায়! কোনো অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নিজেকে সুন্দর দেখানোর ইচ্ছাটা হয়ে যায় দ্বিগুণ। বিভিন্ন মানুষের চুলের বিভিন্ন সমস্যা। সঠিক যত্ন নিলে এই সমস্যা অতিক্রম করে পাওয়া যায় ঝলমলে সুন্দর চুল। তাই চুলের বিভিন্ন সমস্যা অনুযায়ী সমাধান দেওয়া হলো, যা থেকে নিজের সমস্যা চিহ্নিত করে যত্ন নিয়ে হয়ে উঠুন সুকেশী।


অতিরিক্ত তৈলাক্ত চুল : বেশি তৈলাক্ত চুল হলে চুলের মধ্যে ময়লা জমে অধিক হারে চুল পড়ে। চুলের গ্রোথ কমে যায়। তাছাড়া চুল খুব পাতলা, নেতানো মনে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন তৈলাক্ত চুলে গরষফ ঝযধসঢ়ড়ড় দিয়ে অথবা উধরষু ডধংয লেখা শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন। মাথার চামড়ায় সপ্তাহে ২-৩ দিন আলুর রস লাগান। প্যাক হিসেবে লাগাতে হবে মসুর ডাল বাটা ৩ টেবিল চামচ, শসা বাটা ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ। ১টি ডিমের সাদা অংশ পানি দিয়ে পেস্ট করে চুলে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন। অতিরিক্ত তেল হলে সপ্তাহে দু'দিন এই প্যাক লাগাবেন।
ড্রাই চুল : চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হলে লাল হয়, ফেটে যায়, ভেঙে যায়। শুষ্ক চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। সপ্তাহে এক দিন পার্লারে হট অয়েল থেরাপি নেবেন। এ ক্ষেত্রে বাসায় হট অয়েল থেরাপি নিতে প্রথমে অলিভ অয়েল বা যে কোনো তেল গরম করে সব চুল ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগান। এরপর হালকা ম্যাসাজ করুন। ২টি মোটা তোয়ালে পর্যায়ক্রমে গরম পানিতে ভিজিয়ে পাগড়ির মতো মাথায় পেঁচিয়ে তেলসহ চুলে ভাপ নিন, যেন সব চুলের গোড়ায় তেল পেঁৗছে। বিকেলে এটা করলে পরদিন সকালে শ্যাম্পু করুন।
চুল ফাটা : যাদের চুলের ডগা ফাটা বা অনেকখানি উপরে উঠে এসেছে তাদের প্রতি মাসে চুলের আগা ট্রিম করতে হবে। বিশেষ করে ফাটা অনেক ওপর পর্যন্ত উঠে এলে এই আগা ফাটা চুলগুলো পার্লারে গিয়ে ছেঁটে নিতে হবে। সপ্তাহে ২ দিন মধু ও মেয়োনেজ সমপরিমাণে নিয়ে চুলে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করতে হবে।
খুশকি : কমবেশি সবার চুলে খুশকির সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে ২ দিন হট অয়েল থেরাপি নিতে হবে। সপ্তাহে এক দিন প্যাক হিসেবে লাগাবেন_মেহেদি বাটা বা গুঁড়া ৩ টেবিল চামচ, দূর্বা ঘাস বাটা ২ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টা , টক দই দিয়ে পেস্ট করে মাথায় লাগাবেন, ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করবেন। যদি তৈলাক্ত খুশকি হয় তবে তেল ব্যবহার করা যাবে না, তেল ও টক দই ছাড়া পানি দিয়ে প্যাক গুলে ব্যবহার করতে হবে।
চুল পড়া : চুল পড়ার অনেক কারণ থাকে। যেমন_ অসুস্থতা, খুশকি, ড্রাইনেস, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি। এসব সমস্যা অনুযায়ী যত্ন নিতে হবে। ভিটামিনের অভাব থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন খেতে হবে। সে সঙ্গে নিয়মিত সমপরিমাণ ছোট পেঁয়াজ বাটা, কেশুতি পাতা বাটা ও আমলকী বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করতে হবে।
চুলে কেমিক্যাল : চুলের স্টাইল করতে, স্টাইল বদলাতে আমরা অনেক কেমিক্যাল ব্যবহার করি, যার ফলে চুলের ক্ষতি হয়। তবে এসবের পাশাপাশি যত্ন নিলে কেমিক্যাল চুলের ক্ষতিসাধন করতে পারে না। কেমিক্যাল ব্যবহারে চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই হট অয়েল থেরাপি জরুরি। সেই সঙ্গে লাগাবেন অ্যালোভেরার শাঁস ৩ টেবিল চামচ, পাকা পেঁপে ৩ টেবিল চামচ, অলিভ অয়েল ৩ চা চামচ, মধু ৩ চা চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাবেন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করবেন।
স্কিন টেস্ট করে সম্পূর্ণ আয়ুর্বেদিক উপায়ে স্কিনের যত্ন ও খুশকি, চুল পড়া, ব্রণ, মেছতা, বলিরেখা, রোদে পোড়াসহ বিভিন্ন সমস্যার গ্যারান্টিসহ ট্রিটমেন্ট করা হয়।
পার্লারে সব ধরনের কাজ করা হয়।

অনুলিখন : সাদিয়া ইসলাম, ছবি : আরমান হোসেন বাপ্পি

No comments

Powered by Blogger.