তেলের দাম বাড়ানোর পরও বিপিসির লোকসান হবে ১০ হাজার কোটি টাকা by শিমুল নজরুল,
মাত্র ৫২ দিনের ব্যবধানে সরকার জ্বালানি তেলের দাম আবারও বাড়াল। এর পরও জ্বালানি তেলের পেছনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা লোকসান দিতে হবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ডিজেল, ফার্নেস অয়েল, পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি পাঁচ টাকা করে বাড়ানোর আগে এই লোকসানের পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকা ছিল।
এ প্রসঙ্গে বিপিসির পরিচালক (অর্থ) সরাফ উদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরও বিপিসিকে ডিজেলের ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি সাড়ে ১৭ টাকা, কেরোসিনে সাড়ে ১৬ টাকা এবং ফার্নেস অয়েলের পেছনে সাড়ে চার টাকা লোকসান দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর বিপিসির লোকসান প্রায় চার হাজার কোটি টাকা কমে আসবে। তার পরও জ্বালানি তেল বিক্রি বাবদ বিপিসির বছরে লোকসান থাকবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, গত অর্থবছরে (২০১০-১১) দেশে প্রায় ৪৮ লাখ ৬৮ টন জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়েছে। আর এ বছর প্রায় ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার টন জ্বালানি তেল প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৩৭.১২ শতাংশ। কর্মকর্তারা আরো জানান, চলতি অর্থবছরে দেশে ডিজেল প্রয়োজন হবে প্রায় ৪০ লাখ টন। আর ফার্নেস অয়েল লাগবে প্রায় ১৫ লাখ টন। শুধু বিদ্যুৎ খাতেই ফার্নেস অয়েল প্রয়োজন হবে ১৪ লাখ ১৫ হাজার টনের বেশি। আর অকটেন প্রয়োজন হবে বছরে মাত্র এক লাখ আট হাজার টন এবং পেট্রল লাগবে প্রায় দেড় লাখ টন। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরে শুধু ফার্নেস অয়েলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ১০ লাখ টন।
বিপিসির এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৬৫ শতাংশই ডিজেল। এখন ডিজেল আমদানির ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ব্যয় হয় প্রায় ৭৩ দশমিক ৬৮ টাকা, কেরোসিনের দাম পড়ে ৭২ দশমিক ৮৫ টাকা এবং ফার্নেস অয়েলের আমদানি ব্যয় পড়ে লিটারপ্রতি প্রায় ৫৯ দশমিক ৫৬ টাকা। আর এখন মূল্যবৃদ্ধির পর লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম হয়েছে ৮৬ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৫৬ টাকা এবং ফার্নেস অয়েলের দাম ৫৫ টাকা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকার উলি্লখিত পাঁচ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা করে বাড়িয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর বিপিসির লোকসান প্রায় চার হাজার কোটি টাকা কমে আসবে। তার পরও জ্বালানি তেল বিক্রি বাবদ বিপিসির বছরে লোকসান থাকবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, গত অর্থবছরে (২০১০-১১) দেশে প্রায় ৪৮ লাখ ৬৮ টন জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়েছে। আর এ বছর প্রায় ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার টন জ্বালানি তেল প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৩৭.১২ শতাংশ। কর্মকর্তারা আরো জানান, চলতি অর্থবছরে দেশে ডিজেল প্রয়োজন হবে প্রায় ৪০ লাখ টন। আর ফার্নেস অয়েল লাগবে প্রায় ১৫ লাখ টন। শুধু বিদ্যুৎ খাতেই ফার্নেস অয়েল প্রয়োজন হবে ১৪ লাখ ১৫ হাজার টনের বেশি। আর অকটেন প্রয়োজন হবে বছরে মাত্র এক লাখ আট হাজার টন এবং পেট্রল লাগবে প্রায় দেড় লাখ টন। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরে শুধু ফার্নেস অয়েলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ১০ লাখ টন।
বিপিসির এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৬৫ শতাংশই ডিজেল। এখন ডিজেল আমদানির ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ব্যয় হয় প্রায় ৭৩ দশমিক ৬৮ টাকা, কেরোসিনের দাম পড়ে ৭২ দশমিক ৮৫ টাকা এবং ফার্নেস অয়েলের আমদানি ব্যয় পড়ে লিটারপ্রতি প্রায় ৫৯ দশমিক ৫৬ টাকা। আর এখন মূল্যবৃদ্ধির পর লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম হয়েছে ৮৬ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৫৬ টাকা এবং ফার্নেস অয়েলের দাম ৫৫ টাকা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকার উলি্লখিত পাঁচ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা করে বাড়িয়েছিল।
No comments