পোশাক দিতে হবে

লিউডে যখন কোনো ছবির শুটিং শুরু হয় সে ছবির প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর পোশাক কেমন হবে, তা ঠিক করার জন্য পেশাদার ডিজাইনার নিয়োগ করা হয়। আর যদি সেই ছবিটি ঐতিহাসিক পটভূমির হয়ে থাকে, তবে তো কথাই নেই। রীতিমতো গবেষণা করেই ছবির পোশাক তৈরি হয়। গত মাসের শেষে মুক্তি পাওয়া 'থ্রি মাস্কেটিয়ার্স' ছবিটিও এর ব্যতিক্রম নয়।


শুধু গবেষণাই নয়, সে সময়ের ইউরোপের সম্ভ্রান্তরা যে ধরনের পোশাক পরতেন তা সঠিকভাবে তৈরির জন্য একটি ডিজাইনার দলকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছবির অন্যতম মন্দ চরিত্র মিলেডি ডে উইন্টার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিলা জভোভিচ। এক কাউন্টেস এবং একই সঙ্গে দুর্দান্ত তলোয়ারবাজ এক গুপ্তচরের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে ৩৫ বছরের মিলাকে পরতে হয়েছে একাধিক জমকালো গাউন। অবশ্য তাঁর গাউনগুলো কেমন হবে সেটা আগে থেকেই জানতেন মিলা। ডিজাইনারদের আঁকা অসংখ্য ডিজাইন থেকে তিনি নিজেই বেছে নিয়েছিলেন সেই পোশাকগুলো। কোমর চিকন দেখানোর জন্য প্রতিটি গাউনের নিচে মিলাকে পরতে হয়েছে করসেট। আর 'রেসিডেন্ট এভিল' তারকা স্বীকার করেছেন, আঁটোসাঁটে করসেট ও সেই গাউন পরে তলোয়ারবাজি মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু তার পরও পোশাকগুলোর প্রতি টান অনুভব করেছেন তিনি। শুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পর যদিও পোশাক নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা থাকে না এবং সেগুলো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি হয়ে যায়; মিলা সেই গাউনগুলো দাবি করে বসেন। মিলা বলেছেন, 'এগুলো আর কোনো কাজে আসবে না। হয়তো কোনো অন্ধকার ঘরেই পড়ে থাকবে বছরের পর বছর। এগুলোকে বাছাই করেছি আমি, পরেছিও আমি। তাই এই গাউনগুলো প্রতি একটা ভালোলাগা অবশ্যই আছে। তাই আমি সেগুলো চেয়েছি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যদি চায় তাহলে এর জন্য মূল্য দিতেও রাজি আছি আমি।'

No comments

Powered by Blogger.