এবার স্বাক্ষর জাল করে শেয়ার বিক্রির অভিযোগ
এবার হ্যাক সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে শেয়ার বিক্রির অভিযোগ এনেছেন ডিএসইর এই ব্রোকারেজ হাউসের বিনিয়োগকারীরা। তাদের অভিযোগ, ফোর্স সেলের অভিযোগ আড়াল করতেই শেয়ার বিক্রির আদেশে গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করা হচ্ছে। এভাবে মার্জিন ঋণে শেয়ার ক্রয়কারী অন্তত ৬২৫ জন বিনিয়োগকারীর সমুদয় শেয়ার বিক্রির পাঁয়তারা করছে ব্রোকারেজ হাউসটি।
গত রোববার এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) অভিযোগ দাখিল করেছেন তারা। গত ফেব্রুয়ারি থেকে ব্রোকারেজ হাউসটির বিনিয়োগকারীরা ফোর্স সেলের অভিযোগ করে আসছেন। ঈদের ছুটির আগে ৩ নভেম্বরও অন্তত ১৮টি বিও হিসাব থেকে ফোর্স সেল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায়, গত জানুয়ারি থেকেই ফোর্স সেল না করার জন্য অর্থমন্ত্রী, এসইসি ও উভয় শেয়ারবাজার কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়ে আসছে। ফোর্স সেল হলো- মার্জিন ঋণে কেনা শেয়ার বিনিয়োগকারীর অনুমোদন ছাড়াই বিক্রি করা। হ্যাক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়েক আলী চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে সমকালকে বলেন, 'হ্যাক থেকে ফোর্স সেল করা হচ্ছে না। স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগও ভিত্তিহীন।' এ বিষয়ে এসইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগকারীরা জানান, স্বাক্ষর জাল করার কাজে ব্রোকারেজ হাউসটির ফরিদপুর শাখার অনুমোদিত প্রতিনিধি মোঃ আতিক জড়িত। এ কাজের জন্য তাকে ঢাকায় আনা হয়েছে। স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণ করেছেন বলে দাবি করেন তারা। ওই ধারণ করা দৃশ্যে অভিযুক্ত আতিকও স্বাক্ষর জাল করার কথা স্বীকার করেছেন। যোগাযোগ করা হলে আতিক জানান, তিনি ব্রোকারেজ হাউসটির ফরিদপুর শাখায় কাজ করেন। তবে দুই মাস ধরে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে আছেন। ভিডিও ফুটেজে স্বাক্ষর জাল করার কাজে তার উপস্থিতির প্রমাণ রয়েছে_ অভিযোগকারীদের এমন দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রোকারেজ হাউসটির এক কর্মকর্তা ফোর্স সেল করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এমনভাবে ফোর্স সেল করা হচ্ছে, যাতে কোনোভাবেই প্রমাণিত না হয়, শেয়ারগুলো ফোর্স সেল করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ব্রোকারেজ হাউসটি প্রায় ৭০ কোটি টাকার মার্জিন ঋণ প্রদান করেছে, যার প্রায় পুরোটাই দুটি ব্যাংক ও একটি বীমা কোম্পানি থেকে ঋণ নেওয়া। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের চাপ থেকেই ব্রোকারেজ হাউসটির কয়েকজন কর্মকর্তা কৌশলে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে থাকতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের নিজে থেকেই শেয়ার বিক্রি করতে বা ঋণ সমন্বয়ের অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের অনুরোধ জানানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
হ্যাক সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে এসইসির আইন ভেঙে মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা ছিল এমন শেয়ারেও মার্জিন ঋণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া এসইসি নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে এ ব্রোকারেজ হাউসে। এ নিয়ে এর আগে সমকালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগকারীরা জানান, দরপতনের ফলে মার্জিন ঋণে কেনা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাদের নিজস্ব মূলধন প্রায় নিঃশেষ হয়ে এসেছে, এখন তাদের শেয়ারই ফোর্স সেল করা হচ্ছে। এতে করে ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন যেসব বিনিয়োগকারী, তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। তবে দরপতনে যেসব বিনিয়োগকারীর নিজের মূলধন শেষ হওয়ার পর উল্টো দেনা হয়ে পড়েছেন, তাদের শেয়ার বিক্রি করা হচ্ছে না। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বাজারের অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে ব্রোকারেজ হাউসটির কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এ ক্ষেত্রে চিহ্নিত কারসাজির হোতা মাহবুব সারোয়ার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে বলে দাবি করেন।
অভিযোগকারীরা জানান, স্বাক্ষর জাল করার কাজে ব্রোকারেজ হাউসটির ফরিদপুর শাখার অনুমোদিত প্রতিনিধি মোঃ আতিক জড়িত। এ কাজের জন্য তাকে ঢাকায় আনা হয়েছে। স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণ করেছেন বলে দাবি করেন তারা। ওই ধারণ করা দৃশ্যে অভিযুক্ত আতিকও স্বাক্ষর জাল করার কথা স্বীকার করেছেন। যোগাযোগ করা হলে আতিক জানান, তিনি ব্রোকারেজ হাউসটির ফরিদপুর শাখায় কাজ করেন। তবে দুই মাস ধরে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে আছেন। ভিডিও ফুটেজে স্বাক্ষর জাল করার কাজে তার উপস্থিতির প্রমাণ রয়েছে_ অভিযোগকারীদের এমন দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রোকারেজ হাউসটির এক কর্মকর্তা ফোর্স সেল করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এমনভাবে ফোর্স সেল করা হচ্ছে, যাতে কোনোভাবেই প্রমাণিত না হয়, শেয়ারগুলো ফোর্স সেল করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ব্রোকারেজ হাউসটি প্রায় ৭০ কোটি টাকার মার্জিন ঋণ প্রদান করেছে, যার প্রায় পুরোটাই দুটি ব্যাংক ও একটি বীমা কোম্পানি থেকে ঋণ নেওয়া। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের চাপ থেকেই ব্রোকারেজ হাউসটির কয়েকজন কর্মকর্তা কৌশলে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে থাকতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের নিজে থেকেই শেয়ার বিক্রি করতে বা ঋণ সমন্বয়ের অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের অনুরোধ জানানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
হ্যাক সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে এসইসির আইন ভেঙে মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা ছিল এমন শেয়ারেও মার্জিন ঋণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া এসইসি নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে এ ব্রোকারেজ হাউসে। এ নিয়ে এর আগে সমকালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগকারীরা জানান, দরপতনের ফলে মার্জিন ঋণে কেনা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাদের নিজস্ব মূলধন প্রায় নিঃশেষ হয়ে এসেছে, এখন তাদের শেয়ারই ফোর্স সেল করা হচ্ছে। এতে করে ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন যেসব বিনিয়োগকারী, তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। তবে দরপতনে যেসব বিনিয়োগকারীর নিজের মূলধন শেষ হওয়ার পর উল্টো দেনা হয়ে পড়েছেন, তাদের শেয়ার বিক্রি করা হচ্ছে না। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বাজারের অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে ব্রোকারেজ হাউসটির কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এ ক্ষেত্রে চিহ্নিত কারসাজির হোতা মাহবুব সারোয়ার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে বলে দাবি করেন।
No comments