খালেদা জিয়ার লন্ডন সমাবেশে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আওয়ামী লীগের by আবদুল্লাহ আল মামুন
আগামী
সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন সমাবেশের দিকে
তীক্ষ্ণ নজর রাখছে আওয়ামী লীগ। নানা হিসাব-নিকাশ কষছেন দলটির
নীতি-নির্ধারকরা। যুক্তরাজ্য বিএনপির এ সমাবেশে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে
প্রায় তিন হাজার দলীয় নেতার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সেখানে বক্তৃতা করবেন
খালেদা জিয়া। তার বক্তব্যে দলটির বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে
গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা থাকবে বলে আশা করছেন দলটির বিভিন্ন স্তরের
নেতাকর্মীরা।
এদিকে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক শীর্ষ নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপির লন্ডন সমাবেশকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে আওয়ামী লীগ। সাম্প্রতিক দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের পর পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকায় অস্বস্তিতে থাকা বর্তমান সরকার লন্ডনে খালেদা জিয়ার এ সমাবেশকে ভালো চোখে নেয়নি। তাদের আশংকা ওই সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হতে পারে। পাশাপাশি প্রবাসী বিএনপি নেতাদের সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালানোর নির্দেশ দেয়া হবে।
২৭ অথবা ২৮ অক্টোবর লন্ডনের এ সমাবেশ হতে পারে বলে বিএনপিসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। ঢাকায় সরকারি সূত্রগুলো যুগান্তরকে জানিয়েছে, দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের পর পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকা তারা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নিরাপত্তার অজুহাতে অযৌক্তিক সতর্কবার্তা, দুজনের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এবং এ পরিস্থিতিতে লন্ডনে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলোর নেতাদের নিয়ে সমাবেশ আহ্বান- দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ক্ষমতাসীনদের ধারণা, জানুয়ারিতে ২০ দলীয় জোটের যে টানা ৩ মাসের অবরোধ কর্মসূচি হয়েছে, তা লন্ডনে বসে তারেক জিয়া প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাই এ মুহূর্তে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ জোটের বিভিন্ন নেতা লন্ডনে অবস্থান করায় সরকারবিরোধী পরিকল্পনা ছক আঁকা হতে পারে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নীতি-নির্ধারকের আশংকা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। দেশটিতে তার বড় ছেলে তারেক রহমান ওয়ান-ইলেভেনর পর থেকে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অর্জন অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সূচকে ভারত, পাকিস্তান, নেপালের চেয়ে আমরা অনেক এগিয়ে। এটা ঈর্ষার কারণ। তাই দেশী-বিদেশী চক্রান্ত চলছে। এসব ষড়যন্ত্র অতীতেও ছিল।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ যুগান্তরকে বলেন, এতদিন ছেলে লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করেছেন, এবার সেখানে গিয়ে ছেলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। তারা লন্ডনে বসে যা খুশি তাই করুক, আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। জানা গেছে, সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির লন্ডন সমাবেশের বিষয়ে সার্বিক খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। শুধুই বিএনপি নেতা নাকি এ সমাবেশে জামায়াতের নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন- তা আগেই জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া সমাবেশে কোন কোন বিষয়ে কথা বলবেন তা জানার চেষ্টা করছে সরকার ও আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্টরা। একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির লন্ডনের এ সমাবেশ প্রতিহত করার চেষ্টাও রয়েছে সেখানকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের। এ ব্যাপারে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এদিকে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক শীর্ষ নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপির লন্ডন সমাবেশকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে আওয়ামী লীগ। সাম্প্রতিক দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের পর পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকায় অস্বস্তিতে থাকা বর্তমান সরকার লন্ডনে খালেদা জিয়ার এ সমাবেশকে ভালো চোখে নেয়নি। তাদের আশংকা ওই সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হতে পারে। পাশাপাশি প্রবাসী বিএনপি নেতাদের সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালানোর নির্দেশ দেয়া হবে।
২৭ অথবা ২৮ অক্টোবর লন্ডনের এ সমাবেশ হতে পারে বলে বিএনপিসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। ঢাকায় সরকারি সূত্রগুলো যুগান্তরকে জানিয়েছে, দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের পর পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকা তারা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নিরাপত্তার অজুহাতে অযৌক্তিক সতর্কবার্তা, দুজনের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এবং এ পরিস্থিতিতে লন্ডনে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলোর নেতাদের নিয়ে সমাবেশ আহ্বান- দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ক্ষমতাসীনদের ধারণা, জানুয়ারিতে ২০ দলীয় জোটের যে টানা ৩ মাসের অবরোধ কর্মসূচি হয়েছে, তা লন্ডনে বসে তারেক জিয়া প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাই এ মুহূর্তে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ জোটের বিভিন্ন নেতা লন্ডনে অবস্থান করায় সরকারবিরোধী পরিকল্পনা ছক আঁকা হতে পারে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নীতি-নির্ধারকের আশংকা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। দেশটিতে তার বড় ছেলে তারেক রহমান ওয়ান-ইলেভেনর পর থেকে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অর্জন অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সূচকে ভারত, পাকিস্তান, নেপালের চেয়ে আমরা অনেক এগিয়ে। এটা ঈর্ষার কারণ। তাই দেশী-বিদেশী চক্রান্ত চলছে। এসব ষড়যন্ত্র অতীতেও ছিল।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ যুগান্তরকে বলেন, এতদিন ছেলে লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করেছেন, এবার সেখানে গিয়ে ছেলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। তারা লন্ডনে বসে যা খুশি তাই করুক, আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। জানা গেছে, সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির লন্ডন সমাবেশের বিষয়ে সার্বিক খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। শুধুই বিএনপি নেতা নাকি এ সমাবেশে জামায়াতের নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন- তা আগেই জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া সমাবেশে কোন কোন বিষয়ে কথা বলবেন তা জানার চেষ্টা করছে সরকার ও আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্টরা। একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির লন্ডনের এ সমাবেশ প্রতিহত করার চেষ্টাও রয়েছে সেখানকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের। এ ব্যাপারে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
No comments