বৃটিশ রাণীর প্রতি আমেরিকাকে ‘ফিরিয়ে নেয়ার’ আহ্বান!
অত্যধিক সংখ্যক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দেখে ত্যাক্তবিরক্ত হয়ে ‘আমেরিকাকে ফিরিয়ে নিতে’ বৃটিশ রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কাছে চিঠি লিখেছেন এক মার্কিন নাগরিক! তবে তার এমন উদ্ভট অনুরোধ ভদ্রভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন রাণী। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিটের এক ব্যবহারকারী জানান, বৃটিশ রাজপরিবারের প্রতি অনুরক্ত তার এক আমেরিকান বন্ধু সম্প্রতি বাকিংহ্যাম প্রাসাদ বরাবর এক চিঠি লিখেছেন। কারণ, আমেরিকায় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে অত্যধিক সংখ্যাক প্রার্থী (বিশেষ করে রিপাবলিকান দলের) দেখে তিনি বিরক্ত। শেষমেশ উপায়ন্তর খুঁজে না পেয়ে, ওই ভদ্রলোক বৃটিশ রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের কাছে চিঠি লিখেছেন। সে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমেরিকান জনগণের পক্ষ হতে, আমি আপনাকে সকাতরে অনুরোধ করছি, আমাদের আপনি ফিরিয়ে নিন। চিঠিতে তিনি আরও লিখেন, নেতা বেছে নেয়ার যে সমস্ত বিকল্প আমাদের রয়েছে তা পরিষ্কার অর্থেই সন্তোষজনক নয়। আবারও, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, দয়া করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও যুক্তরাজ্যের একটি উপনিবেশ বানান। আমি কেন এ বিষয়টিকে জরুরী বলে ভাবছি, তার অন্যতম কারণ হিসেবে আমি আপনাকে আজকে রাতের রিপাবলিকান পার্টির বিতর্ক দেখতে বলবো! ধন্যবাদ আপনাকে। ঈশ্বর রাণীকে রক্ষা করুন।
বৃটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডেপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, এ চিঠিটি ১৬ই সেপ্টেম্বর পাঠানো হয়েছি রাণীর কাছে। সেদিনই টিভি চ্যানেল সিএনএন আয়োজিত প্রাথমিক দলীয় বিতর্কে অংশ নিয়েছেন ১১ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।
পরবর্তীতে রাজপরিবারের আনুষ্ঠানিক কাগজে রাণীর ডেপুটি করেসপন্ডেন্স কো-অর্ডিনেটর (ডিসিসি) এ চিঠির উত্তর দিয়েছেন। তিনি ভদ্রোচিতভাবে এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। স্বভাবতই, এ উত্তরে সন্তুষ্ট নন বিরক্ত ওই আমেরিকান ভদ্রলোক। রাজপরিবারের পক্ষে দেয়া পাল্টা চিঠিতে ডিসিসি বলেন, আমেরিকান সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়ে রাণীর কাছে লেখা চিঠির প্রত্যুত্তর দিতে আমাকে বলা হয়েছে। আপনার মতামত সূচিত করা হয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত আপনি এটা মানবেন যে, কোনো স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাণীর হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। প্রসঙ্গত, রাজপরিবারের ঠিকানায় পাঠানো চিঠির উত্তর নিয়মিতই দেয়া হয়। এ বছরের শুরুতে রাণীকে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানিয়ে ছয় বছর বয়সী মেয়ের লেখা চিঠির উত্তরও দিয়েছিলেন রাণীর একজন সহকারী। সেখানে বলা হয়েছিল, রাণী আপনার চিন্তার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আপনি জন্মদিনে মিষ্টি কিছু সময় কাটাবেন।
বৃটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডেপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, এ চিঠিটি ১৬ই সেপ্টেম্বর পাঠানো হয়েছি রাণীর কাছে। সেদিনই টিভি চ্যানেল সিএনএন আয়োজিত প্রাথমিক দলীয় বিতর্কে অংশ নিয়েছেন ১১ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।
পরবর্তীতে রাজপরিবারের আনুষ্ঠানিক কাগজে রাণীর ডেপুটি করেসপন্ডেন্স কো-অর্ডিনেটর (ডিসিসি) এ চিঠির উত্তর দিয়েছেন। তিনি ভদ্রোচিতভাবে এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। স্বভাবতই, এ উত্তরে সন্তুষ্ট নন বিরক্ত ওই আমেরিকান ভদ্রলোক। রাজপরিবারের পক্ষে দেয়া পাল্টা চিঠিতে ডিসিসি বলেন, আমেরিকান সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়ে রাণীর কাছে লেখা চিঠির প্রত্যুত্তর দিতে আমাকে বলা হয়েছে। আপনার মতামত সূচিত করা হয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত আপনি এটা মানবেন যে, কোনো স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাণীর হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। প্রসঙ্গত, রাজপরিবারের ঠিকানায় পাঠানো চিঠির উত্তর নিয়মিতই দেয়া হয়। এ বছরের শুরুতে রাণীকে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানিয়ে ছয় বছর বয়সী মেয়ের লেখা চিঠির উত্তরও দিয়েছিলেন রাণীর একজন সহকারী। সেখানে বলা হয়েছিল, রাণী আপনার চিন্তার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আপনি জন্মদিনে মিষ্টি কিছু সময় কাটাবেন।
No comments