শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি
শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও কোনোটিরই কমেনি দাম। তবে পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারেই দাম কমেছে লাল শাক, পুঁই, ডাঁটা, পালংসহ বিভিন্ন ধরনের শাকের। বাজারে প্রতি আঁটি লাল শাকের দাম ১০-১৫ টাকা, পালং শাক ২০-২৫ টাকা, লাউ শাক ২৫-৩০ টাকা, কলমি ১০-১৫ টাকা এবং পুঁই শাক ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে ইলিশসহ সব ধরনের দেশী মাছের। কমেছে পেঁয়াজের দামও। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সব মিলিয়ে চলতি সপ্তায় বাজারে সবজি ছাড়া অন্যান্য পণ্যমূল্য মোটামুটি স্থিতিশীল বলেই মনে করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে সবজির দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দামই কেজিপ্রতি ৫০ টাকার ওপরে। প্রতি কেজি সিম ১২০-১৪০, বরবটি ৮০-৯০, ধুন্দল ৬০-৬৫, বেগুন ৬০-৭০, টমেটো ১২০-১৩০, কাঁকরোল ৬০-৭০, পটল ৫০-৫৫, মুলা ৫০-৬০, করলা ৭০-৮০, কচুর লতি ও কচুমুখী ৫০-৬০, পেঁপে ৩০-৩৫, আলু ২৬-২৮ এবং শশা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০, ফুল কপি ৩৫-৪০, পাতা কপি ৩০-৪০, চালকুমড়া ৪৫-৫০ এবং কাঁচা কলার হালি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এখনও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৪০ টাকা দরে।
মাছের বাজারে উত্তাপ কিছুটা কমার কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, ভরা বর্ষায় মাছের দাম ছিল চড়া। এখন বর্ষার পানি নেমে যাওয়ায় নদী-নালা, খাল-বিলে প্রচুর দেশী মাছ ধরা পড়ছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা ইলিশ ধরায়ও ব্যস্ত সময় পার করছেন। অভয়রাণ্যগুলোয় প্রচুর রূপালী ইলিশও ধরা পড়ছে। এসব ইলিশ ও দেশী মাছের বড় একটা চালান ঢাকামুখী হওয়ায় কয়েক সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে মাছের দাম স্বস্তির সীমাতেই ওঠানামা করেছে।
অপরদিকে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মজুদ নিয়ে তিন মাসের (জুলাই-আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) টানা হাহাকারও এখন নেই। মিয়ানমার ও পাকিস্তানের পাশাপাশি মিসর থেকেও পেঁয়াজ আনা হচ্ছে দেশে। ফলে মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের বড় আমদানিকারক দেশ ভারতের বাজারে কমে এসেছে দাম। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের বাজারেও।
সুতরাং মাছ ও পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে এ স্বস্তি কেড়ে নিচ্ছে সবজির বাজার চড়া থাকায়। ফলে ক্রেতার নাকাল অবস্থা থেকে এখনও পরিত্রাণ মিলেনি। বাজারে এখনও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায় এবং অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা দুলাল মণ্ডল বলেন, এখন সবজির মৌসুম না। কিছু আগাম শীতকালীন শাক-সবজি বাজারে আসছে। তবে এর পরিমাণ খুব বেশি না; তাই দাম চড়া। তিনি বলেন, এবারের অতি বৃষ্টি ও অনেক স্থানে বন্যার কারণে অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তবে পানি নামার পর আবার সবজি লাগিয়েছেন চাষীরা। এসব সবজি এখনও বাজারে আসা শুরু হয়নি। এসব সবজি চলতি মাসের শেষ দিকে এবং আগামী মাসের শুরুর দিকে বাজারে আসতে পারে। তখন হয়ত সবজির দাম কমবে।
বাজারে দেশী এবং সামুদ্রিক সব ধরনের মাছের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। এ জন্য দামও কমেছে। বাজারে ৭০০-৮০০ গ্রামের একটি ইলিশ ১০০০-১২০০, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৬০-২২০, পাঙ্গাশ ১৩০-১৮০, কৈ মাছ ২০০- ৩০০, বড় দেশী রুই ও কাতল ৪০০-৫০০, আমদানিকৃত রুই-কাতল ৩২০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আইড়, বোয়াল, কোরাল, বেলে, চিংড়ি, রূপচাঁদা বাইমজাতীয় মাছের দাম কেজি ৭০০ টাকার ওপরে।
মাছ বিক্রেতা মহব্বত আলী জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দামও কমেছে। ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ গত সপ্তাহে প্রতি জোড়া প্রায় ১২০০ টাকায় বিক্রি হলেও তা বর্তমানে ১০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতিটির দাম ২০০-৩০০ টাকা কমে ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আবার ১ কেজির বেশি ওজনের প্রতিটি ইলিশের দাম ১৬০০-১৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে- যা গত সপ্তাহে ২০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
টানা কয়েক মাস পর রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দেশী এবং আমদানিকৃত উভয় প্রকার পেঁয়াজে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ৬৫-৭০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০-৫৫ ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা, দেশী আদা ১৩০-১৪০, ভারতীয় আদা ১৩০ ও চীনা আদা ১০০, দেশী রসুন ৮০-৯০, চীনা রসুন ১০৫-১১০ ও তিন দানা রসুন ১৩০ টাকা এবং ধনে পাতা ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে সবজির দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দামই কেজিপ্রতি ৫০ টাকার ওপরে। প্রতি কেজি সিম ১২০-১৪০, বরবটি ৮০-৯০, ধুন্দল ৬০-৬৫, বেগুন ৬০-৭০, টমেটো ১২০-১৩০, কাঁকরোল ৬০-৭০, পটল ৫০-৫৫, মুলা ৫০-৬০, করলা ৭০-৮০, কচুর লতি ও কচুমুখী ৫০-৬০, পেঁপে ৩০-৩৫, আলু ২৬-২৮ এবং শশা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০, ফুল কপি ৩৫-৪০, পাতা কপি ৩০-৪০, চালকুমড়া ৪৫-৫০ এবং কাঁচা কলার হালি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এখনও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৪০ টাকা দরে।
মাছের বাজারে উত্তাপ কিছুটা কমার কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, ভরা বর্ষায় মাছের দাম ছিল চড়া। এখন বর্ষার পানি নেমে যাওয়ায় নদী-নালা, খাল-বিলে প্রচুর দেশী মাছ ধরা পড়ছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা ইলিশ ধরায়ও ব্যস্ত সময় পার করছেন। অভয়রাণ্যগুলোয় প্রচুর রূপালী ইলিশও ধরা পড়ছে। এসব ইলিশ ও দেশী মাছের বড় একটা চালান ঢাকামুখী হওয়ায় কয়েক সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে মাছের দাম স্বস্তির সীমাতেই ওঠানামা করেছে।
অপরদিকে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মজুদ নিয়ে তিন মাসের (জুলাই-আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) টানা হাহাকারও এখন নেই। মিয়ানমার ও পাকিস্তানের পাশাপাশি মিসর থেকেও পেঁয়াজ আনা হচ্ছে দেশে। ফলে মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের বড় আমদানিকারক দেশ ভারতের বাজারে কমে এসেছে দাম। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের বাজারেও।
সুতরাং মাছ ও পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে এ স্বস্তি কেড়ে নিচ্ছে সবজির বাজার চড়া থাকায়। ফলে ক্রেতার নাকাল অবস্থা থেকে এখনও পরিত্রাণ মিলেনি। বাজারে এখনও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায় এবং অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা দুলাল মণ্ডল বলেন, এখন সবজির মৌসুম না। কিছু আগাম শীতকালীন শাক-সবজি বাজারে আসছে। তবে এর পরিমাণ খুব বেশি না; তাই দাম চড়া। তিনি বলেন, এবারের অতি বৃষ্টি ও অনেক স্থানে বন্যার কারণে অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তবে পানি নামার পর আবার সবজি লাগিয়েছেন চাষীরা। এসব সবজি এখনও বাজারে আসা শুরু হয়নি। এসব সবজি চলতি মাসের শেষ দিকে এবং আগামী মাসের শুরুর দিকে বাজারে আসতে পারে। তখন হয়ত সবজির দাম কমবে।
বাজারে দেশী এবং সামুদ্রিক সব ধরনের মাছের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। এ জন্য দামও কমেছে। বাজারে ৭০০-৮০০ গ্রামের একটি ইলিশ ১০০০-১২০০, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৬০-২২০, পাঙ্গাশ ১৩০-১৮০, কৈ মাছ ২০০- ৩০০, বড় দেশী রুই ও কাতল ৪০০-৫০০, আমদানিকৃত রুই-কাতল ৩২০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আইড়, বোয়াল, কোরাল, বেলে, চিংড়ি, রূপচাঁদা বাইমজাতীয় মাছের দাম কেজি ৭০০ টাকার ওপরে।
মাছ বিক্রেতা মহব্বত আলী জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দামও কমেছে। ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ গত সপ্তাহে প্রতি জোড়া প্রায় ১২০০ টাকায় বিক্রি হলেও তা বর্তমানে ১০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতিটির দাম ২০০-৩০০ টাকা কমে ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আবার ১ কেজির বেশি ওজনের প্রতিটি ইলিশের দাম ১৬০০-১৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে- যা গত সপ্তাহে ২০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
টানা কয়েক মাস পর রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দেশী এবং আমদানিকৃত উভয় প্রকার পেঁয়াজে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ৬৫-৭০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০-৫৫ ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা, দেশী আদা ১৩০-১৪০, ভারতীয় আদা ১৩০ ও চীনা আদা ১০০, দেশী রসুন ৮০-৯০, চীনা রসুন ১০৫-১১০ ও তিন দানা রসুন ১৩০ টাকা এবং ধনে পাতা ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
No comments