ইহুদি গণহত্যায় দায়ী জার্মানিই: মেরকেল
বার্লিনে সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু l ছবি: এএফপি |
জার্মানি
বলেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপে ইহুদি গণহত্যার জন্য তারাই দায়ী।
তখনকার ফিলিস্তিনি গ্র্যান্ড মুফতি ইহুদি গণহত্যায় উৎসাহ
দিয়েছিলেন—ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এমন বিতর্কিত
মন্তব্যের পর জার্মানির এই বক্তব্য এল। এদিকে ওই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু
হওয়ার পর পিছু হটেছেন নেতানিয়াহু। খবর বিবিসি ও এএফপির।
নেতানিয়াহু গত মঙ্গলবার জেরুজালেমে ওয়ার্ল্ড জায়নিস্ট কংগ্রেসে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলার প্রথম দিকে ইহুদিদের নিশ্চিহ্ন করতে চাননি। তিনি কেবল তাদের বিতাড়িত করতে চেয়েছিলেন। জেরুজালেমের তখনকার গ্র্যান্ড মুফতি হজ আমিন আল-হুসেইনির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই কেবল হিটলার ওই সিদ্ধান্ত নেন। নেতানিয়াহু দাবি করেন, মুফতি হিটলারকে বলেছিলেন, ‘তাদের (ইহুদিদের) পুড়িয়ে দিন’।
ফিলিস্তিনি নেতাদের পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরোধী রাজনীতিক এবং ইতিহাসবিদেরাও নেতানিয়াহুর মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এবার হিটলারের দেশ খোদ জার্মানি থেকেই নেতানিয়াহুর বক্তব্যের বিরোধিতা হলো।
এদিকে নেতানিয়াহু পূর্বনির্ধারিত সফরে বার্লিনে গিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মেরকেল বলেন, ‘জার্মানরা স্পষ্টভাবেই জানে যে এ দেশের নাৎসিরাই ইহুদি হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ী ছিল।’ মেরকেলের পাশে দাঁড়িয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ওই গণহত্যার জন্য হিটলার দায়ী, এ কথা কারোরই অস্বীকার করা উচিত নয়।’
বিতর্ক ওঠায় এর আগেই নেতানিয়াহু তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেন। বার্লিনের উদ্দেশে বিমানে ওঠার কিছুক্ষণ আগে নেতানিয়াহু বলেন, ইউরোপীয় ইহুদিদের হত্যার দায় থেকে হিটলারকে নিষ্কৃতি দেওয়ার কোনো অভিপ্রায় তাঁর ছিল না। ইহুদি হত্যার সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন তিনিই। তবে মুফতি হুসেইনি যে ভূমিকা রেখেছিলেন, তাও অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই।
জেরুজালেমের তখনকার গ্র্যান্ড মুফতি হুসেইনি ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদী। তিনি ফিলিস্তিনকে ইহুদি ও আরব রাষ্ট্রে ভাগ করার ব্রিটিশ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সহিংস প্রচারণা শুরু করেন। ১৯৩৭ সালে তিনি পালিয়ে গেলেও প্রচারণা অব্যাহত রাখেন। ১৯৪১ সালে হুসেইনি বার্লিনে হিটলারের সঙ্গে দেখা করে আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করেন।
নেতানিয়াহু-কেরি বৈঠক: বার্লিনে পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বৈঠক করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে কেরি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলমান সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানান।
জেরুজালেমে সন্দেহভাজন এক ফিলিস্তিনির ছুরিকাঘাতে আরেক ইসরায়েলি আহত হওয়ার খবরের মধ্যে নেতানিয়াহু ও কেরির বৈঠক হলো। গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতাকে নতুন দফা ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা গণ-অভ্যুত্থান শুরুর ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেকে।
নেতানিয়াহু গত মঙ্গলবার জেরুজালেমে ওয়ার্ল্ড জায়নিস্ট কংগ্রেসে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলার প্রথম দিকে ইহুদিদের নিশ্চিহ্ন করতে চাননি। তিনি কেবল তাদের বিতাড়িত করতে চেয়েছিলেন। জেরুজালেমের তখনকার গ্র্যান্ড মুফতি হজ আমিন আল-হুসেইনির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই কেবল হিটলার ওই সিদ্ধান্ত নেন। নেতানিয়াহু দাবি করেন, মুফতি হিটলারকে বলেছিলেন, ‘তাদের (ইহুদিদের) পুড়িয়ে দিন’।
ফিলিস্তিনি নেতাদের পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরোধী রাজনীতিক এবং ইতিহাসবিদেরাও নেতানিয়াহুর মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এবার হিটলারের দেশ খোদ জার্মানি থেকেই নেতানিয়াহুর বক্তব্যের বিরোধিতা হলো।
এদিকে নেতানিয়াহু পূর্বনির্ধারিত সফরে বার্লিনে গিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মেরকেল বলেন, ‘জার্মানরা স্পষ্টভাবেই জানে যে এ দেশের নাৎসিরাই ইহুদি হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ী ছিল।’ মেরকেলের পাশে দাঁড়িয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ওই গণহত্যার জন্য হিটলার দায়ী, এ কথা কারোরই অস্বীকার করা উচিত নয়।’
বিতর্ক ওঠায় এর আগেই নেতানিয়াহু তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেন। বার্লিনের উদ্দেশে বিমানে ওঠার কিছুক্ষণ আগে নেতানিয়াহু বলেন, ইউরোপীয় ইহুদিদের হত্যার দায় থেকে হিটলারকে নিষ্কৃতি দেওয়ার কোনো অভিপ্রায় তাঁর ছিল না। ইহুদি হত্যার সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন তিনিই। তবে মুফতি হুসেইনি যে ভূমিকা রেখেছিলেন, তাও অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই।
জেরুজালেমের তখনকার গ্র্যান্ড মুফতি হুসেইনি ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদী। তিনি ফিলিস্তিনকে ইহুদি ও আরব রাষ্ট্রে ভাগ করার ব্রিটিশ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সহিংস প্রচারণা শুরু করেন। ১৯৩৭ সালে তিনি পালিয়ে গেলেও প্রচারণা অব্যাহত রাখেন। ১৯৪১ সালে হুসেইনি বার্লিনে হিটলারের সঙ্গে দেখা করে আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করেন।
নেতানিয়াহু-কেরি বৈঠক: বার্লিনে পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বৈঠক করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে কেরি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলমান সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানান।
জেরুজালেমে সন্দেহভাজন এক ফিলিস্তিনির ছুরিকাঘাতে আরেক ইসরায়েলি আহত হওয়ার খবরের মধ্যে নেতানিয়াহু ও কেরির বৈঠক হলো। গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতাকে নতুন দফা ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা গণ-অভ্যুত্থান শুরুর ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেকে।
No comments