অফ সিজনে তরতাজা তরমুজ by বিপুল আশরাফ
চুয়াডাঙ্গার সুবদিয়া গ্রামে একটি তরমুজের ক্ষেত : নয়া দিগন্ত |
চুয়াডাঙ্গায়
অফ সিজনে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। ব্যাপক লাভ হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে
আগ্রহ বেড়েছে। তরমুজ এখন আর মওসুমি ফল নয়। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন হাটবাজারে
তরতাজা তরমুজ বিক্রি হয়। বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ৭০
দিনের এ আবাদে বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয় ৮০-১০০ মণ।
লম্বা লম্বা মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। প্রতিটি তরমুজের ওজন দুই থেকে সাড়ে তিন কেজি। বীজ বপনের ৪০ দিনের মাথায় ফুল থেকে ফল আসে। আর ফল ধরার ৩০-৩৫ দিন হলে খাওয়ার উপযোগী হয়। তাইওয়ানের হাইব্রিড জাতের তরমুজ ব্লাক বেবি ও জেসমিন বছরের শীতকাল বাদে সারা বছর চাষ করা যায়। সাধারণ তরমুজের তুলনায় মিষ্টি ও স্বাদ বেশি। সাধারণত দেশী তরমুজ শীতকালে বপন করা হয়। এ তরমুজ ফুরিয়ে গেলে হাইব্রিড জাতের তরমুজ বাজারে আসে।
বছরে দুই-তিনবার আবাদ করা যায়। এখানে ব্লাক বেবি, জেসমিন-১ ও ২ জাতের তরমুজ বেশি চাষ হয়। কম্পোস্ট, জিপসাম, টিএসপি, এমওপি সার দিয়ে জমি তৈরি করে নিতে হয়। পরে জমিতে মালচিং পেপার বসিয়ে দিয়ে দেড় হাত পর পর বীজ বপন করতে হয়। গাছ বড় হলে বাঁশের তৈরি মাচায় গাছ তুলে দেয়া হয়। ফুল থেকে ফল ধরা শুরু হলে প্রতিটি তরমুজ নেটের ব্যাগের মধ্যে ভরে বেঁধে দেয়া হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার চার উপজেলায় গ্রীষ্ককালীন তরমুজ চাষ হয়েছে ৬০০ বিঘা জমিতে। অনেক কৃষক রোজাকে সামনে রেখে তরমুজ আবাদ করেছিলেন। রোজার বেচাকেনা শেষে পরে আবার সেই জমিতে অনেক হাইব্রিড তরমুজ আবাদ করেন। গেল সপ্তাহ থেকে এ তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। চুয়াডাঙ্গায় খুচরাবাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।
কয়েকজন কৃষক বলেন, বৈশাখ মাসের শুরুতে চাষ করলে বছরে একই জমিতে তিনবার তরমুজ চাষ করা যায়। প্রথমবার এক বিঘা আবাদে খরচ হয় ৪০-৪৫ হাজার টাকা। পরেরবার খরচ কিছুটা কমে আসে। কারণ পরেরবার বাঁশের মাচা ও মালচিং পেপার দিতে হয় না। কিটনাশক তেমন একটা লাগে না। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ফেরোমেন ট্যাবলেট দিতে হয়। খরচ বাদে বিঘাপ্রতি লাভ থাকে প্রায় লাখ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নির্মলকুমার দে বলেন, বিষমুক্ত তরমুজ। গতানুগতিকভাবে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে যে তরমুজ পাওয়া যায়। লাল টকটকে প্রতিটি তরমুজের ওজন দুই-চার কেজির মধ্যে। অফ সিজনের এ তরমুজ খুব সুমিষ্ট। গত বছর জেলায় আবাদ হয়েছিল মাত্র চার বিঘা জমিতে। লাভ হওয়ায় এবার আবাদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ বিঘা। সবজি আবাদের মতো চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা অফ সিজনের তরমুজ আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন।
লম্বা লম্বা মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। প্রতিটি তরমুজের ওজন দুই থেকে সাড়ে তিন কেজি। বীজ বপনের ৪০ দিনের মাথায় ফুল থেকে ফল আসে। আর ফল ধরার ৩০-৩৫ দিন হলে খাওয়ার উপযোগী হয়। তাইওয়ানের হাইব্রিড জাতের তরমুজ ব্লাক বেবি ও জেসমিন বছরের শীতকাল বাদে সারা বছর চাষ করা যায়। সাধারণ তরমুজের তুলনায় মিষ্টি ও স্বাদ বেশি। সাধারণত দেশী তরমুজ শীতকালে বপন করা হয়। এ তরমুজ ফুরিয়ে গেলে হাইব্রিড জাতের তরমুজ বাজারে আসে।
বছরে দুই-তিনবার আবাদ করা যায়। এখানে ব্লাক বেবি, জেসমিন-১ ও ২ জাতের তরমুজ বেশি চাষ হয়। কম্পোস্ট, জিপসাম, টিএসপি, এমওপি সার দিয়ে জমি তৈরি করে নিতে হয়। পরে জমিতে মালচিং পেপার বসিয়ে দিয়ে দেড় হাত পর পর বীজ বপন করতে হয়। গাছ বড় হলে বাঁশের তৈরি মাচায় গাছ তুলে দেয়া হয়। ফুল থেকে ফল ধরা শুরু হলে প্রতিটি তরমুজ নেটের ব্যাগের মধ্যে ভরে বেঁধে দেয়া হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার চার উপজেলায় গ্রীষ্ককালীন তরমুজ চাষ হয়েছে ৬০০ বিঘা জমিতে। অনেক কৃষক রোজাকে সামনে রেখে তরমুজ আবাদ করেছিলেন। রোজার বেচাকেনা শেষে পরে আবার সেই জমিতে অনেক হাইব্রিড তরমুজ আবাদ করেন। গেল সপ্তাহ থেকে এ তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। চুয়াডাঙ্গায় খুচরাবাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।
কয়েকজন কৃষক বলেন, বৈশাখ মাসের শুরুতে চাষ করলে বছরে একই জমিতে তিনবার তরমুজ চাষ করা যায়। প্রথমবার এক বিঘা আবাদে খরচ হয় ৪০-৪৫ হাজার টাকা। পরেরবার খরচ কিছুটা কমে আসে। কারণ পরেরবার বাঁশের মাচা ও মালচিং পেপার দিতে হয় না। কিটনাশক তেমন একটা লাগে না। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ফেরোমেন ট্যাবলেট দিতে হয়। খরচ বাদে বিঘাপ্রতি লাভ থাকে প্রায় লাখ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নির্মলকুমার দে বলেন, বিষমুক্ত তরমুজ। গতানুগতিকভাবে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে যে তরমুজ পাওয়া যায়। লাল টকটকে প্রতিটি তরমুজের ওজন দুই-চার কেজির মধ্যে। অফ সিজনের এ তরমুজ খুব সুমিষ্ট। গত বছর জেলায় আবাদ হয়েছিল মাত্র চার বিঘা জমিতে। লাভ হওয়ায় এবার আবাদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ বিঘা। সবজি আবাদের মতো চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা অফ সিজনের তরমুজ আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন।
No comments