নাটোরে প্রতিমা ভাংচুর : প্রতিবাদে থানা ঘেরাও
গুরুদাসপুরে প্রতিমা ভাঙার প্রতিবাদে হিন্দুদের বিক্ষোভ -যুগান্তর |
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কাচারীপাড়া কালীমন্দিরে পাহারারত আনসার সদস্যদের মারধর করে সেখানকার ৫টি প্রতিমা ভাংচুর করেছে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার সকালে এলাকার হাজার হাজার হিন্দু নারী-পুরুষ ও শিশু লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে আসেন। একপর্যায়ে তারা গুরুদাসপুর ও চাঁচকৈড় বাজারের রাস্তার মোড়ে মোড়ে টায়ারে আগুন দিয়ে এবং গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেন। প্রতিমা ভাংচুরের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। আহত আনসার সদস্য বজলু ও রজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফজাতে নেয়া হয়েছে। পুলিশ হেফাজতেই তাদের চিকিৎসা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে গুরুদাসপুর থানার সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার সনাতন ধর্ম অনুসারী নারী-পুরুষ লাঠি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গুরুদাসপুর থানা ঘেরাও করেন। বিজয়া দশমীর রাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা থেকে অবরোধ তুলবেন না বলে ঘোষণা দেন। জড়িতরা আটক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন না দেয়ারও ঘোষণা দেন তারা। বিক্ষোভের সময় গুরুদাসপুর ও চাঁচকৈড়ের দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় কাউকে চলাচল করতে দেখা যায়নি।
এদিকে আন্দোলন থামাতে উপজেলা প্রশাসন ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সি শাহাবুদ্দীন ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ মোল্লা বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. মশিউর রহমান, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জী ও জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুরুদাসপুরে জরুরি সভায় বসেন। জুমার নামাজের সময় বিরতি দিয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলা বৈঠক শেষে সব অভিযুক্তকে দ্রুত আটক করে বিচারের আওতায় আনার নিশ্চয়তা দেয়া হলে বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফিরে যান।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে চাঁচকৈড় কাচারীপাড়া মহল্লার খিজিরশাহ (৫০) তার ছেলে ট্রাকচালক জাহিদ হোসেন (২১) ও সাহাপুর গ্রামের সোলায়মানের ছেলে ওমর খন্দকারকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সরকার যুগান্তরকে জানান, মণ্ডপে সন্ত্রাসী হামার ঘটনায় হিন্দুধর্মের সবার মাঝে শোক আর ক্ষোভ বিরাজ করায় এবার তারা উৎসব ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছেন।
এদিকে আন্দোলন থামাতে উপজেলা প্রশাসন ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সি শাহাবুদ্দীন ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ মোল্লা বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. মশিউর রহমান, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জী ও জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুরুদাসপুরে জরুরি সভায় বসেন। জুমার নামাজের সময় বিরতি দিয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলা বৈঠক শেষে সব অভিযুক্তকে দ্রুত আটক করে বিচারের আওতায় আনার নিশ্চয়তা দেয়া হলে বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফিরে যান।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে চাঁচকৈড় কাচারীপাড়া মহল্লার খিজিরশাহ (৫০) তার ছেলে ট্রাকচালক জাহিদ হোসেন (২১) ও সাহাপুর গ্রামের সোলায়মানের ছেলে ওমর খন্দকারকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সরকার যুগান্তরকে জানান, মণ্ডপে সন্ত্রাসী হামার ঘটনায় হিন্দুধর্মের সবার মাঝে শোক আর ক্ষোভ বিরাজ করায় এবার তারা উৎসব ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছেন।
No comments