আমি জেগে স্বপ্ন দেখি না
প্রশ্ন : আপনার দ্বিতীয় সন্তান মাতেও’র জন্মের সময় দিনটা কেমন কেটেছিল? সেসময় আপনার অনুভূতি কী ছিল?
মেসি : সেটি এমন একটি দিন ছিল, যে দিন আমরা ভিন্ন ভিন্ন আবেগের মধ্য দিয়ে গেছি। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে ওই দিনটি ছিল আমাদের জন্য বিশাল আনন্দের।
প্রশ্ন : লিও মেসির জীবনে একটি গতানুগতিক দিন কীভাবে কাটে?
মেসি : অন্য যে কোনো ক্রীড়াবিদের মতো। অনুশীলন শেষ করা। এরপর অন্যরা যা করে, তাই। বাকি সময় কাটে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে।
প্রশ্ন : থিয়াগো ও মাতেও’র বাবা হওয়ার পর ফুটবল নিয়ে আপনার ধ্যান-ধারণায় কি কোনো পরিবর্তন এসেছে?
মেসি : ফুটবলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে, কোনো কিছুই বদলায়নি। তবে হ্যাঁ, যে কোনো বাবার মতো একটা দায়িত্বের মুখোমুখি হয়েছি। সেই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে সন্তানদের মানুষ করে তোলা।
প্রশ্ন : একবার আমি লিখেছিলাম, আপনার মতো প্রতিযোগীর কাছে প্রতিটি পরাজয় একটি ছোটখাটো মৃত্যুর মতো। প্রায়শই হেরে গেলে আপনি কাঁদেন। এখন আপনি একজন বাবা। এখন কীভাবে পরাজয়ের মোকাবেলা করেন?
মেসি : ঠিক একইভাবে। একটির সঙ্গে আরেকটির কোনো সম্পর্ক নেই। এখনও আমি হারতে ঘৃণা করি। কিন্তু মাঠে হেরে যখন ঘরে ফিরি, জানি দুই ছেলেকে দেখে সান্ত্বনা পাব।
প্রশ্ন : মাঝে মাঝে ফুটবলবিশ্বকে দেখে মনে হয়, এটি বুঝি অন্য গ্রহ থেকে এসেছে। কৃত্রিম বিতর্ক ছড়ানো হয়। মিথ্যা এমনভাবে বলা হয় যেন সেটাই সত্যি। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ের ওপর এতটাই জোর দেয়া হয় যেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কি নিজেকে কখনও মনে হয় যে, আপনি অন্য কোনো পৃথিবীর? উন্মাদদের ভরা বিশ্বে নিতান্তই এক বালক?
মেসি : হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যবশত আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যে সমাজ ঘণ্টায় ১ হাজার কিলোমিটার পার করে। আর ফুটবলের মতো জনপ্রিয় খেলা, যেটি ক্রমে পল্লবিত হতে থাকে, বহু লোকের সমস্যা গতি-নিয়ন্ত্রক বস্তু হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন : মাঠে আপনার বদলে যাওয়া রূপ। এখন আপনি গোল করার পাশাপাশি গোটা দলকে খেলান। এই বিবর্তন কি স্বভাবজাত?
মেসি : না, অবশ্যই না। আমরা সব সময় এটা অব্যাহত রাখব। প্রতিটি ম্যাচে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে এটা আমাদের করতে হবে। কখনও কখনও পরিস্থিতি নিচে নেমে এসে খেলতে বাধ্য করে। তখন বল বাড়াতে হয় অন্যদের দিকে। আবার কখনও সামনে এগোতে হয়। গোল করার জন্য।
প্রশ্ন : ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় আপনি কি উপকৃত হয়েছেন?
মেসি : এসব কথা লোকে বলে। আমি ক্রিশ্চিয়ানোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি না। আশা করি, সেও আমার সঙ্গে তা করে না। আমি যেটি চাই সেটি হল, নিজের দলকে সেরাটা দেয়া। এ নিয়েই আমি কাজ করছি।
প্রশ্ন : আপনি কি এটা স্বীকার করবেন যে, আর্জেন্টিনার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক সব সময় ভালোবাসা ও ঘৃণার হয়ে থাকবে?
মেসি : সত্যি বলতে কী, আমি খুব ভালো করেই জানি, আমরা আর্জেন্টাইনরা ফুটবলের প্রতি ভীষণ আবেগপ্রবণ। যারা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে, আমরা তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করি। কেউ কেউ আমদের অপদস্থ করে। দেশের হয়ে যারা খেলে তাদের মূল্যায়ন করে না। তারপরও আমি তাদের নিন্দা করতে পারি না। প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত দেয়ার অধিকার রয়েছে।
প্রশ্ন : অন্য কোনো লীগে এখনও খেলবেন?
মেসি : অতদূরের কথা ভাবতে চাই না। আমি বর্তমান নিয়ে বাঁচি। আমার বর্তমান বার্সেলোনা। স্প্যানিশ লীগ। এখানেই আমার রুটি-রুজি। ভালো আছি এখানেই।
প্রশ্ন : ফুটবল খুব বেশি দেখেন? টেলিভিশনে?
মেসি : হ্যাঁ, টিভিতে আমি ফুটবল ম্যাচ ভীষণ উপভোগ করি।
প্রশ্ন : আপনি কি জেগে স্বপ্ন দেখেন?
মেসি : আমি জেগে স্বপ্ন দেখি না। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সময় কাটাতে চাই। স্বপ্ন না দেখে কাটিয়ে দিতে চাই গোটা দিন। অবশ্যই আমার কিছু আশা-আকাক্সক্ষা আছে। তবে সেসব একান্তই ব্যক্তিগত।
সংক্ষেপিত। ইয়াহু স্পোর্ট থেকে।
মেসি : সেটি এমন একটি দিন ছিল, যে দিন আমরা ভিন্ন ভিন্ন আবেগের মধ্য দিয়ে গেছি। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে ওই দিনটি ছিল আমাদের জন্য বিশাল আনন্দের।
প্রশ্ন : লিও মেসির জীবনে একটি গতানুগতিক দিন কীভাবে কাটে?
মেসি : অন্য যে কোনো ক্রীড়াবিদের মতো। অনুশীলন শেষ করা। এরপর অন্যরা যা করে, তাই। বাকি সময় কাটে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে।
প্রশ্ন : থিয়াগো ও মাতেও’র বাবা হওয়ার পর ফুটবল নিয়ে আপনার ধ্যান-ধারণায় কি কোনো পরিবর্তন এসেছে?
মেসি : ফুটবলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে, কোনো কিছুই বদলায়নি। তবে হ্যাঁ, যে কোনো বাবার মতো একটা দায়িত্বের মুখোমুখি হয়েছি। সেই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে সন্তানদের মানুষ করে তোলা।
প্রশ্ন : একবার আমি লিখেছিলাম, আপনার মতো প্রতিযোগীর কাছে প্রতিটি পরাজয় একটি ছোটখাটো মৃত্যুর মতো। প্রায়শই হেরে গেলে আপনি কাঁদেন। এখন আপনি একজন বাবা। এখন কীভাবে পরাজয়ের মোকাবেলা করেন?
মেসি : ঠিক একইভাবে। একটির সঙ্গে আরেকটির কোনো সম্পর্ক নেই। এখনও আমি হারতে ঘৃণা করি। কিন্তু মাঠে হেরে যখন ঘরে ফিরি, জানি দুই ছেলেকে দেখে সান্ত্বনা পাব।
প্রশ্ন : মাঝে মাঝে ফুটবলবিশ্বকে দেখে মনে হয়, এটি বুঝি অন্য গ্রহ থেকে এসেছে। কৃত্রিম বিতর্ক ছড়ানো হয়। মিথ্যা এমনভাবে বলা হয় যেন সেটাই সত্যি। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ের ওপর এতটাই জোর দেয়া হয় যেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কি নিজেকে কখনও মনে হয় যে, আপনি অন্য কোনো পৃথিবীর? উন্মাদদের ভরা বিশ্বে নিতান্তই এক বালক?
মেসি : হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যবশত আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যে সমাজ ঘণ্টায় ১ হাজার কিলোমিটার পার করে। আর ফুটবলের মতো জনপ্রিয় খেলা, যেটি ক্রমে পল্লবিত হতে থাকে, বহু লোকের সমস্যা গতি-নিয়ন্ত্রক বস্তু হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন : মাঠে আপনার বদলে যাওয়া রূপ। এখন আপনি গোল করার পাশাপাশি গোটা দলকে খেলান। এই বিবর্তন কি স্বভাবজাত?
মেসি : না, অবশ্যই না। আমরা সব সময় এটা অব্যাহত রাখব। প্রতিটি ম্যাচে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে এটা আমাদের করতে হবে। কখনও কখনও পরিস্থিতি নিচে নেমে এসে খেলতে বাধ্য করে। তখন বল বাড়াতে হয় অন্যদের দিকে। আবার কখনও সামনে এগোতে হয়। গোল করার জন্য।
প্রশ্ন : ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় আপনি কি উপকৃত হয়েছেন?
মেসি : এসব কথা লোকে বলে। আমি ক্রিশ্চিয়ানোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি না। আশা করি, সেও আমার সঙ্গে তা করে না। আমি যেটি চাই সেটি হল, নিজের দলকে সেরাটা দেয়া। এ নিয়েই আমি কাজ করছি।
প্রশ্ন : আপনি কি এটা স্বীকার করবেন যে, আর্জেন্টিনার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক সব সময় ভালোবাসা ও ঘৃণার হয়ে থাকবে?
মেসি : সত্যি বলতে কী, আমি খুব ভালো করেই জানি, আমরা আর্জেন্টাইনরা ফুটবলের প্রতি ভীষণ আবেগপ্রবণ। যারা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে, আমরা তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করি। কেউ কেউ আমদের অপদস্থ করে। দেশের হয়ে যারা খেলে তাদের মূল্যায়ন করে না। তারপরও আমি তাদের নিন্দা করতে পারি না। প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত দেয়ার অধিকার রয়েছে।
প্রশ্ন : অন্য কোনো লীগে এখনও খেলবেন?
মেসি : অতদূরের কথা ভাবতে চাই না। আমি বর্তমান নিয়ে বাঁচি। আমার বর্তমান বার্সেলোনা। স্প্যানিশ লীগ। এখানেই আমার রুটি-রুজি। ভালো আছি এখানেই।
প্রশ্ন : ফুটবল খুব বেশি দেখেন? টেলিভিশনে?
মেসি : হ্যাঁ, টিভিতে আমি ফুটবল ম্যাচ ভীষণ উপভোগ করি।
প্রশ্ন : আপনি কি জেগে স্বপ্ন দেখেন?
মেসি : আমি জেগে স্বপ্ন দেখি না। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সময় কাটাতে চাই। স্বপ্ন না দেখে কাটিয়ে দিতে চাই গোটা দিন। অবশ্যই আমার কিছু আশা-আকাক্সক্ষা আছে। তবে সেসব একান্তই ব্যক্তিগত।
সংক্ষেপিত। ইয়াহু স্পোর্ট থেকে।
No comments