বেপরোয়া ‘ওলামা লীগ’
ক্রমশ
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্বঘোষিত ‘আওয়ামী ওলামা লীগ’। একের পর এক সশস্ত্র সংঘাত
সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছে পরগাছা সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। একে-অপরকে দোষারোপ
করছে আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য বলে। এতে বিব্রতবোধ করছে দেশের আলেম
সমাজ। ইমেজ সঙ্কটে পড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ‘ওলামা লীগ’ নামে কোন
সংগঠনকে স্বীকার করে না আওয়ামী লীগ। তবু স্বঘোষিতভাবে গজিয়ে উঠেছে এক
ব্যানারে দুই গ্রুপ। বিষয়টি স্বীকার করে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
শেখ মোহম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘ওলামা লীগ’ নামে ক্ষমতাসীন দলে কোন অঙ্গ
সংগঠন নেই। দলের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে এই সংগঠনের কোন অনুমোদন দেয়া
হয়নি। তবু তারা একাধিক গ্রুপ এই দলের নাম এবং ব্যানার ব্যবহার করে সুবিধা
আদায়ের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আবার পরস্পর সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। তবে এসব
কর্মকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী
লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা বলেন, আপনি যদি আমাদের অফিসে ঢুকে
নিজেকে দলের কর্মী দাবি করেন আপনাকে কি বের করে দেবো? তিনি বলেন, আওয়ামী
লীগের আদর্শের কথা বললেও আসলেই তারা আওয়ামী লীগের কেউ নয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘ওলামা লীগে’র নেতৃত্বে নিয়ে আখতার হোসাইন বোখারী এবং ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী গ্রুপের বিরোধ দীর্ঘদিনের। দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করে এতদিন পরস্পরের বিরুদ্ধে বক্তৃতা বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি এই বিরোধ সহিংসতায় রূপ নেয়। সশস্ত্র হামলা পাল্টা হামলার মতো সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে ধর্মীয় লেবাসধারী ভূঁইফোড় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। গত ২১শে আগস্ট বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ইলিয়াস হেলালীকে ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে এর চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে। ইলিয়াস গ্রুপ ওইদিনের ঘটনার জন্য বোখারী গ্রুপকে দায়ী করে। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই ১৭ই অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে আখতার হোসাইন বোখারী গ্রুপ সমাবেশের আয়োজন করে। একই সময় জঙ্গিবাদ বিরোধী শান্তি সমাবেশ করতে ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় মাথায় টুপি পরা অর্ধশতাধিক লোক লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে বোখারী গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় বোখারী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরীসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। তবে শেখ শরীয়তপুরী দাবি করেন হামলায় তাদের অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আমরা প্রেস ক্লাব সম্মুখে মানবন্ধন করার প্রস্তুতি নিই। এ সময় হেলালী দু’টি গাড়িতে করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। এতে আমিসহ আমাদের সংগঠনের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে আমরাই পাশে আছি। কিন্তু তারা আমাদের নামে সামপ্রদায়িকতা উসকানিসহ বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। আসলে আমরাই মূল ওলামা লীগ।
অন্যদিকে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ইলিয়াস বিন হেলালী বলেন, জঙ্গিবাদবিরোধী শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করার উদ্দেশ্যে আমরা সেখানে যাই। সেখানে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। সামান্য ধাক্কাধাক্কি হতে পারে। হামলার বিষয়ে তারা মিথ্যা বলছে। তিনি বলেন, এরা ওলামা লীগের মূলধারার নয়। আমরাই মূলধারার। এরা অবৈধভাবে কাজকর্ম চালাচ্ছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী। থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ওই ঘটনার তিনদিন পর ২১শে অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হেলালী গ্রুপ বোখারী গ্রুপকে আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের লোক বলে অভিহিত করে। তবে পাল্টা বিবৃতিতে আখতার হুসাইন বোখারী এবং মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী বলেন, বাগেরহাটের কুখ্যাত মনসুর রাজাকারের ছেলে হেলালী নিজেই আনসারুল্লাহর সদস্য। কারণ আনসারুল্লাহর সদস্যই কেবল আনসারুল্লাহর সদস্যকে চিনতে পারে। তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার জঙ্গি কানেকশন বের হয়ে আসবে। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আইএস জঙ্গিসহ জামায়াত-যুদ্ধাপরাধী মৌলবাদীদের নিষিদ্ধের দাবিতে যতগুলো মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন আমরা করেছি ওলামা লীগ দাবিদার হেলালী তা করেনি। তারা বলেন, আমরা হেফাজত নই বরং হেফাজতের আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নেতৃত্বে আমরাই মাঠে ছিলাম। তখন রাজাকার পুত্র হেলালী কোথায় ছিলেন?
প্রসঙ্গত,গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, কৃষক লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও তাঁতী লীগ। এছাড়া ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ স্বীকৃত। এখানে ওলামা লীগের কোন অস্তিত্ব নেই। তার পরও আওয়ামী ওলামা লীগ নামের ব্যানারে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, জাতীয় কোরআন শিক্ষা মিশন, বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোট, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা পরিষদ, কেন্দ্রীয় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, বাংলাদেশ হাক্কানি আলেম সমাজ, জাতীয় ওলামা পরিষদ, বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতি, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুন্নী ছাত্র ঐক্য ও বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদ স্বঘোষিত সংগঠন গুলোকে সক্রিয় দেখা যায়। এসব সংগঠনের দলীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বলা হলেও সরজমিনে তাদের কোন অফিস কক্ষ খুঁজে পাওয়া যায় না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘ওলামা লীগে’র নেতৃত্বে নিয়ে আখতার হোসাইন বোখারী এবং ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী গ্রুপের বিরোধ দীর্ঘদিনের। দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করে এতদিন পরস্পরের বিরুদ্ধে বক্তৃতা বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি এই বিরোধ সহিংসতায় রূপ নেয়। সশস্ত্র হামলা পাল্টা হামলার মতো সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে ধর্মীয় লেবাসধারী ভূঁইফোড় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। গত ২১শে আগস্ট বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ইলিয়াস হেলালীকে ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে এর চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে। ইলিয়াস গ্রুপ ওইদিনের ঘটনার জন্য বোখারী গ্রুপকে দায়ী করে। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই ১৭ই অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে আখতার হোসাইন বোখারী গ্রুপ সমাবেশের আয়োজন করে। একই সময় জঙ্গিবাদ বিরোধী শান্তি সমাবেশ করতে ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় মাথায় টুপি পরা অর্ধশতাধিক লোক লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে বোখারী গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় বোখারী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরীসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। তবে শেখ শরীয়তপুরী দাবি করেন হামলায় তাদের অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আমরা প্রেস ক্লাব সম্মুখে মানবন্ধন করার প্রস্তুতি নিই। এ সময় হেলালী দু’টি গাড়িতে করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। এতে আমিসহ আমাদের সংগঠনের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে আমরাই পাশে আছি। কিন্তু তারা আমাদের নামে সামপ্রদায়িকতা উসকানিসহ বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। আসলে আমরাই মূল ওলামা লীগ।
অন্যদিকে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ইলিয়াস বিন হেলালী বলেন, জঙ্গিবাদবিরোধী শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করার উদ্দেশ্যে আমরা সেখানে যাই। সেখানে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। সামান্য ধাক্কাধাক্কি হতে পারে। হামলার বিষয়ে তারা মিথ্যা বলছে। তিনি বলেন, এরা ওলামা লীগের মূলধারার নয়। আমরাই মূলধারার। এরা অবৈধভাবে কাজকর্ম চালাচ্ছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী। থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ওই ঘটনার তিনদিন পর ২১শে অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হেলালী গ্রুপ বোখারী গ্রুপকে আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের লোক বলে অভিহিত করে। তবে পাল্টা বিবৃতিতে আখতার হুসাইন বোখারী এবং মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী বলেন, বাগেরহাটের কুখ্যাত মনসুর রাজাকারের ছেলে হেলালী নিজেই আনসারুল্লাহর সদস্য। কারণ আনসারুল্লাহর সদস্যই কেবল আনসারুল্লাহর সদস্যকে চিনতে পারে। তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার জঙ্গি কানেকশন বের হয়ে আসবে। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আইএস জঙ্গিসহ জামায়াত-যুদ্ধাপরাধী মৌলবাদীদের নিষিদ্ধের দাবিতে যতগুলো মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন আমরা করেছি ওলামা লীগ দাবিদার হেলালী তা করেনি। তারা বলেন, আমরা হেফাজত নই বরং হেফাজতের আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নেতৃত্বে আমরাই মাঠে ছিলাম। তখন রাজাকার পুত্র হেলালী কোথায় ছিলেন?
প্রসঙ্গত,গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, কৃষক লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও তাঁতী লীগ। এছাড়া ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ স্বীকৃত। এখানে ওলামা লীগের কোন অস্তিত্ব নেই। তার পরও আওয়ামী ওলামা লীগ নামের ব্যানারে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, জাতীয় কোরআন শিক্ষা মিশন, বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোট, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা পরিষদ, কেন্দ্রীয় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, বাংলাদেশ হাক্কানি আলেম সমাজ, জাতীয় ওলামা পরিষদ, বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতি, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুন্নী ছাত্র ঐক্য ও বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদ স্বঘোষিত সংগঠন গুলোকে সক্রিয় দেখা যায়। এসব সংগঠনের দলীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বলা হলেও সরজমিনে তাদের কোন অফিস কক্ষ খুঁজে পাওয়া যায় না।
No comments