রক্তের দাগ পেছনে রেখে তাজিয়া মিছিল শুরু by মোশতাক আহমেদ ও আবদুর রশিদ
রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনি দালানের ইমামবাড়া থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ তাজিয়া মিছিল বের করে। -জাহিদুল করিম |
রাজধানীর
পুরান ঢাকার হোসনি দালানের ইমামবাড়া থেকে আজ শনিবার সকালে শিয়া
সম্প্রদায়ের মানুষ যথারীতি তাজিয়া মিছিল বের করেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে
বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় হোসনি দালানের সামনে এখন ছোপ ছোপ রক্ত। পড়ে আছে
রক্তের ধারা শুকিয়ে যাওয়া চিহ্ন। এই ক্ষত বুকে ধারণ করেই তাঁরা আজ ত্যাগ ও
শোকের মিছিলে শরিক হয়েছেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাজিয়া মিছিল শুরু হয়।
হোসনি দালানের ইমামবাড়া থেকে হাজারো মানুষ এই মিছিলে অংশ নিয়েছেন। ব্যানার ও
সুদৃশ্য পোশাক পরে হাজারো মানুষের এই তাজিয়া মিছিলটি এখন সামনের দিকে
এগিয়ে যাচ্ছে।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিয়াপন্থী মনির হোসেন বলেন, গতকাল রাত
পৌনে দুইটার দিকে তাঁরা রাতের মিছিলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময়
পাঁচটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে ছোট বড় অনেকে আহত হন।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিয়াপন্থী আরেকজন বলেন, যদি আগে থেকেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকত, তাহলে হয়তো এ রকম ঘটনা ঘটত না। এখন মিছিলটি শুরু করলেও তাঁরা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য রয়েছেন। র্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ছাড়াও রাস্তায় বিজিবির টহলও দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় প্রথম আলোকে বলেন, এখন প্রায় দুই হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া আশপাশের বিভিন্ন স্থানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় গভীর রাতে বোমা হামলায় সাজ্জাদ হোসেন নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০০ জনের বেশি।
বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় হোসনি দালানের সামনে রক্তের ছোপ। ছবি: জাহিদুল করিম |
মিছিলে অংশ নেওয়া শিয়াপন্থী আরেকজন বলেন, যদি আগে থেকেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকত, তাহলে হয়তো এ রকম ঘটনা ঘটত না। এখন মিছিলটি শুরু করলেও তাঁরা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য রয়েছেন। র্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ছাড়াও রাস্তায় বিজিবির টহলও দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় প্রথম আলোকে বলেন, এখন প্রায় দুই হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া আশপাশের বিভিন্ন স্থানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় গভীর রাতে বোমা হামলায় সাজ্জাদ হোসেন নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০০ জনের বেশি।
No comments