যে কারণে বড় দল হয়ে উঠছে বাংলাদেশ by আতহার আলী খান
বাংলাদেশ বড় দল হয়ে ওঠার নানা ইঙ্গিত মিলছে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে। ছবি: প্রথম আলো। |
দক্ষিণ
আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা হয়েছে
দুদিন আগে। এ দলে ঠাঁই হয়নি ছন্দে থাকা বেশ কজন খেলোয়াড়ের। অবশ্য এটা গত
কমাসে নিয়মিতই হচ্ছে বাংলাদেশ দলে। মুমিনুল হক, রনি তালুকদারের মতো
খেলোয়াড়ের জায়গা হচ্ছে না ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি একাদশে। এমনকি এনামুল হক
ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ খেলেও জায়গা পাচ্ছে না জাতীয় দলে।
এখন বাংলাদেশ দলের রিজার্ভ বেঞ্চটাও এখন শক্তিশালী। এছাড়া বোলিং আক্রমণে বাংলাদেশ কেবল স্পিনেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। পেস আক্রমণ নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর তোপ দাগছে। সব মিলিয়ে এতে বড় দল হয়ে ওঠার ইঙ্গিতই মিলছে।
বাংলাদেশ বড় দল হয়ে উঠছে, এটা বলার আগে ২০১৫ সালের পারফরম্যান্সটা দেখতে হবে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স, দলীয় সাফল্য—সব কিছু বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। খেলোয়াড়েরা খুব একটা সুযোগ দিচ্ছে না তাদের সমালোচনা করার।
২০১৫-এর পারফরম্যান্স নিয়ে বলার আগে পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে চাই এর আগের বছরগুলোয় বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স। আজকের এ আলোটা কিন্তু হুট করে জ্বলেনি। অনেক আগ থেকেই জ্বলেছিল। প্রশ্ন ছিল, কেবল এর ধারাবাহিকতা নিয়ে। আগে ধপ করে জ্বলে উঠেছে, হুট করে নিভেও গেছে। ২০১০ থেকে যদি দেখা হয়, ওই সময় বাংলাদেশ প্রথম নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। তখন সবাই ভেবেছিল, বাংলাদেশ এ সাফল্য ধরে রাখবে। সেটি হয়নি। এরপর ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পূর্ণ শক্তির দলকে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডেতে ফের ধবলধোলাই। তা-ই নয়, টেস্ট সিরিজটাও বাংলাদেশ ড্র করেছিল সেবার। প্রত্যাশা ছিল, বাংলাদেশ দল ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলবে। কিন্তু কেন যেন ২০১৪ সালে ‘ব্যাকগিয়ারে’ চলে গেল দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হংকং, এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের মতো দলের কাছে হারের ঘটনা ঘটল এ সময়েই।
বাংলাদেশের বদলে যাওয়া শুরু গত বছর শেষের দিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে। এ বদলের পেছনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কাজ করেছে। প্রথমটি মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ওয়ানডে অধিনায়ক করা। অনেক বড় সিদ্ধান্ত ছিল এটি। এ সিদ্ধান্তের পেছনে যাদের ভূমিকা ছিল, তাদের ধন্যবাদ জানাতেই হবে। নেতৃত্ব বদলটা একটা ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশ দলের জন্য। মাশরাফিকে অধিনায়কত্ব দেওয়া ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত। পুরো দলের চেহারা বদলে মাশরাফির নেতৃত্বের প্রশংসা আপনাকে করতেই হবে।
মাঠে খেলেন ১১ খেলোয়াড়। কিন্তু এর নেপথ্যে থাকেন আরও অনেকে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোচিং ইউনিটে এল বিরাট পরিবর্তন। ঢেলে সাজানো হলো পুরো কোচিং ইউনিট। কয়েক মাসের ব্যবধানে একে একে যোগ দিলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক, ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসল, স্পিন কোচ রুয়ান কালপাগে ও ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ণ। সঙ্গে স্থানীয় ফিজিও বায়োজিদ ইসলাম খান। আর পুরো দলের ম্যানেজার হিসেবে খালেদ মাহমুদ।
বিশেষভাবে বলতে কোচ হাথুরু-প্রসঙ্গ। তাঁর কৌশল-পরিকল্পনা সত্যি অন্যরকম। দল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে মিরপুরে ‘অস্ট্রেলিয়ান উইকেট’ বানিয়ে ফেললেন! কৃত্রিম বাউন্সি উইকেট বানাতে পুরোনো উইকেটের ওপর বিছিয়ে দিলেন গ্রানাইটের স্ল্যাব। এমন উইকেটে সাধারণত বল বাড়তি গতি নিয়ে উঠে আসে বুকসমান উচ্চতায়। কোচের আরেকটি বড় দিক, খেলোয়াড়দের নিজের মতো খেলার স্বাধীনতা দেওয়া।
বলতে হবে বর্তমান নির্বাচক কমিটির কথাও। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের সঙ্গে আছেন মিনহাজুল আবেদিন ও হাবিবুল বাশার। ‘থ্যাংকলেস জব’টা তাঁরা করে যাচ্ছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। নতুন নতুন খেলোয়াড় নিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। ফারুক আহমদের সময়ে বাংলাদেশ দলে এসেছে তাইজুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, মোহাম্মদ শহীদ, শুভাগত হোম, মুস্তাফিজুর রহমানদের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা। এদের বেশিরভাগই শুরতেই আলো ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। নিজের সামর্থ্য ভালোভাবে জানান দিয়েছে।
লিটন ও রনি দুজনই কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে জাতীয় দলে এসেছে। তবে মূল একাদশে সুযোগ পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লিটন সুযোগ পেয়েছে মূলত মুশফিকুর রহিমের চোটের কারণে। দুজনই ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেও কেন জাতীয় দলের একাদশে সুযোগ পেতে কষ্ট হচ্ছে? কারণ, এ মুহূর্তে যারা একাদশে আছেন, সবাই ভালো খেলছে। কার জায়গায় কাকে খেলাবে, মধুর সমস্যায় নির্বাচক কমিটি! দলে জায়গা পেতে খেলোয়াড়দের মধ্যে দারুণ এক প্রতিযোগিতা চলছে। একে সুস্থ প্রতিযোগিতা বলতে হবে। দলের জন্য এমন প্রতিযোগিতা খুবই উপকারী। খেলোয়াড়দের ভাবনায় থাকবে, ভালো খেলেই টিকে থাকতে হবে দলে। নইলে আরেকজন জায়গাটা নিয়ে নেবে। মূল একাদশের বাইরে রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়েরাও অনেক প্রতিভাবান।
আরও প্রতিভাবান ক্রিকেটার পেতে হলে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট বদলাতে হবে। অনেক দিন ধরেই এটা বলে আসছি। পেস ও বাউন্স থাকতে হবে উইকেটে। উইকেট হতে হবে স্পোর্টিং। যদিও এখন আগের তুলনায় উইকেট অনেক স্পোর্টিং হচ্ছে। ব্যাটসম্যানদের নির্বিকার ভঙিতে খেলার অভ্যাস গড়ে উঠছে। পেসার-স্পিনাররাও সহায়তা পাচ্ছেন। এ কারণে কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকেও ধন্যবাদ দিতে হবে।
সামগ্রিকভাবে দলের এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স, টিম ম্যানেজমেন্টের সাহসী সিদ্ধান্ত ও বিসিবির পরিকল্পনা সময়োপযোগী ভূমিকা। তবে আমরা আরও ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করছি। খেলোয়াড়েরা আমাদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্বও তাদের।
এখন বাংলাদেশ দলের রিজার্ভ বেঞ্চটাও এখন শক্তিশালী। এছাড়া বোলিং আক্রমণে বাংলাদেশ কেবল স্পিনেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। পেস আক্রমণ নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর তোপ দাগছে। সব মিলিয়ে এতে বড় দল হয়ে ওঠার ইঙ্গিতই মিলছে।
বাংলাদেশ বড় দল হয়ে উঠছে, এটা বলার আগে ২০১৫ সালের পারফরম্যান্সটা দেখতে হবে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স, দলীয় সাফল্য—সব কিছু বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। খেলোয়াড়েরা খুব একটা সুযোগ দিচ্ছে না তাদের সমালোচনা করার।
২০১৫-এর পারফরম্যান্স নিয়ে বলার আগে পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে চাই এর আগের বছরগুলোয় বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স। আজকের এ আলোটা কিন্তু হুট করে জ্বলেনি। অনেক আগ থেকেই জ্বলেছিল। প্রশ্ন ছিল, কেবল এর ধারাবাহিকতা নিয়ে। আগে ধপ করে জ্বলে উঠেছে, হুট করে নিভেও গেছে। ২০১০ থেকে যদি দেখা হয়, ওই সময় বাংলাদেশ প্রথম নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। তখন সবাই ভেবেছিল, বাংলাদেশ এ সাফল্য ধরে রাখবে। সেটি হয়নি। এরপর ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পূর্ণ শক্তির দলকে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডেতে ফের ধবলধোলাই। তা-ই নয়, টেস্ট সিরিজটাও বাংলাদেশ ড্র করেছিল সেবার। প্রত্যাশা ছিল, বাংলাদেশ দল ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলবে। কিন্তু কেন যেন ২০১৪ সালে ‘ব্যাকগিয়ারে’ চলে গেল দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হংকং, এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের মতো দলের কাছে হারের ঘটনা ঘটল এ সময়েই।
বাংলাদেশের বদলে যাওয়া শুরু গত বছর শেষের দিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে। এ বদলের পেছনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কাজ করেছে। প্রথমটি মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ওয়ানডে অধিনায়ক করা। অনেক বড় সিদ্ধান্ত ছিল এটি। এ সিদ্ধান্তের পেছনে যাদের ভূমিকা ছিল, তাদের ধন্যবাদ জানাতেই হবে। নেতৃত্ব বদলটা একটা ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশ দলের জন্য। মাশরাফিকে অধিনায়কত্ব দেওয়া ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত। পুরো দলের চেহারা বদলে মাশরাফির নেতৃত্বের প্রশংসা আপনাকে করতেই হবে।
মাঠে খেলেন ১১ খেলোয়াড়। কিন্তু এর নেপথ্যে থাকেন আরও অনেকে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোচিং ইউনিটে এল বিরাট পরিবর্তন। ঢেলে সাজানো হলো পুরো কোচিং ইউনিট। কয়েক মাসের ব্যবধানে একে একে যোগ দিলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক, ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসল, স্পিন কোচ রুয়ান কালপাগে ও ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ণ। সঙ্গে স্থানীয় ফিজিও বায়োজিদ ইসলাম খান। আর পুরো দলের ম্যানেজার হিসেবে খালেদ মাহমুদ।
বিশেষভাবে বলতে কোচ হাথুরু-প্রসঙ্গ। তাঁর কৌশল-পরিকল্পনা সত্যি অন্যরকম। দল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে মিরপুরে ‘অস্ট্রেলিয়ান উইকেট’ বানিয়ে ফেললেন! কৃত্রিম বাউন্সি উইকেট বানাতে পুরোনো উইকেটের ওপর বিছিয়ে দিলেন গ্রানাইটের স্ল্যাব। এমন উইকেটে সাধারণত বল বাড়তি গতি নিয়ে উঠে আসে বুকসমান উচ্চতায়। কোচের আরেকটি বড় দিক, খেলোয়াড়দের নিজের মতো খেলার স্বাধীনতা দেওয়া।
বলতে হবে বর্তমান নির্বাচক কমিটির কথাও। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের সঙ্গে আছেন মিনহাজুল আবেদিন ও হাবিবুল বাশার। ‘থ্যাংকলেস জব’টা তাঁরা করে যাচ্ছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। নতুন নতুন খেলোয়াড় নিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। ফারুক আহমদের সময়ে বাংলাদেশ দলে এসেছে তাইজুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, মোহাম্মদ শহীদ, শুভাগত হোম, মুস্তাফিজুর রহমানদের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা। এদের বেশিরভাগই শুরতেই আলো ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। নিজের সামর্থ্য ভালোভাবে জানান দিয়েছে।
লিটন ও রনি দুজনই কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে জাতীয় দলে এসেছে। তবে মূল একাদশে সুযোগ পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লিটন সুযোগ পেয়েছে মূলত মুশফিকুর রহিমের চোটের কারণে। দুজনই ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেও কেন জাতীয় দলের একাদশে সুযোগ পেতে কষ্ট হচ্ছে? কারণ, এ মুহূর্তে যারা একাদশে আছেন, সবাই ভালো খেলছে। কার জায়গায় কাকে খেলাবে, মধুর সমস্যায় নির্বাচক কমিটি! দলে জায়গা পেতে খেলোয়াড়দের মধ্যে দারুণ এক প্রতিযোগিতা চলছে। একে সুস্থ প্রতিযোগিতা বলতে হবে। দলের জন্য এমন প্রতিযোগিতা খুবই উপকারী। খেলোয়াড়দের ভাবনায় থাকবে, ভালো খেলেই টিকে থাকতে হবে দলে। নইলে আরেকজন জায়গাটা নিয়ে নেবে। মূল একাদশের বাইরে রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়েরাও অনেক প্রতিভাবান।
আরও প্রতিভাবান ক্রিকেটার পেতে হলে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট বদলাতে হবে। অনেক দিন ধরেই এটা বলে আসছি। পেস ও বাউন্স থাকতে হবে উইকেটে। উইকেট হতে হবে স্পোর্টিং। যদিও এখন আগের তুলনায় উইকেট অনেক স্পোর্টিং হচ্ছে। ব্যাটসম্যানদের নির্বিকার ভঙিতে খেলার অভ্যাস গড়ে উঠছে। পেসার-স্পিনাররাও সহায়তা পাচ্ছেন। এ কারণে কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকেও ধন্যবাদ দিতে হবে।
সামগ্রিকভাবে দলের এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স, টিম ম্যানেজমেন্টের সাহসী সিদ্ধান্ত ও বিসিবির পরিকল্পনা সময়োপযোগী ভূমিকা। তবে আমরা আরও ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করছি। খেলোয়াড়েরা আমাদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্বও তাদের।
No comments