বাজার বেসামাল, নেই মনিটরিং by জাহাঙ্গীর আলম
নিত্যপণ্যের
যথেষ্ট মজুদ থাকায় শীর্ষ ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে
না বলে বাণিজ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে ক্ষুদ্র
ব্যবসায়ীরা তাদের কথা মানছেন না। প্রথম রোজার মতোই সব নিত্যপণ্যের দাম
আবারো বেড়েছে। পাইকারি বাজারে তেমন না বাড়লেও খুচরা ব্যবসায়ীরা কোনো
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছেন। আগের
সপ্তাহের ৪০ থেকে ৫০ টাকার কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ৬০ টাকার বেগুন
১২০ টাকা কেজি দরে গতকাল বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া সব সবজির কেজি ৫০
টাকা ছুঁই ছুঁই। কোনোটা আবার ছাড়িয়েও গেছে। ভোক্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন,
বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় এ বেহাল দশা। তবে চাল, ডাল, চিনি,
ভোজ্যতেল, মাংস, ডিমের দাম বাড়েনি।
গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল, কৃষি মার্কেট, শান্তিনগর, মালিবাগ, খিলগাঁও, কারওয়ান বাজার, মহাখালী বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, একই পণ্য বিভিন্ন বাজারে ভিন্ন দামে খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন। শুধু তাই নয়, পাইকারি বাজারে দাম না বাড়লেও খুচরা বাজারে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। প্রথম রোজার মতোই গতকাল শুক্রবার প্রতিকেজি বেগুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা, ৬০ টাকার কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গুলশান সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের জমির ভেজিটেবলসের মালিক মানবকণ্ঠকে জানান, প্রতিকেজি বেগুণ ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই মার্কেটের হাবিব এন্টার প্রাইজের মালিক জানান, প্রতিকেজি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, রসুন (দেশি) ৮০ টাকা, (আমদানিকৃত) ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
কিন্তু কৃষি মার্কেটে দেখা গেছে, ওই সব পণ্য ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ফয়সাল বাণিজ্য বিতানের মালিক জানান, দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভারতের পেঁয়াজ ৩০ টাকা, আদা ৯০ থেকে ১১৮ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, বিদেশি রসুন ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই মার্কেটের উৎসব এন্টারপ্রাইজের মালিক জানান পেঁয়াজ ৪২ টাকা, আদা ১৩০ টাকা, রসুন ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কয়েক গজ দূরে খুচরা ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা ও আদা ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
রোজার আগে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই জানায়, প্রতিদিন দেশের পাইকারি বাজারগুলোর পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারগুলোতে পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই খুচরা বাজারেও পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। শীর্ষ সংগঠনটি আরো জানায়, প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও মজুদ পরিস্থিতি আমাদের দেশের চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত রয়েছে। বিশেষ করে ভোজ্যতেলের চাহিদা ১৪ লাখ ৫০ হাজার মে. টন, মোট মজুদ আছে ১৫ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন। পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ মে. টন, মজুদ ২৩ লাখ ৫৫ হাজার মে. টন। রসুনের চাহিদা ৫ লাখ ২৭ হাজার মে. টন, মজুদ ৫ লাখ ৫৬ হাজার মে. টন। আদার চাহিদা ৩ লাখ মে. টন, মজুদ আছে ৩ লাখ ৪ হাজার মে. টন। মসুর ডালের চাহিদা ৩ লাখ ৭৫ হাজার মে. টন মজুদ আছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার মে. টন। ছোলার চাহিদা ৬০ হাজার মে. টন মজুদ আছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার মে. টন। খেজুরের চাহিদা ১৫ হাজার মে. টন, মজুদ আছে ১৭ হাজার মে. টন। চিনির চাহিদা ১৩ থেকে ১৪ লাখ মে. টন, মজুদ আছে ১৬ লাখ ৩২ মে. টন। এ ছাড়াও পেঁয়াজ, রসুন ও আদা প্রতিদিনই আমদানি হচ্ছে। তাই বেশি মুনাফার আশায় পণ্যের মজুদ না করে বাজারে সরবরাহের গতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে আহ্বান জানায় এফবিসিসিআই।
কিন্তু বাজারে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪টি টিম ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজার এবং প্রতিটি জেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলা হলেও তা দৃশ্যমান নয় বলে ভোক্তারা অভিযোগ করে জানান। তা থাকলে এত বেশি দামে সব পণ্য বিক্রি হতো না। এ ব্যাপারে কৃষি মার্কেটে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মনিরুল ইসলাম বলেন, অবাক লাগে বাজারে গেলে। কোনো নিয়মনীতি মানছে না ব্যবসায়ীরা। যে যার মতো দামে পণ্য বিক্রি করছে।
এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন গতকাল মানবকণ্ঠকে বলেন, বাস্তবে কোনো পণ্যের দাম বাড়ার কথা নয়। তবে বেড়ে থাকলে দ্রুত বাজার মনিটরিং করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাঁচামরিচের বেসামাল দামের ব্যাপারে তিনি বলেন, যদি সত্যি এ অবস্থা হয়, তবে গত বছরের মতো বিকল্প ব্যবস্থা করে বাজার স্থিতিশীল করা হবে বলে তিনি জানান।
গতকাল দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রতিকেজি সবজি ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হয়। আগে প্রতিকেজি আলু (সাদা) ২০ থেকে ২২ টাকা বিক্রি হলেও গতকাল ২৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কচুলতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করল্লা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। টাউন হলে সবজি বিক্রেতা সবুজ মানবকণ্ঠকে বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ একটু কমে যাওয়ায় বেশি দামেই সব বিক্রি করা হচ্ছে।
মাছের বাজারেও গতকাল রমজানের উত্তাপ দেখা যায়। মাঝারি আকারের এক জোড়া ইলিশ ১৬০০ টাকা, প্রতিকেজি চিংড়ি ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কৈ (চাষের) ২৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। আগের সপ্তাহের ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও গতকাল সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গরুর মাংসও ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, খাসির মাংস ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। প্রতি ডজন ডিম (দেশি) ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, ফার্ম (লাল ও সাদা) ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের খুচরা বাজারে কোনো বাড়তি দাম চোখে পড়েনি। তবে গতকাল আগের চেয়ে কিছুটা দাম বেড়েছে পাইকারি বাজারে। কৃষি মার্কেটের শাপলা রাইস এজেন্সির শিপন মানবকণ্ঠকে জানান, কেজিপ্রতি সরু চাল (নাজিরশাইল) ৪৬ থেকে ৫০ টাকা, (মিনিকেট) ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা, আটাশ ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা, মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) ২৮ থেকে ৩০ টাকা, সুগন্ধি চাল (কালিজিরা, চিনিগুঁড়া) ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে খুচরা বিক্রেতারা এর সঙ্গে আরো ৩ থেকে ৫ টাকা বাড়তি দামে ওই সব চাল বিক্রি করছেন।
কেজিপ্রতি দেশি মসুরের ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা, বিদেশি ডাল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, মুগের ডাল (সরু) ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, মোটা ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, ছোলা (বিদেশি আস্ত) ৬৫ টাকা, খেসারি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাশকলায় ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চিনি, ভোজ্যতেল ও আটার দামও বাড়েনি। প্রতিকেজি খোলা চিনি ৪০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ৪৫ টাকা, প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ৯৬ থেকে ৯৯ টাকা, কেজিপ্রতি খোলা আটা ২৮ থেকে ৩০ টাকা, ময়দা (খোলা ও সাদা) ৩২ থেকে ৩৪ টাকা টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল, কৃষি মার্কেট, শান্তিনগর, মালিবাগ, খিলগাঁও, কারওয়ান বাজার, মহাখালী বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, একই পণ্য বিভিন্ন বাজারে ভিন্ন দামে খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন। শুধু তাই নয়, পাইকারি বাজারে দাম না বাড়লেও খুচরা বাজারে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। প্রথম রোজার মতোই গতকাল শুক্রবার প্রতিকেজি বেগুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা, ৬০ টাকার কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গুলশান সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের জমির ভেজিটেবলসের মালিক মানবকণ্ঠকে জানান, প্রতিকেজি বেগুণ ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই মার্কেটের হাবিব এন্টার প্রাইজের মালিক জানান, প্রতিকেজি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, রসুন (দেশি) ৮০ টাকা, (আমদানিকৃত) ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
কিন্তু কৃষি মার্কেটে দেখা গেছে, ওই সব পণ্য ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ফয়সাল বাণিজ্য বিতানের মালিক জানান, দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভারতের পেঁয়াজ ৩০ টাকা, আদা ৯০ থেকে ১১৮ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, বিদেশি রসুন ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই মার্কেটের উৎসব এন্টারপ্রাইজের মালিক জানান পেঁয়াজ ৪২ টাকা, আদা ১৩০ টাকা, রসুন ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কয়েক গজ দূরে খুচরা ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা ও আদা ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
রোজার আগে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই জানায়, প্রতিদিন দেশের পাইকারি বাজারগুলোর পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারগুলোতে পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই খুচরা বাজারেও পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। শীর্ষ সংগঠনটি আরো জানায়, প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও মজুদ পরিস্থিতি আমাদের দেশের চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত রয়েছে। বিশেষ করে ভোজ্যতেলের চাহিদা ১৪ লাখ ৫০ হাজার মে. টন, মোট মজুদ আছে ১৫ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন। পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ মে. টন, মজুদ ২৩ লাখ ৫৫ হাজার মে. টন। রসুনের চাহিদা ৫ লাখ ২৭ হাজার মে. টন, মজুদ ৫ লাখ ৫৬ হাজার মে. টন। আদার চাহিদা ৩ লাখ মে. টন, মজুদ আছে ৩ লাখ ৪ হাজার মে. টন। মসুর ডালের চাহিদা ৩ লাখ ৭৫ হাজার মে. টন মজুদ আছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার মে. টন। ছোলার চাহিদা ৬০ হাজার মে. টন মজুদ আছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার মে. টন। খেজুরের চাহিদা ১৫ হাজার মে. টন, মজুদ আছে ১৭ হাজার মে. টন। চিনির চাহিদা ১৩ থেকে ১৪ লাখ মে. টন, মজুদ আছে ১৬ লাখ ৩২ মে. টন। এ ছাড়াও পেঁয়াজ, রসুন ও আদা প্রতিদিনই আমদানি হচ্ছে। তাই বেশি মুনাফার আশায় পণ্যের মজুদ না করে বাজারে সরবরাহের গতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে আহ্বান জানায় এফবিসিসিআই।
কিন্তু বাজারে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪টি টিম ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজার এবং প্রতিটি জেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলা হলেও তা দৃশ্যমান নয় বলে ভোক্তারা অভিযোগ করে জানান। তা থাকলে এত বেশি দামে সব পণ্য বিক্রি হতো না। এ ব্যাপারে কৃষি মার্কেটে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মনিরুল ইসলাম বলেন, অবাক লাগে বাজারে গেলে। কোনো নিয়মনীতি মানছে না ব্যবসায়ীরা। যে যার মতো দামে পণ্য বিক্রি করছে।
এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন গতকাল মানবকণ্ঠকে বলেন, বাস্তবে কোনো পণ্যের দাম বাড়ার কথা নয়। তবে বেড়ে থাকলে দ্রুত বাজার মনিটরিং করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাঁচামরিচের বেসামাল দামের ব্যাপারে তিনি বলেন, যদি সত্যি এ অবস্থা হয়, তবে গত বছরের মতো বিকল্প ব্যবস্থা করে বাজার স্থিতিশীল করা হবে বলে তিনি জানান।
গতকাল দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রতিকেজি সবজি ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হয়। আগে প্রতিকেজি আলু (সাদা) ২০ থেকে ২২ টাকা বিক্রি হলেও গতকাল ২৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কচুলতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করল্লা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। টাউন হলে সবজি বিক্রেতা সবুজ মানবকণ্ঠকে বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ একটু কমে যাওয়ায় বেশি দামেই সব বিক্রি করা হচ্ছে।
মাছের বাজারেও গতকাল রমজানের উত্তাপ দেখা যায়। মাঝারি আকারের এক জোড়া ইলিশ ১৬০০ টাকা, প্রতিকেজি চিংড়ি ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কৈ (চাষের) ২৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। আগের সপ্তাহের ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও গতকাল সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গরুর মাংসও ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, খাসির মাংস ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। প্রতি ডজন ডিম (দেশি) ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, ফার্ম (লাল ও সাদা) ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের খুচরা বাজারে কোনো বাড়তি দাম চোখে পড়েনি। তবে গতকাল আগের চেয়ে কিছুটা দাম বেড়েছে পাইকারি বাজারে। কৃষি মার্কেটের শাপলা রাইস এজেন্সির শিপন মানবকণ্ঠকে জানান, কেজিপ্রতি সরু চাল (নাজিরশাইল) ৪৬ থেকে ৫০ টাকা, (মিনিকেট) ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা, আটাশ ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা, মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) ২৮ থেকে ৩০ টাকা, সুগন্ধি চাল (কালিজিরা, চিনিগুঁড়া) ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে খুচরা বিক্রেতারা এর সঙ্গে আরো ৩ থেকে ৫ টাকা বাড়তি দামে ওই সব চাল বিক্রি করছেন।
কেজিপ্রতি দেশি মসুরের ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা, বিদেশি ডাল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, মুগের ডাল (সরু) ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, মোটা ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, ছোলা (বিদেশি আস্ত) ৬৫ টাকা, খেসারি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাশকলায় ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চিনি, ভোজ্যতেল ও আটার দামও বাড়েনি। প্রতিকেজি খোলা চিনি ৪০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ৪৫ টাকা, প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ৯৬ থেকে ৯৯ টাকা, কেজিপ্রতি খোলা আটা ২৮ থেকে ৩০ টাকা, ময়দা (খোলা ও সাদা) ৩২ থেকে ৩৪ টাকা টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
No comments