কংক্রিটের নগরে সবুজের সমারোহ: রাজধানীতে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০০ নার্সারি by সামছুর রহমান
দোয়েল চত্বর এলাকার ফুটপাতের নার্সারি থেকে পছন্দের চারা বাছাই করছেন বৃক্ষানুরাগীরা। ছবিটি বৃহস্পতিবার তোলা l প্রথম আলো |
ইট-কংক্রিটের
রাজধানীতে সবুজের সান্নিধ্য খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু চাইলেই ঘরের
ভেতরটা সাজাতে পারেন সবুজে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে নার্সারি।
এসব নার্সারি থেকে সংগ্রহ করতে পারেন পছন্দের গাছ।
এ ছাড়া বন বিভাগ প্রতিবছরের মতো এবারও আয়োজন করেছে বৃক্ষমেলার। ঢাকার আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে বাণিজ্য মেলার মাঠে গত ৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে মাসব্যাপী। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকম দেশি, বিদেশি ও দুর্লভ প্রজাতির গাছের চারা। আগারগাঁও নার্সারি মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী, আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিস থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পর্যন্ত ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৪০টি নার্সারি আছে। ফুল, ফল, সৌন্দর্যবর্ধনকারী লতাগুল্ম, ঔষধি বৃক্ষ, বনসাইসহ এখানে পাওয়া যায় টব, কীটনাশক, জৈব সার, মাটি, উপকরণসহ গাছের পরিচর্যাবিষয়ক বই।
নার্সারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বাবুল হোসেন গত বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় দুই শর মতো নার্সারি রয়েছে। এগুলোতে পরিচিত-অপরিচিত কয়েক শ প্রজাতির গাছের চারা থাকে। বাসাবাড়ির ভেতরে ও ছাদে লাগানোর উপযুক্ত গাছের জন্য ক্রেতারা এসব নার্সারিতে আসেন। এখানে ১০ টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দামের গাছ পাওয়া যায়।
আগারগাঁওয়ের অন্তত পাঁচটি নার্সারির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি নার্সারিতেই চার-পাঁচজন কর্মচারী কাজ করছেন। ফলে এ ক্ষেত্রে লোকজনের কর্মসংস্থানও হচ্ছে। পাসপোর্ট অফিসের সামনের শান্তি গার্ডেন নার্সারির মো. ফারুক বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমাদের এই সবুজের কারবার। নার্সারিতে বিনিয়োগ করে ভালোই আছি। পরিবেশ রক্ষা, শহরাঞ্চলের মানুষের কল্যাণের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও সচ্ছলতা এসেছে।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাবরিনা ইসলাম নিজের বারান্দায় ছোট পরিসরে বাগান করেছেন। আগারগাঁওয়ের গ্রিন ওয়ার্ল্ড নার্সারিতে এসেছেন বাগানের জন্য নতুন কিছু চারা কিনতে। বললেন, ‘ঘরের বাইরে তো সবুজ চোখেই পড়ে না। ঘরে গিয়ে অন্তত চোখকে একটু শান্তি দিতে বাগান করেছি। অবসর যেমন কাটে, তেমনি প্রশান্তিও পাই।’
নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মা মনে করেন, ঢাকার মতো জনবহুল শহরে শুধু ব্যক্তিগত উদ্যোগে গাছ লাগালেই হবে না। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, শহরকে ঘিরে আরও গাছ লাগানো উচিত। মানুষের গাছ লাগানোর আগ্রহ অনেক বেশি। ছোট বারান্দা, ছাদ যেখানে জায়গা পাচ্ছে, সেখানেই গাছ লাগাচ্ছে।
আগারগাঁওয়ের নার্সারিগুলোতে ছোট ছোট গাছে ফল ঝুলে থাকতে দেখা গেল। মালটা, লেবু, জামরুলগাছ ক্রেতারা ফলবতী অবস্থায় কিনতে পারবেন সহজেই। গুলশান ১, ফার্মগেটের খামারবাড়ী, শিশু একাডেমীর সামনের সড়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিপরীতে, মিরপুর ১৪, মিরপুর ২ নম্বর গ্রামীণ ব্যাংকের উল্টো পাশে পাবেন এমন নার্সারি।
আগারগাঁওয়ে বৃক্ষমেলা গত ৬ জুন শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন না হওয়ায় এবং প্রচার কম হওয়ায় এবারের বৃক্ষমেলা সেভাবে জমে ওঠেনি। মেলা প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা। এবার মেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পাহাড় সমুদ্র উপকূলে, গাছ লাগাই সবাই মিলে’।
মেলায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৮৯টি স্টল রয়েছে। এসব স্টলে প্রায় এক হাজার জাতের দেশি-বিদেশি ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবধর্নকারী গাছ, বাগান পরিচর্যার সরঞ্জাম, জৈব সার, বীজ, কীটনাশক, ফুলের টব ইত্যাদি আছে।
এ ছাড়া বন বিভাগ প্রতিবছরের মতো এবারও আয়োজন করেছে বৃক্ষমেলার। ঢাকার আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে বাণিজ্য মেলার মাঠে গত ৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে মাসব্যাপী। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকম দেশি, বিদেশি ও দুর্লভ প্রজাতির গাছের চারা। আগারগাঁও নার্সারি মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী, আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিস থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পর্যন্ত ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৪০টি নার্সারি আছে। ফুল, ফল, সৌন্দর্যবর্ধনকারী লতাগুল্ম, ঔষধি বৃক্ষ, বনসাইসহ এখানে পাওয়া যায় টব, কীটনাশক, জৈব সার, মাটি, উপকরণসহ গাছের পরিচর্যাবিষয়ক বই।
নার্সারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বাবুল হোসেন গত বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় দুই শর মতো নার্সারি রয়েছে। এগুলোতে পরিচিত-অপরিচিত কয়েক শ প্রজাতির গাছের চারা থাকে। বাসাবাড়ির ভেতরে ও ছাদে লাগানোর উপযুক্ত গাছের জন্য ক্রেতারা এসব নার্সারিতে আসেন। এখানে ১০ টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দামের গাছ পাওয়া যায়।
আগারগাঁওয়ের অন্তত পাঁচটি নার্সারির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি নার্সারিতেই চার-পাঁচজন কর্মচারী কাজ করছেন। ফলে এ ক্ষেত্রে লোকজনের কর্মসংস্থানও হচ্ছে। পাসপোর্ট অফিসের সামনের শান্তি গার্ডেন নার্সারির মো. ফারুক বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমাদের এই সবুজের কারবার। নার্সারিতে বিনিয়োগ করে ভালোই আছি। পরিবেশ রক্ষা, শহরাঞ্চলের মানুষের কল্যাণের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও সচ্ছলতা এসেছে।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাবরিনা ইসলাম নিজের বারান্দায় ছোট পরিসরে বাগান করেছেন। আগারগাঁওয়ের গ্রিন ওয়ার্ল্ড নার্সারিতে এসেছেন বাগানের জন্য নতুন কিছু চারা কিনতে। বললেন, ‘ঘরের বাইরে তো সবুজ চোখেই পড়ে না। ঘরে গিয়ে অন্তত চোখকে একটু শান্তি দিতে বাগান করেছি। অবসর যেমন কাটে, তেমনি প্রশান্তিও পাই।’
নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মা মনে করেন, ঢাকার মতো জনবহুল শহরে শুধু ব্যক্তিগত উদ্যোগে গাছ লাগালেই হবে না। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, শহরকে ঘিরে আরও গাছ লাগানো উচিত। মানুষের গাছ লাগানোর আগ্রহ অনেক বেশি। ছোট বারান্দা, ছাদ যেখানে জায়গা পাচ্ছে, সেখানেই গাছ লাগাচ্ছে।
আগারগাঁওয়ের নার্সারিগুলোতে ছোট ছোট গাছে ফল ঝুলে থাকতে দেখা গেল। মালটা, লেবু, জামরুলগাছ ক্রেতারা ফলবতী অবস্থায় কিনতে পারবেন সহজেই। গুলশান ১, ফার্মগেটের খামারবাড়ী, শিশু একাডেমীর সামনের সড়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিপরীতে, মিরপুর ১৪, মিরপুর ২ নম্বর গ্রামীণ ব্যাংকের উল্টো পাশে পাবেন এমন নার্সারি।
আগারগাঁওয়ে বৃক্ষমেলা গত ৬ জুন শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন না হওয়ায় এবং প্রচার কম হওয়ায় এবারের বৃক্ষমেলা সেভাবে জমে ওঠেনি। মেলা প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা। এবার মেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পাহাড় সমুদ্র উপকূলে, গাছ লাগাই সবাই মিলে’।
মেলায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৮৯টি স্টল রয়েছে। এসব স্টলে প্রায় এক হাজার জাতের দেশি-বিদেশি ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবধর্নকারী গাছ, বাগান পরিচর্যার সরঞ্জাম, জৈব সার, বীজ, কীটনাশক, ফুলের টব ইত্যাদি আছে।
No comments