বিচার বিভাগের ন্যায্য সমালোচনা হতে পারে -প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা
প্রধান
বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, একটা দেশের জন্য আইনের শাসন
গুরুত্বপূর্ণ। সব সিদ্ধান্তই আইনের শাসনে হতে হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের
মতোই প্রয়োজনবোধে বিচার বিভাগের ন্যায্য সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু
সমালোচনা যদি অবৈধ ও দায়িত্বহীন হয়, তাহলে সেটা বিচার বিভাগের বিশাল ক্ষতি
বয়ে আনবে।
গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটালাইজেশন অব বাংলাদেশ জুডিশিয়ারি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপি’র যৌথ আয়োজনে এই কর্মশালায় প্রধান বিচারপতি ‘ই-জুডিশিয়ারি’র জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ৬৪ জেলা আদালতে ইন্টারনেট, ওয়াইফাই সংযোগ, মামলার অনলাইন তথ্য, ওয়েব/এসএমএসভিত্তিক কার্যতালিকা, জেলা আদালতগুলোর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য নথিভুক্তকরণ, ইলেকট্রনিক কেইস ফাইলিং সিস্টেম, জেলা আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনা, সব আদালতের ডিজিটাল ডিসপ্লে, রায় আর্কাইভ, রেকর্ড ডিজিটালাইজেশন, ই-লাইব্রেরি, অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার, জেলা আদালতের তথ্যকেন্দ্র, বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স সিস্টেম, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ট্রেনিং প্রয়োজন। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি চালু করলেই আমাদের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে না। তথ্য প্রযুক্তি চালু করার পূর্বে কিছু মৌলিক ও কাঠামোগত পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিচার বিভাগের নানা পদক্ষেপে সরকারের সহযোগিতার কথা জানান। তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ন্যায় বিচার পেতে জনগণকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এটা নিয়ে প্রধান বিচারপতিও কথা বলেছেন। বিচার বিভাগের সমস্যা সমাধানে তথ্য প্রযুক্তিকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে। পুরো বিভাগকে ডিজিটালাইজ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনসও বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে বিচার বিভাগের জন্য একটি সমন্বিত আইসিটি নীতিমালা করা দরকার বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
কর্মশালায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকদের পাশাপাশি আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও অংশ নেন। আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্যে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের মধ্যে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো. নিজামুল হক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন।
মাসদার হোসেন মামলার রিভিউ প্রয়োজন: মুহিত
এই কর্মশালায় দেয়া বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, মাসদার হোসেন মামলার কিছু রিভিউ হওয়া দরকার। যাতে সমাজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা পায়। মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২রা ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এখনও বিচার বিভাগীয় সচিবালয় হয়নি।
গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটালাইজেশন অব বাংলাদেশ জুডিশিয়ারি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপি’র যৌথ আয়োজনে এই কর্মশালায় প্রধান বিচারপতি ‘ই-জুডিশিয়ারি’র জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ৬৪ জেলা আদালতে ইন্টারনেট, ওয়াইফাই সংযোগ, মামলার অনলাইন তথ্য, ওয়েব/এসএমএসভিত্তিক কার্যতালিকা, জেলা আদালতগুলোর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য নথিভুক্তকরণ, ইলেকট্রনিক কেইস ফাইলিং সিস্টেম, জেলা আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনা, সব আদালতের ডিজিটাল ডিসপ্লে, রায় আর্কাইভ, রেকর্ড ডিজিটালাইজেশন, ই-লাইব্রেরি, অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার, জেলা আদালতের তথ্যকেন্দ্র, বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স সিস্টেম, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ট্রেনিং প্রয়োজন। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি চালু করলেই আমাদের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে না। তথ্য প্রযুক্তি চালু করার পূর্বে কিছু মৌলিক ও কাঠামোগত পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিচার বিভাগের নানা পদক্ষেপে সরকারের সহযোগিতার কথা জানান। তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ন্যায় বিচার পেতে জনগণকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এটা নিয়ে প্রধান বিচারপতিও কথা বলেছেন। বিচার বিভাগের সমস্যা সমাধানে তথ্য প্রযুক্তিকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে। পুরো বিভাগকে ডিজিটালাইজ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনসও বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে বিচার বিভাগের জন্য একটি সমন্বিত আইসিটি নীতিমালা করা দরকার বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
কর্মশালায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকদের পাশাপাশি আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও অংশ নেন। আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্যে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের মধ্যে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো. নিজামুল হক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন।
মাসদার হোসেন মামলার রিভিউ প্রয়োজন: মুহিত
এই কর্মশালায় দেয়া বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, মাসদার হোসেন মামলার কিছু রিভিউ হওয়া দরকার। যাতে সমাজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা পায়। মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২রা ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এখনও বিচার বিভাগীয় সচিবালয় হয়নি।
No comments