কোকেন কাণ্ড- গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ১০ সদস্যের কমিটি
কোকেন আমদানিকৃত তেলের ড্রাম পরীক্ষা করা হচ্ছে
|
চট্টগ্রাম
বন্দর দিয়ে ভোজ্যতেলের ভেতর ড্রামভর্তি কোকেন আনার ঘটনায় প্রসিকিউশন
টিমের প্রতি আদালতের অসন্তোষ প্রকাশ করার পরেরদিন একই ঘটনায়
গ্রেপ্তারকৃতদের ‘জিজ্ঞাসাবাদের’ জন্য উচ্চপর্যায়ের ১০ সদস্যের একটি কমিটি
গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নগর পুলিশ কমিশনার আবদুুল জলিল মণ্ডল এ আদেশ
দেন। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত বিদেশে অবস্থিতদের ধরতে নগর গোয়েন্দা পুলিশ
(ডিবি) ইন্টারপোল এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহায়তা চাওয়ার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার কুসুম দেওয়ানকে প্রধান করে গঠিত
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি) তানভীর আরাফাত,
সহকারী কমিশনার (ডিবি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামারুজ্জামান, সহকারী
কমিশনার (ডিবি-গোয়েন্দা) ফয়জুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি)
মাইনুদ্দিন, সহকারী কমিশনার (এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডিং) নির্মলেন্দু বিকাশ
চক্রবর্তী, সহকারী কমিশনার (পিএমও) নুরুল হুদা, বন্দর থানার ওসি মহিউদ্দিন
সেলিম, আকবর শাহ থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ, ডিবির পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও
আবদুর রউফ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি) এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘ভোজ্যতেলের ভেতর ড্রামভর্তি কোকেন আনার ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উচ্চ পর্যায়ের ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কোকেন আনার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের রিমান্ড শুনানিতে প্রসিকিউশন টিমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত ‘ভিন্নখাতে’ প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে তাকেও এ মামলার আসামি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আদালত। এছাড়া যথাযথভাবে জব্দ তালিকা না করা ও আদালতে ডিবির ইউনিফর্ম পরে হাজির না হওয়ায় তাকে সতর্ক করা হয়।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদুল আলমের আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের প্রতি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। গত মঙ্গলবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কোকেন আমদানি ও পুনঃরপ্তানির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, একটি ডেভেলপার কোম্পানির কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ও কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) একে আজাদকে গ্রেপ্তার করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। দু’দিন পর নিজেদের হেফাজতে মামলা নেয় তদন্ত সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ১০ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে, কোকেন আমদানির সঙ্গে জড়িত তিনজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বকুল মিয়া এবং রাজু’র বিষয়ে তথ্য পেয়েছে ডিবি। এখন তাদের কাছ থেকে বকুল মিয়া ও রাজু’র পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তারা যদি দেশের বাইরে থাকে তাহলে তাদের ধরতে ইন্টারপোল ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাহায্য নেবে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিবি) কুসুম দেওয়ান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আমরা লন্ডন ও ভারতে অবস্থানরত দু’জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছি। দেশে অবস্থানরত কয়েকজনের বিষয়েও কিছু তথ্য এসেছে। দেশের বাইরে যারা আছে তাদের ধরতে বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা যেমন ইন্টারপোল ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহায়তা নেবো। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল কাজ করে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে। আর যুক্তরাজ্যের বিশেষায়িত পুলিশ সংস্থা হচ্ছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, যে ?চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজনের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। বলিভিয়া থেকে সানফ্লাওয়ার তেলের সঙ্গে তরল কোকেন পাঠিয়েছিল লন্ডনে অবস্থানরত বকুল মিয়া। আর এতে বিনিয়োগ করেছিল ভারতের ব্যবসায়ী রাজু। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা মোটামুটি এসব বিষয় নিশ্চিত হয়েছি। তিনি জানান, রোববার গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে রিমান্ডে মুখোমুখি করা হবে। এতে আপাতত পাওয়া অনেক তথ্য মিলিয়ে নেয়া যাবে।
সূত্রমতে, জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি তথ্য পেয়েছে, বকুল মিয়া লন্ডন থেকে তার নিকটাত্মীয় গোলাম মোস্তফা সোহেল এবং আতিকুর রহমানের মাধ্যমে তা খালাসের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছিল। পরবর্তীতে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন আজাদ এবং মোস্তফা কামালও।
তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ইন্টারপোল এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে সহায়তা চাওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ করতে চান তারা। এজন্য পুলিশ সদর দপ্তরে ইন্টারপোল ডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া চলছে। আর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। তবে এর আগে পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরকে অবহিত করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ই জুন রাতে বন্দরে কোকেন সন্দেহে একটি কনটেইনার সিলগালা করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এরপর ৮ই জুন এটি খুলে ১০৭টি ড্রামের প্রতিটিতে ১৮৫ কেজি করে সান ফ্লাওয়ার তেল পাওয়া যায়। তেলের নমুনা প্রাথমিক পরীক্ষা করে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে উন্নত ল্যাবে একটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এরপর ২৮শে জুন নগরীর বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক ওসমান গনি বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ এর ১(খ) ধারায় ‘আমদানিকারক’ প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও সোহেলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এ পর্যন্ত সোহেলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি) এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘ভোজ্যতেলের ভেতর ড্রামভর্তি কোকেন আনার ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উচ্চ পর্যায়ের ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কোকেন আনার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের রিমান্ড শুনানিতে প্রসিকিউশন টিমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত ‘ভিন্নখাতে’ প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে তাকেও এ মামলার আসামি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আদালত। এছাড়া যথাযথভাবে জব্দ তালিকা না করা ও আদালতে ডিবির ইউনিফর্ম পরে হাজির না হওয়ায় তাকে সতর্ক করা হয়।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদুল আলমের আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের প্রতি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। গত মঙ্গলবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কোকেন আমদানি ও পুনঃরপ্তানির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, একটি ডেভেলপার কোম্পানির কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ও কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) একে আজাদকে গ্রেপ্তার করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। দু’দিন পর নিজেদের হেফাজতে মামলা নেয় তদন্ত সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ১০ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে, কোকেন আমদানির সঙ্গে জড়িত তিনজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বকুল মিয়া এবং রাজু’র বিষয়ে তথ্য পেয়েছে ডিবি। এখন তাদের কাছ থেকে বকুল মিয়া ও রাজু’র পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তারা যদি দেশের বাইরে থাকে তাহলে তাদের ধরতে ইন্টারপোল ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাহায্য নেবে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিবি) কুসুম দেওয়ান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আমরা লন্ডন ও ভারতে অবস্থানরত দু’জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছি। দেশে অবস্থানরত কয়েকজনের বিষয়েও কিছু তথ্য এসেছে। দেশের বাইরে যারা আছে তাদের ধরতে বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা যেমন ইন্টারপোল ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহায়তা নেবো। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল কাজ করে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে। আর যুক্তরাজ্যের বিশেষায়িত পুলিশ সংস্থা হচ্ছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, যে ?চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজনের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। বলিভিয়া থেকে সানফ্লাওয়ার তেলের সঙ্গে তরল কোকেন পাঠিয়েছিল লন্ডনে অবস্থানরত বকুল মিয়া। আর এতে বিনিয়োগ করেছিল ভারতের ব্যবসায়ী রাজু। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা মোটামুটি এসব বিষয় নিশ্চিত হয়েছি। তিনি জানান, রোববার গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে রিমান্ডে মুখোমুখি করা হবে। এতে আপাতত পাওয়া অনেক তথ্য মিলিয়ে নেয়া যাবে।
সূত্রমতে, জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি তথ্য পেয়েছে, বকুল মিয়া লন্ডন থেকে তার নিকটাত্মীয় গোলাম মোস্তফা সোহেল এবং আতিকুর রহমানের মাধ্যমে তা খালাসের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছিল। পরবর্তীতে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন আজাদ এবং মোস্তফা কামালও।
তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ইন্টারপোল এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে সহায়তা চাওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ করতে চান তারা। এজন্য পুলিশ সদর দপ্তরে ইন্টারপোল ডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া চলছে। আর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। তবে এর আগে পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরকে অবহিত করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ই জুন রাতে বন্দরে কোকেন সন্দেহে একটি কনটেইনার সিলগালা করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এরপর ৮ই জুন এটি খুলে ১০৭টি ড্রামের প্রতিটিতে ১৮৫ কেজি করে সান ফ্লাওয়ার তেল পাওয়া যায়। তেলের নমুনা প্রাথমিক পরীক্ষা করে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে উন্নত ল্যাবে একটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এরপর ২৮শে জুন নগরীর বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক ওসমান গনি বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ এর ১(খ) ধারায় ‘আমদানিকারক’ প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও সোহেলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এ পর্যন্ত সোহেলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
No comments