সিলেটে মধ্যরাতে কেনাকাটার ধুম
জিন্দাবাজারে বিপণিবিতানে পছন্দের পোশাক দেখছেন এক ক্রেতা |
বৃহস্পতিবার
রাত একটা। সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকার বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের
প্রচণ্ড ভিড়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সবাই কেনাকাটা করতে এসেছেন।
বিক্রেতারা জানান, গত কয়েক বছর রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ঈদের বাজার খুব জমেনি। তবে এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই ক্রেতাদের ভিড়ও বেশি। তাঁরা বলেন, সিলেটে দিনের চেয়ে রাতেই ঈদবাজার জমজমাট।
এদিন রাত সোয়া একটার দিকে জিন্দাবাজার এলাকার একটি বিপণিবিতানে কথা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, সিলেটের মানুষ দিনের চেয়ে রাতেই কেনাকাটা করতে বেশি পছন্দ করে। তারাবির নামাজ শেষে মানুষজন একটু আরাম-আয়েশে কেনাকাটা করতে আসে। এটা একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এ রেওয়াজের অংশ হিসেবে তিনিও রাতের বেলা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, বারুতখানা, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া ও লামাবাজার এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ কেনাকাটা করেছে। বিপণিবিতানের পাশাপাশি অনেকে ফুটপাতেও ভিড় জমিয়েছে। ভেতরে-বাইরে সর্বত্র কেনাকাটার ধুম।
নয়াসড়ক এলাকার কাপড়ের ব্যবসায়ী আইয়ুব খান বলেন, ‘সিলেটের মানুষ আরামপ্রিয়। তারা সারা দিন রোজা রেখে ইফতার শেষে অসহ্য গরমের মধ্যে বেরোতে চায় না। তাই অনেকে মধ্যরাতে কেনাকাটা সেরে সেহ্রি খেয়ে তবেই ঘুমোতে যায়। এ অবস্থায় আমাদেরও প্রায় ২৪ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে।’
গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বিপণিবিতানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষ কেনাকাটা করতে বেরিয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে লামাবাজার এলাকায় কথা হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারহানা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা চারজন বান্ধবী একই রঙের চারটি মণিপুরি শাড়ি কিনেছি। ঈদের দিন সবাই এগুলো পরব।’
লামাবাজারে দেশি পণ্যের দোকান ষড়ঋতুর স্বত্বাধিকারী নাজমা পারভীন বলেন, ‘রাতের বেলা ভিড় একটু বেশি। তবে দিনের বেলাও ক্রেতাদের উপস্থিতি মন্দ নয়। ক্রেতাদের চাহিদা ও নতুনত্বের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ও থ্রিপিসের পসরা সাজিয়েছি। দেশীয় ঐতিহ্যে লালিত এসব কাপড়চোপড় বিক্রিও হচ্ছে বেশ।’
এবার নানা নকশা-সংবলিত কাপড় এসেছে। নারীদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে শাড়ি ও থ্রিপিস। পুরুষের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট ও জিনস প্যান্টে আগ্রহ বলে কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
বিক্রেতারা জানান, গত কয়েক বছর রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ঈদের বাজার খুব জমেনি। তবে এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই ক্রেতাদের ভিড়ও বেশি। তাঁরা বলেন, সিলেটে দিনের চেয়ে রাতেই ঈদবাজার জমজমাট।
এদিন রাত সোয়া একটার দিকে জিন্দাবাজার এলাকার একটি বিপণিবিতানে কথা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, সিলেটের মানুষ দিনের চেয়ে রাতেই কেনাকাটা করতে বেশি পছন্দ করে। তারাবির নামাজ শেষে মানুষজন একটু আরাম-আয়েশে কেনাকাটা করতে আসে। এটা একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এ রেওয়াজের অংশ হিসেবে তিনিও রাতের বেলা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, বারুতখানা, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া ও লামাবাজার এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ কেনাকাটা করেছে। বিপণিবিতানের পাশাপাশি অনেকে ফুটপাতেও ভিড় জমিয়েছে। ভেতরে-বাইরে সর্বত্র কেনাকাটার ধুম।
নয়াসড়ক এলাকার কাপড়ের ব্যবসায়ী আইয়ুব খান বলেন, ‘সিলেটের মানুষ আরামপ্রিয়। তারা সারা দিন রোজা রেখে ইফতার শেষে অসহ্য গরমের মধ্যে বেরোতে চায় না। তাই অনেকে মধ্যরাতে কেনাকাটা সেরে সেহ্রি খেয়ে তবেই ঘুমোতে যায়। এ অবস্থায় আমাদেরও প্রায় ২৪ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে।’
গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বিপণিবিতানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষ কেনাকাটা করতে বেরিয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে লামাবাজার এলাকায় কথা হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারহানা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা চারজন বান্ধবী একই রঙের চারটি মণিপুরি শাড়ি কিনেছি। ঈদের দিন সবাই এগুলো পরব।’
লামাবাজারে দেশি পণ্যের দোকান ষড়ঋতুর স্বত্বাধিকারী নাজমা পারভীন বলেন, ‘রাতের বেলা ভিড় একটু বেশি। তবে দিনের বেলাও ক্রেতাদের উপস্থিতি মন্দ নয়। ক্রেতাদের চাহিদা ও নতুনত্বের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ও থ্রিপিসের পসরা সাজিয়েছি। দেশীয় ঐতিহ্যে লালিত এসব কাপড়চোপড় বিক্রিও হচ্ছে বেশ।’
এবার নানা নকশা-সংবলিত কাপড় এসেছে। নারীদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে শাড়ি ও থ্রিপিস। পুরুষের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট ও জিনস প্যান্টে আগ্রহ বলে কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
No comments