আজ মন্ত্রিসভায় উঠছে পে-স্কেল : সরকারের ২০ লাখ জনবল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
পে-কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা বাদ দিয়ে আজ সোমবার নতুন পে-স্কেল (বেতন কাঠামো) অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উঠছে। আর সর্বক্ষেত্রে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না করে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করলে গোটা প্রশাসনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। কারণ এতে সরকারের প্রায় ২০ লাখ জনবল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মন্ত্রিসভার কাছে অর্থবিভাগের পাঠানো এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানবকণ্ঠকে বলেন, সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন বেতন কাঠামো অনুমোদনের জন্য উঠছে। তবে এটি নিয়মিত আলোচ্য সূচিতে নয়, বিধির মধ্যে এটি থাকছে। পে-স্কেলে প্রতিবছর বেতন বৃদ্ধির একটি সুযোগ রাখা হয়েছে। এ কারণে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করা হয়েছে। এর ফলে কত সংখ্যক জনবল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তার একটি তুলনামূলক চিত্র তৈরি করেছে অর্থ বিভাগ। এ মূল্যায়ন রিপোটর্টি মন্ত্রিসভাকে অবহিত করতে পাঠানো হয়েছে।
মোট কর্মরত জনবলের ভিত্তিতে বৃহৎ ৬টি মন্ত্রণালয়ের জনবলের একটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এসব মন্ত্রণালয় হচ্ছে প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ও জনপ্রশাসন। এ ছকে দেখা যায়, জিওবি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোট জনবলের সংখ্যা ২১ লাখ ৪ হাজার। মোট জনবলের ৮৬ দশমিক ৭ ভাগই ওই ৬টি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। এই ৬টি মন্ত্রণালয়ের আওতায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের সংখ্যা ১৩ লাখ ৭৮ হাজার, যা জনবলের ৬৫ দশমিক ৪১ ভাগ। আর প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৩ জন।
সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি বিবেচনা করলে দেখা যায়, কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত অধিকাংশ প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা যথাসময়ে বা প্রায় কাছাকাছি সময়ে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ কিছু থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের পদোন্নতির সুযোগ নেই।
পে-কমিশন সুপারিশের আলোকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করা হলে জনবলের ভিত্তিতে ৬টি বৃহৎ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় : এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের অধিকাংশই বিশেষ করে ৩য় শ্রেণীর জনবল সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত, যা সরকারের মোট জনবলের ৯ ভাগ। তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত সিপাহী, নৌ-সেনা ও বিমান সেনা হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করার পর অধিকাংশই দীর্ঘদিন এমনকি সমস্ত চাকরিকাল একই পদে কর্মরত থাকেন। ফলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করা হলে এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত জনবলের মধ্যে প্রায় ৯৫ ভাগ জনবল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ২য়, ৩য়, ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের অধিকাংশই বিশেষ করে ২য় ও ৩য় শ্রেণীর জনবল পুলিশ বাহিনী, আনসার, ভিডিপি, বিজিবির সৈনিক, কারারক্ষী, ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান চাকরিতে প্রবেশ করার পর দীর্ঘদিন বা প্রায় একই পদে কর্মরত থাকেন। ফলে সিলেকশন গ্রেড বা টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করা হলে, এ মন্ত্রণালয়ের ৯৪ ভাগ জনবল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, যা সরকারের মোট জনবলের প্রায় ২৪ ভাগ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষ মন্ত্রণালয় : এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ৩য় শ্রেণীর জনবলের প্রায় সবাই সহকারী শিক্ষক। এসব শিক্ষকগণ সমগ্র চাকরিজীবনে কোনো পদোন্নতি পান না। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করা হলে মোট জনবলের ১৬ ভাগ আথিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় : এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ২য় শ্রেণীর জনবলের অধিকাংশই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিগত দিনে এসব শিক্ষক ৩য় শ্রেণীভুক্ত থাকলেও বর্তমান সরকারের পূর্বের মেয়াদে তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান করা হয়। কিন্তু এসব শিক্ষকগণ সমগ্র চাকরিজীবনে কোনো পদোন্নতি পান না। পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না করেই সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
স্বাস্থ্য ও পবিরার কল্যাণ মন্ত্রণালয় : একইভাবে এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ৩য় শ্রেণীর জনবলের অধিকাংশই স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী। এসব পদের কর্মকর্তারা সমগ্র চাকরিজীবনে কোনো পদোন্নতি পান না। পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না করে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দিলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় : এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের অধিকাংশই ড্রাইভার। এ পদে কর্মরতরা সমগ্র চাকরিজীবনে কোনো পদোন্নতি পান না। পদোন্নতির কোনো সুযোগ সৃষ্টি না করে টাইম স্কেল সুবিধা বাদ দেয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
প্রতিবেদনে সার্বিক বিবেচনায় বলা হয়, সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে কেবলমাত্র ওপরে ৬টি মন্ত্রণালয়ে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধাভোগীর সংখ্যা মোট জনবলের প্রায় ৬৫ শতাংশ। পে-কমিশন গঠনের মূল উদ্দেশ্য সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। যদিও গঠিত পে-কমিশনের সুপারিশে সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির সুবিধা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান চাকরি বিধি ও নিয়োগ বিধির আলোকে পদোন্নতি প্রদানের সুযোগ খুবই সীমিত। যদিও কেবলমাত্র বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের পদ না থাকা সত্ত্বেও সুপার নিউমারি পদ সৃষ্টিপূর্বক পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য চাকরি ক্ষেত্রে এরূপ নজির নেই। সার্বিক চাকরিতে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না করেই প্রদত্ত সুবিধা বাদ দেয়া হলে তা কর্মরত জনবলের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানবকণ্ঠকে বলেন, সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন বেতন কাঠামো অনুমোদনের জন্য উঠছে। তবে এটি নিয়মিত আলোচ্য সূচিতে নয়, বিধির মধ্যে এটি থাকছে। পে-স্কেলে প্রতিবছর বেতন বৃদ্ধির একটি সুযোগ রাখা হয়েছে। এ কারণে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করা হয়েছে। এর ফলে কত সংখ্যক জনবল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তার একটি তুলনামূলক চিত্র তৈরি করেছে অর্থ বিভাগ। এ মূল্যায়ন রিপোটর্টি মন্ত্রিসভাকে অবহিত করতে পাঠানো হয়েছে।
মোট কর্মরত জনবলের ভিত্তিতে বৃহৎ ৬টি মন্ত্রণালয়ের জনবলের একটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এসব মন্ত্রণালয় হচ্ছে প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ও জনপ্রশাসন। এ ছকে দেখা যায়, জিওবি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোট জনবলের সংখ্যা ২১ লাখ ৪ হাজার। মোট জনবলের ৮৬ দশমিক ৭ ভাগই ওই ৬টি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। এই ৬টি মন্ত্রণালয়ের আওতায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের সংখ্যা ১৩ লাখ ৭৮ হাজার, যা জনবলের ৬৫ দশমিক ৪১ ভাগ। আর প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৩ জন।
সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি বিবেচনা করলে দেখা যায়, কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত অধিকাংশ প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা যথাসময়ে বা প্রায় কাছাকাছি সময়ে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ কিছু থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের পদোন্নতির সুযোগ নেই।
পে-কমিশন সুপারিশের আলোকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করা হলে জনবলের ভিত্তিতে ৬টি বৃহৎ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় : এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের অধিকাংশই বিশেষ করে ৩য় শ্রেণীর জনবল সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত, যা সরকারের মোট জনবলের ৯ ভাগ। তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত সিপাহী, নৌ-সেনা ও বিমান সেনা হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করার পর অধিকাংশই দীর্ঘদিন এমনকি সমস্ত চাকরিকাল একই পদে কর্মরত থাকেন। ফলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করা হলে এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত জনবলের মধ্যে প্রায় ৯৫ ভাগ জনবল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ২য়, ৩য়, ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের অধিকাংশই বিশেষ করে ২য় ও ৩য় শ্রেণীর জনবল পুলিশ বাহিনী, আনসার, ভিডিপি, বিজিবির সৈনিক, কারারক্ষী, ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান চাকরিতে প্রবেশ করার পর দীর্ঘদিন বা প্রায় একই পদে কর্মরত থাকেন। ফলে সিলেকশন গ্রেড বা টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করা হলে, এ মন্ত্রণালয়ের ৯৪ ভাগ জনবল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, যা সরকারের মোট জনবলের প্রায় ২৪ ভাগ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষ মন্ত্রণালয় : এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ৩য় শ্রেণীর জনবলের প্রায় সবাই সহকারী শিক্ষক। এসব শিক্ষকগণ সমগ্র চাকরিজীবনে কোনো পদোন্নতি পান না। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করা হলে মোট জনবলের ১৬ ভাগ আথিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় : এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ২য় শ্রেণীর জনবলের অধিকাংশই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিগত দিনে এসব শিক্ষক ৩য় শ্রেণীভুক্ত থাকলেও বর্তমান সরকারের পূর্বের মেয়াদে তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান করা হয়। কিন্তু এসব শিক্ষকগণ সমগ্র চাকরিজীবনে কোনো পদোন্নতি পান না। পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না করেই সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা রহিত করলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
স্বাস্থ্য ও পবিরার কল্যাণ মন্ত্রণালয় : একইভাবে এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ৩য় শ্রেণীর জনবলের অধিকাংশই স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী। এসব পদের কর্মকর্তারা সমগ্র চাকরিজীবনে কোনো পদোন্নতি পান না। পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না করে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দিলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় : এ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ৪র্থ শ্রেণীর জনবলের অধিকাংশই ড্রাইভার। এ পদে কর্মরতরা সমগ্র চাকরিজীবনে কোনো পদোন্নতি পান না। পদোন্নতির কোনো সুযোগ সৃষ্টি না করে টাইম স্কেল সুবিধা বাদ দেয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
প্রতিবেদনে সার্বিক বিবেচনায় বলা হয়, সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে কেবলমাত্র ওপরে ৬টি মন্ত্রণালয়ে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধাভোগীর সংখ্যা মোট জনবলের প্রায় ৬৫ শতাংশ। পে-কমিশন গঠনের মূল উদ্দেশ্য সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। যদিও গঠিত পে-কমিশনের সুপারিশে সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির সুবিধা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান চাকরি বিধি ও নিয়োগ বিধির আলোকে পদোন্নতি প্রদানের সুযোগ খুবই সীমিত। যদিও কেবলমাত্র বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের পদ না থাকা সত্ত্বেও সুপার নিউমারি পদ সৃষ্টিপূর্বক পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য চাকরি ক্ষেত্রে এরূপ নজির নেই। সার্বিক চাকরিতে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না করেই প্রদত্ত সুবিধা বাদ দেয়া হলে তা কর্মরত জনবলের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।
No comments