গ্রিসজুড়ে দুই পক্ষের বিক্ষোভ
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সংস্কার কর্মসূচির কঠোর শর্ত মানা হবে কি হবে না, তা নিয়ে কাল গ্রিসে গণভোট হবে। এ নিয়ে চলছে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি |
গ্রিসের
এথেন্সে আগামীকাল রোববার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) আন্তর্জাতিক
ঋণদাতাদের সংস্কার কর্মসূচির কঠোর শর্ত মানা হবে কি হবে না, তা নিয়ে গণভোট
হবে। এর আগেই গতকাল শুক্রবার দেশটির হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছে। আজ
শনিবারও বিক্ষোভ চলছে।
দাতাদের দেওয়া অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের (বেইলআউট) কর্মসূচির প্রস্তাবের ওপর ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোট সমর্থকেরা আলাদাভাবে বিক্ষোভ মিছিল করছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস গতকাল রাতে ‘না’ ভোট দিতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় সমর্থকেরাও চিৎকার করে তাঁকে উৎসাহ দেন। একই সময় সেখান থেকে কিছুটা দূরে ‘হ্যাঁ’ ভোটের সমর্থকদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, ‘না’ ভোট দিলে গ্রিস ইউরোজোন থেকে বিচ্যুত হতে পারে।
আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত গ্রিসকে গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঋণখেলাপি ঘোষণা করেছে ইইউর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইউরোজোনের দেশগুলোকে জরুরি আর্থিক সংকটে সহায়তা করা কর্তৃপক্ষ ইউরোপিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ফ্যাসিলিটি (ইএফএসএফ) গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রিসকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে তারা জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে জনসমর্থন বেড়েছে। জনমত জরিপে দেখা গেছে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছে আর না এর পক্ষে ৪৩ শতাংশ পড়েছে।
গ্রিসের ১০টি শহরে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোটের সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এসব এলাকায় ২৫ থেকে ৫০ হাজার পুলিশ ও পর্যবেক্ষক দল মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস গতকাল রাতে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, এটি কোনো বিক্ষোভ নয়। ভয় কাটানোর উৎসব। তিনি গ্রিসবাসীকে ইউরোপে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার চেষ্টা চালাতে আহ্বান জানান।
তবে ‘হ্যাঁ’ ভোটের সমর্থকেরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস এ রকম কথা বলতে পারেন না। চিকিৎসক নিকোস বলেন, ইউরো ছেড়ে থাকা যাবে না। ইউরো ছাড়া মানে কষ্টের মধ্যে থাকা। অর্থনীতিবিদ ম্যারিনা পিপা রয়টার্সকে বলেন, ‘না’ ভোট জয়ী হলে দেশ আরও দারিদ্র্যপীড়িত হবে।
অর্থনৈতিক সংকটে পড়া গ্রিস বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে সম্ভাব্য একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় রয়েছে। এই চুক্তির জন্য দাতারা যে প্রস্তাব দিয়েছে, এতে বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংকোচন করার কথা বলা আছে। এতে আপত্তি রয়েছে দেশটির বর্তমান বামপন্থী সরকারের। তবে চুক্তি না হলে গ্রিস এসব দাতার কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত ২৯ বিলিয়ন ইউরো ঋণ পাবে না। এই ঋণ পেলেই কেবল এথেন্স আগামী দুই বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য সব দেনা শোধ দিতে পারবে। এর মধ্যে আইএমএফের কাছ থেকে নেওয়া গ্রিসের দেড় বিলিয়ন ইউরো (১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) গত মঙ্গলবারের মধ্যে শোধ করার কথা থাকলেও তা পারেনি গ্রিস। গতকাল শুক্রবার গ্রিসকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করা হয়।
দাতাদের দেওয়া অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের (বেইলআউট) কর্মসূচির প্রস্তাবের ওপর ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোট সমর্থকেরা আলাদাভাবে বিক্ষোভ মিছিল করছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস গতকাল রাতে ‘না’ ভোট দিতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় সমর্থকেরাও চিৎকার করে তাঁকে উৎসাহ দেন। একই সময় সেখান থেকে কিছুটা দূরে ‘হ্যাঁ’ ভোটের সমর্থকদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, ‘না’ ভোট দিলে গ্রিস ইউরোজোন থেকে বিচ্যুত হতে পারে।
আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত গ্রিসকে গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঋণখেলাপি ঘোষণা করেছে ইইউর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইউরোজোনের দেশগুলোকে জরুরি আর্থিক সংকটে সহায়তা করা কর্তৃপক্ষ ইউরোপিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ফ্যাসিলিটি (ইএফএসএফ) গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রিসকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে তারা জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে জনসমর্থন বেড়েছে। জনমত জরিপে দেখা গেছে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছে আর না এর পক্ষে ৪৩ শতাংশ পড়েছে।
গ্রিসের ১০টি শহরে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোটের সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এসব এলাকায় ২৫ থেকে ৫০ হাজার পুলিশ ও পর্যবেক্ষক দল মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস গতকাল রাতে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, এটি কোনো বিক্ষোভ নয়। ভয় কাটানোর উৎসব। তিনি গ্রিসবাসীকে ইউরোপে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার চেষ্টা চালাতে আহ্বান জানান।
তবে ‘হ্যাঁ’ ভোটের সমর্থকেরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস এ রকম কথা বলতে পারেন না। চিকিৎসক নিকোস বলেন, ইউরো ছেড়ে থাকা যাবে না। ইউরো ছাড়া মানে কষ্টের মধ্যে থাকা। অর্থনীতিবিদ ম্যারিনা পিপা রয়টার্সকে বলেন, ‘না’ ভোট জয়ী হলে দেশ আরও দারিদ্র্যপীড়িত হবে।
অর্থনৈতিক সংকটে পড়া গ্রিস বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে সম্ভাব্য একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় রয়েছে। এই চুক্তির জন্য দাতারা যে প্রস্তাব দিয়েছে, এতে বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংকোচন করার কথা বলা আছে। এতে আপত্তি রয়েছে দেশটির বর্তমান বামপন্থী সরকারের। তবে চুক্তি না হলে গ্রিস এসব দাতার কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত ২৯ বিলিয়ন ইউরো ঋণ পাবে না। এই ঋণ পেলেই কেবল এথেন্স আগামী দুই বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য সব দেনা শোধ দিতে পারবে। এর মধ্যে আইএমএফের কাছ থেকে নেওয়া গ্রিসের দেড় বিলিয়ন ইউরো (১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) গত মঙ্গলবারের মধ্যে শোধ করার কথা থাকলেও তা পারেনি গ্রিস। গতকাল শুক্রবার গ্রিসকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করা হয়।
No comments