ইঁদুর ঘায়েলে বিড়ালের রাসায়নিক অস্ত্র!
নতুন গবেষণায় বলা হচ্ছে বিড়ালের মূত্রে থাকা বিশেষ রাসায়নিকই ইঁদুরকে বশে রাখার হাতিয়ার। ছবি: সায়েন্স ফটো লাইব্রেরি/বিবিসি |
ইঁদুর
বনাম বিড়ালই সম্ভবত প্রাণীকুলে শিকার-শিকারির সবচেয়ে খ্যাতনামা জুটি।
প্রবাদ প্রবচন থেকে শুরু করে এ জুটিকে নিয়ে আছে দুনিয়াজোড়া জনপ্রিয় টম
অ্যান্ড জেরির মতো কার্টুন ছবিও। কিন্তু ইঁদুরের ওপর বিড়ালের এ আধিপত্যের
রহস্যটা কী? রুশ বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হচ্ছে— ইঁদুরদের
বিরুদ্ধে বিড়ালরা রীতিমতো ‘রাসায়নিক অস্ত্র’ প্রয়োগ করে থাকে। বিড়ালের
মূত্রে থাকা বিশেষ রাসায়নিকই ইঁদুরকে বশে রাখার হাতিয়ার।
গবেষকেরা বলছেন, খুব ছোট্ট বেলায় যে ইঁদুরছানারা বিড়ালের মূত্রের সংস্পর্শে আসে বড় হয়েও তাদের বিড়ালের গায়ের গন্ধ এড়িয়ে চলার সম্ভাবনা কম। বিড়ালের মূত্রে থাকা বিশেষ রাসায়নিকের উপস্থিতিই ইঁদুরদের এই প্রতিক্রিয়ার কারণ। এই অস্ত্র প্রয়োগ করেই ইঁদুরদের বশ করে বিড়ালরা। সম্প্রতি চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে সোসাইটি ফর এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজির বার্ষিক সম্মেলনে এই গবেষণা উত্থাপন করা হয়েছে।
মস্কোর ‘এএন সেভেরতভ ইনস্টিটিউট অফ ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’-এর বিজ্ঞানীরা আগের এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছিলেন যে, বিড়ালের মূত্রে থাকা ‘ফেলিনাইন’ নামের রাসায়নিকের গন্ধে গর্ভবতী ইঁদুরের গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে।
ড. ভেরা ভজনেসেনস্কায়া বলেন, বিড়াল-মূত্রে থাকা এই বিশেষ রাসায়নিকের প্রতি ইঁদুরের একটা শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া আছে। ইঁদুরের মস্তিষ্কে থাকা রাসায়নিক শনাক্তকরণের নিউরন বিড়ালের এই রাসায়নিকের গন্ধ চিনে নেয়। এর ফলে ইঁদুরের শরীরে মানসিক চাপের বিশেষ একটা হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। ভজনেসেনস্কায়া বলেন,‘ইঁদুর আর বিড়ালের মধ্যে হাজার হাজার বছর ধরেই এই বিশেষ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সম্পর্ক বিদ্যমান।’
নতুন এ গবেষণায় বলা হয়েছে, বেড়ে ওঠার একটা ‘জটিল পর্যায়ে’ ইঁদুরছানারা বিড়াল-মূত্রের এই রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে বড় হয়ে তারা চিরশত্রু বিড়ালের গন্ধের বিষয়ে খুবই ভিন্নরকম আচরণ করবে। এই রাসায়নিকে ইঁদুরের ‘মানসিক চাপ’ বাড়ে কিন্তু ‘আচরণ’ পাল্টায় না। এই ইঁদুরছানারা বিড়ালের গন্ধ পেলেও পালাতে চাইবে না, বিড়ালের আশপাশেই থাকবে।
ভজনেসেনস্কায়া বলেন, ‘এভাবে বসবাস করাটাই হয়তো ইঁদুরের জন্য সুবিধাজনক, ওরা পালিয়ে যেতে পারে না, কারণ খাদ্যের প্রয়োজনেই তাদের মানুষের আশপাশে থাকতে হয় আর বিড়ালও মানুষের আশপাশেই থাকে।’ এই গবেষক আরও জানান, সম্ভবত এই রাসায়নিক প্রয়োগ করেই বিড়ালেরা তাদের আশপাশে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় ইঁদুরের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
গবেষকেরা বলছেন, খুব ছোট্ট বেলায় যে ইঁদুরছানারা বিড়ালের মূত্রের সংস্পর্শে আসে বড় হয়েও তাদের বিড়ালের গায়ের গন্ধ এড়িয়ে চলার সম্ভাবনা কম। বিড়ালের মূত্রে থাকা বিশেষ রাসায়নিকের উপস্থিতিই ইঁদুরদের এই প্রতিক্রিয়ার কারণ। এই অস্ত্র প্রয়োগ করেই ইঁদুরদের বশ করে বিড়ালরা। সম্প্রতি চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে সোসাইটি ফর এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজির বার্ষিক সম্মেলনে এই গবেষণা উত্থাপন করা হয়েছে।
মস্কোর ‘এএন সেভেরতভ ইনস্টিটিউট অফ ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’-এর বিজ্ঞানীরা আগের এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছিলেন যে, বিড়ালের মূত্রে থাকা ‘ফেলিনাইন’ নামের রাসায়নিকের গন্ধে গর্ভবতী ইঁদুরের গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে।
ড. ভেরা ভজনেসেনস্কায়া বলেন, বিড়াল-মূত্রে থাকা এই বিশেষ রাসায়নিকের প্রতি ইঁদুরের একটা শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া আছে। ইঁদুরের মস্তিষ্কে থাকা রাসায়নিক শনাক্তকরণের নিউরন বিড়ালের এই রাসায়নিকের গন্ধ চিনে নেয়। এর ফলে ইঁদুরের শরীরে মানসিক চাপের বিশেষ একটা হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। ভজনেসেনস্কায়া বলেন,‘ইঁদুর আর বিড়ালের মধ্যে হাজার হাজার বছর ধরেই এই বিশেষ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সম্পর্ক বিদ্যমান।’
নতুন এ গবেষণায় বলা হয়েছে, বেড়ে ওঠার একটা ‘জটিল পর্যায়ে’ ইঁদুরছানারা বিড়াল-মূত্রের এই রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে বড় হয়ে তারা চিরশত্রু বিড়ালের গন্ধের বিষয়ে খুবই ভিন্নরকম আচরণ করবে। এই রাসায়নিকে ইঁদুরের ‘মানসিক চাপ’ বাড়ে কিন্তু ‘আচরণ’ পাল্টায় না। এই ইঁদুরছানারা বিড়ালের গন্ধ পেলেও পালাতে চাইবে না, বিড়ালের আশপাশেই থাকবে।
ভজনেসেনস্কায়া বলেন, ‘এভাবে বসবাস করাটাই হয়তো ইঁদুরের জন্য সুবিধাজনক, ওরা পালিয়ে যেতে পারে না, কারণ খাদ্যের প্রয়োজনেই তাদের মানুষের আশপাশে থাকতে হয় আর বিড়ালও মানুষের আশপাশেই থাকে।’ এই গবেষক আরও জানান, সম্ভবত এই রাসায়নিক প্রয়োগ করেই বিড়ালেরা তাদের আশপাশে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় ইঁদুরের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
No comments