রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সুন্দরবনের ক্ষতি দেখতে আসবে ইউনেসকো by ইফতেখার মাহমুদ
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং পশুর নদ খনন বিষয়ে সরকারের দেওয়া তথ্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও ঐতিহ্যবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো। সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থার ওপর ওই দুটি প্রকল্পের প্রভাব কীভাবে পড়ছে, তা বুঝতে একটি প্রতিবেশগত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন চেয়েছিল ইউনেসকো। কিন্তু সরকার তা দেয়নি। এই তথ্য উল্লেখ করে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা নিজেরাই সুন্দরবনের ক্ষতি বুঝতে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে।
গত শনিবার বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের বার্ষিক সাধারণ সভার পর এ সিদ্ধান্ত তাদের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। ইউনেসকো ও প্রকৃতি সংরক্ষণ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আইইউসিএন-এর সমন্বয়ে ওই পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইউনেসকো।
জানতে চাইলে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুন্দরবনের ব্যাপারে জাতিসংঘ বা যেকোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা পর্যবেক্ষণ বা সহযোগিতা করতে চাইলে আমি ব্যক্তিগতভাবে না করব না। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয় নিয়ে ইউনেসকো যদি আসতে চায়, তাহলে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমি সবকিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে করার পক্ষে।’
কোনো বিশ্ব ঐতিহ্য মানুষের কারণে ক্ষতির মুখে পড়লে এবং সেই দেশের সরকার এই ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে তাকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেসকো। ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে কি না, তা নিশ্চিত হতে ‘রিয়েকটিভ মনিটরিং টিম’ নামে দল পাঠায় ইউনেসকো।
গত বছরের ডিসেম্বরে ইউনেসকো থেকে সরকারকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হতে পারে। ওই ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তারা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবনের নাম বাদ দেবে।
যোগাযোগ করা হলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার সময় যে ৬৯টি শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তার বেশির ভাগই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ পালন করছে না। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন কারও একার সম্পদ নয়। এটা আমাদের সবার। কিন্তু সুন্দরবনের ব্যাপারে বারবার তথ্য চেয়েও আমরা সরকারের কাছ থেকে পাচ্ছি না। তাই সুন্দরবনের ক্ষতির বিষয়ে সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমরাও উদ্বিগ্ন।’
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ বিদ্যুৎ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব আইন মেনেই আমরা রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করছি। আন্তর্জাতিক মান ও নিয়ম এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে।’
ইউনেসকো গত জানুয়ারিতে সরকারকে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছিল, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার যদি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনটি বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান হারাতে পারে।
সুন্দরবনের ক্ষতির আশঙ্কা তুলে এর আগে নরওয়ের রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান পেনশন ফান্ড রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারতীয় অংশীদার ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি থেকে তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয়। চলতি মাসে তিনটি ফরাসি ব্যাংক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ না করার ঘোষণা দিয়েছে।
ইউনেসকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্দরবনের পাশে রামপালের উজানে আরও মারাত্মক দূষণকারী শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে এই কেন্দ্রটি।
গত শনিবার বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের বার্ষিক সাধারণ সভার পর এ সিদ্ধান্ত তাদের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। ইউনেসকো ও প্রকৃতি সংরক্ষণ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আইইউসিএন-এর সমন্বয়ে ওই পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইউনেসকো।
জানতে চাইলে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুন্দরবনের ব্যাপারে জাতিসংঘ বা যেকোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা পর্যবেক্ষণ বা সহযোগিতা করতে চাইলে আমি ব্যক্তিগতভাবে না করব না। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয় নিয়ে ইউনেসকো যদি আসতে চায়, তাহলে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমি সবকিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে করার পক্ষে।’
কোনো বিশ্ব ঐতিহ্য মানুষের কারণে ক্ষতির মুখে পড়লে এবং সেই দেশের সরকার এই ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে তাকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেসকো। ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে কি না, তা নিশ্চিত হতে ‘রিয়েকটিভ মনিটরিং টিম’ নামে দল পাঠায় ইউনেসকো।
গত বছরের ডিসেম্বরে ইউনেসকো থেকে সরকারকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হতে পারে। ওই ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তারা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবনের নাম বাদ দেবে।
যোগাযোগ করা হলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার সময় যে ৬৯টি শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তার বেশির ভাগই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ পালন করছে না। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন কারও একার সম্পদ নয়। এটা আমাদের সবার। কিন্তু সুন্দরবনের ব্যাপারে বারবার তথ্য চেয়েও আমরা সরকারের কাছ থেকে পাচ্ছি না। তাই সুন্দরবনের ক্ষতির বিষয়ে সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমরাও উদ্বিগ্ন।’
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ বিদ্যুৎ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব আইন মেনেই আমরা রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করছি। আন্তর্জাতিক মান ও নিয়ম এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে।’
ইউনেসকো গত জানুয়ারিতে সরকারকে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছিল, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার যদি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনটি বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান হারাতে পারে।
সুন্দরবনের ক্ষতির আশঙ্কা তুলে এর আগে নরওয়ের রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান পেনশন ফান্ড রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারতীয় অংশীদার ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি থেকে তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয়। চলতি মাসে তিনটি ফরাসি ব্যাংক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ না করার ঘোষণা দিয়েছে।
ইউনেসকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্দরবনের পাশে রামপালের উজানে আরও মারাত্মক দূষণকারী শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে এই কেন্দ্রটি।
No comments