সুনামগঞ্জে আ.লীগর রাজনীতি: কোন্দলে ক্লান্ত জ্যেষ্ঠরা, নতুন নেতৃত্বের আশায় তরুণেরা
৫৪ সদস্যের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই ভারপ্রাপ্ত। বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন ১০ জন নেতা। ছয়জন প্রবাসে থাকেন। দুজন দল ত্যাগ করেছেন। ছয়জনকে অব্যাহতি দিয়েছে দল। বাকিদের মধ্যে ১০-১২ জনই নিষ্ক্রিয়। হাতে গোনা কয়েকজনকে দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে দেখা যায়।
দলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, সংখ্যায় দুর্বল এই কমিটি আরও হীনবল হয়ে পড়েছে কোন্দলের কারণে। দিবসকেন্দ্রিক সীমিত কিছু কর্মসূচি পালন ছাড়া তেমন কোনো কর্মকাণ্ড নেই। মূল দলের ১৮ বছরের দ্বন্দ্ব-কোন্দলের প্রভাব পড়েছে সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলোয়।
নেতাদের কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, সম্মেলনের তোড়জোড় শুরু হলে নেতা-কর্মীরা একটু নড়েচড়ে ওঠেন। সম্মেলনের আওয়াজ থেমে গেলে আবার স্থবিরতা নেমে আসে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কিন্তু আগের দিন স্থগিত হয় সম্মেলন। হতাশ হন নেতা-কর্মীরা।
জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি শংকর দাসের বয়স এখন ৫০। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ, যুবলীগ হয়ে ১৮ বছর ধরে কৃষক লীগে আছেন। মূল দলের কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ার ইচ্ছে। কিন্তু সম্মেলনই হয় না। হতাশা তো আসবেই।’
সম্মেলন প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত নেতারা জানান, ৭ ফেব্রুয়ারির সম্মেলন ঘিরেও জেলা আওয়ামী লীগে নতুন মেরুকরণ দেখা দেয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একপক্ষে আর অন্য পক্ষে অবস্থান নেন জেলার চারটি নির্বাচনী এলাকার সাংসদেরা। তাই সম্মেলন করা যায়নি।
তবে দলের নেতাদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য হলো—সম্মেলনের প্রধান অতিথি দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অসুস্থতার কারণে সম্মেলন স্থগিত করা হয়।
জেলা কমিটির একাধিক নেতা জানান, শুরুতে সম্মেলনের জন্য সাংসদেরাই বেশি আগ্রহী ছিলেন। পরে হিসাব-নিকাশ করে যখন দেখেন, কাউন্সিল হলে কমিটি তাঁদের মনঃপূত না-ও হতে পারে।
প্রায় সব নেতাই স্বীকার করেছেন, জেলা সদরে দল অনেকটা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা ওরফে মুকুট কেন্দ্রিক। জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান। এই দুই নেতার মধ্যে মাঝখানে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। একপর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন মতিউর রহমান। কিন্তু সম্মেলন উপলক্ষে মধ্যম সারির কিছু নেতা এই দুজনের মধ্যে আবার মিলমিশ করিয়ে দেন।
দলীয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ জেলা আ.লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ১৮ মার্চ। তখন সভাপতি আবদুজ জহুর আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন আয়ুব বখত জগলুল। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আয়ুব বখত জগলুলকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুটকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। আর ২০০৮ সালে আবদুজ জহুর মারা গেলে সহসভাপতি মতিউর রহমান হন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
মতিউর রহমান ঢাকার ‘বাসিন্দা’ হলেও সাংসদ থাকাকালে সুনামগঞ্জেই কাটিয়েছেন বেশি সময়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়ায় এখন তিনি সুনামগঞ্জে সময় দিচ্ছেন কম। এ আসনটি আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়। জেলা সদরে দলের সাংসদ না থাকাও এখন সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে নেতা-কর্মীরা মনে করছেন।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদাও ঢাকায় থাকেন অধিকাংশ সময়। বর্তমানে তিনি এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক। তিনিও সুনামগঞ্জে আসা কমিয়ে দিয়েছেন। সর্বশেষ সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়াই দলের কার্যালয়ের একটি কেক কেটে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন কিছু নেতা-কর্মী।
জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘দলকে ডুবন্ত অবস্থা থেকে তুলে আনতে হবে। যাঁরা দীর্ঘদিন শ্রমঘাম দিয়ে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই সবকিছু করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা চরমভাবে হতাশ। দল ক্ষমতায় তাই একদল আছে সুবিধা নেওয়া আর চাটুকারিতায় ব্যস্ত। দল ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলে এরা আওয়ামী লীগের নাম মুখে নেবে কি না সন্দেহ আছে।’
আবু সুফিয়ানের পাশে বসেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা কমিটির আরেক নেতা বলেন, ১৮ বছর ধরে গ্রুপিং করতে করতে সবাই এখন ক্লান্ত। তাই কেউ কেউ গিয়ে ঢাকায় থাকেন। সুনামগঞ্জ কার্যত নেতৃত্বহীন।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হায়দার চৌধুরী বলেন, যেহেতু বারবার চেষ্টা করেও সম্মেলন হচ্ছে না, তাই কেন্দ্র থেকে হলেও কমিটি করে দেওয়া হোক। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি হলে দলে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
তবে হতাশা-কোন্দল কেবল জেলায় সীমাবদ্ধ নেই। ফেব্রুয়ারির সম্মেলন সামনে রেখে কয়েকটি উপজেলায় সম্মেলন করা হয়েছিল। কিন্তু সম্মেলনস্থলে কোনো কমিটি করা যায়নি। পরে জেলা থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই দুই পদ জানিয়ে কমিটি করে দেওয়া হয়। কোন্দলের কারণে ছাতকে সম্মেলনই করা যায়নি।
দ্বন্দ্ব-সংঘাত, হতাশা শুধু মূল দলে নয়, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনেও রয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘সুনামগঞ্জে কোনো লীগেই এখন আর কোনো শৃঙ্খলা নেই। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ-হতাশা থেকেই নেতা-কর্মীরা নিষ্ক্রিয়। অবস্থা যে কতটা খারাপ, সেটা বোঝা যাবে দল ক্ষমতা হারালে।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক এনামুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা কমিটির অনেক নেতাই মারা গেছেন। কেউ আছেন প্রবাসে। আবার অনেকেই নিষ্ক্রিয়। স্থবিরতা কাটাতে নতুন নেতৃত্ব দরকার। দলকে এগিয়ে নিতে হলে এটা করতেই হবে।’
তবে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা বললেন ভিন্ন কথা, ‘সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। বড় দলে টুকটাক সমস্যা থাকে। সেগুলো কাটাতেই সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না। নেতা-কর্মীরা কষ্ট পেয়েছেন। আমরা সবাই চাই সম্মেলন হোক। এতে সব সমস্যা মিটে যাবে।’
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ‘যাঁরা দলের ত্যাগী নেতা, তাঁদের মূল্যায়ন না হয়ে যদি কোনো অরাজনৈতিক ব্যক্তি দলে প্রাধান্য পায়, তখন নেতা-কর্মীরা তো হতাশ হবেনই। আমি সাধ্য অনুযায়ী নেতা-কর্মী এবং দলের সঙ্গে আছি।’
দলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, সংখ্যায় দুর্বল এই কমিটি আরও হীনবল হয়ে পড়েছে কোন্দলের কারণে। দিবসকেন্দ্রিক সীমিত কিছু কর্মসূচি পালন ছাড়া তেমন কোনো কর্মকাণ্ড নেই। মূল দলের ১৮ বছরের দ্বন্দ্ব-কোন্দলের প্রভাব পড়েছে সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলোয়।
নেতাদের কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, সম্মেলনের তোড়জোড় শুরু হলে নেতা-কর্মীরা একটু নড়েচড়ে ওঠেন। সম্মেলনের আওয়াজ থেমে গেলে আবার স্থবিরতা নেমে আসে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কিন্তু আগের দিন স্থগিত হয় সম্মেলন। হতাশ হন নেতা-কর্মীরা।
জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি শংকর দাসের বয়স এখন ৫০। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ, যুবলীগ হয়ে ১৮ বছর ধরে কৃষক লীগে আছেন। মূল দলের কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ার ইচ্ছে। কিন্তু সম্মেলনই হয় না। হতাশা তো আসবেই।’
সম্মেলন প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত নেতারা জানান, ৭ ফেব্রুয়ারির সম্মেলন ঘিরেও জেলা আওয়ামী লীগে নতুন মেরুকরণ দেখা দেয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একপক্ষে আর অন্য পক্ষে অবস্থান নেন জেলার চারটি নির্বাচনী এলাকার সাংসদেরা। তাই সম্মেলন করা যায়নি।
তবে দলের নেতাদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য হলো—সম্মেলনের প্রধান অতিথি দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অসুস্থতার কারণে সম্মেলন স্থগিত করা হয়।
জেলা কমিটির একাধিক নেতা জানান, শুরুতে সম্মেলনের জন্য সাংসদেরাই বেশি আগ্রহী ছিলেন। পরে হিসাব-নিকাশ করে যখন দেখেন, কাউন্সিল হলে কমিটি তাঁদের মনঃপূত না-ও হতে পারে।
প্রায় সব নেতাই স্বীকার করেছেন, জেলা সদরে দল অনেকটা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা ওরফে মুকুট কেন্দ্রিক। জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান। এই দুই নেতার মধ্যে মাঝখানে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। একপর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন মতিউর রহমান। কিন্তু সম্মেলন উপলক্ষে মধ্যম সারির কিছু নেতা এই দুজনের মধ্যে আবার মিলমিশ করিয়ে দেন।
দলীয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ জেলা আ.লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ১৮ মার্চ। তখন সভাপতি আবদুজ জহুর আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন আয়ুব বখত জগলুল। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আয়ুব বখত জগলুলকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুটকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। আর ২০০৮ সালে আবদুজ জহুর মারা গেলে সহসভাপতি মতিউর রহমান হন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
মতিউর রহমান ঢাকার ‘বাসিন্দা’ হলেও সাংসদ থাকাকালে সুনামগঞ্জেই কাটিয়েছেন বেশি সময়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়ায় এখন তিনি সুনামগঞ্জে সময় দিচ্ছেন কম। এ আসনটি আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়। জেলা সদরে দলের সাংসদ না থাকাও এখন সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে নেতা-কর্মীরা মনে করছেন।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদাও ঢাকায় থাকেন অধিকাংশ সময়। বর্তমানে তিনি এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক। তিনিও সুনামগঞ্জে আসা কমিয়ে দিয়েছেন। সর্বশেষ সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়াই দলের কার্যালয়ের একটি কেক কেটে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন কিছু নেতা-কর্মী।
জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘দলকে ডুবন্ত অবস্থা থেকে তুলে আনতে হবে। যাঁরা দীর্ঘদিন শ্রমঘাম দিয়ে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই সবকিছু করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা চরমভাবে হতাশ। দল ক্ষমতায় তাই একদল আছে সুবিধা নেওয়া আর চাটুকারিতায় ব্যস্ত। দল ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলে এরা আওয়ামী লীগের নাম মুখে নেবে কি না সন্দেহ আছে।’
আবু সুফিয়ানের পাশে বসেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা কমিটির আরেক নেতা বলেন, ১৮ বছর ধরে গ্রুপিং করতে করতে সবাই এখন ক্লান্ত। তাই কেউ কেউ গিয়ে ঢাকায় থাকেন। সুনামগঞ্জ কার্যত নেতৃত্বহীন।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হায়দার চৌধুরী বলেন, যেহেতু বারবার চেষ্টা করেও সম্মেলন হচ্ছে না, তাই কেন্দ্র থেকে হলেও কমিটি করে দেওয়া হোক। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি হলে দলে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
তবে হতাশা-কোন্দল কেবল জেলায় সীমাবদ্ধ নেই। ফেব্রুয়ারির সম্মেলন সামনে রেখে কয়েকটি উপজেলায় সম্মেলন করা হয়েছিল। কিন্তু সম্মেলনস্থলে কোনো কমিটি করা যায়নি। পরে জেলা থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই দুই পদ জানিয়ে কমিটি করে দেওয়া হয়। কোন্দলের কারণে ছাতকে সম্মেলনই করা যায়নি।
দ্বন্দ্ব-সংঘাত, হতাশা শুধু মূল দলে নয়, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনেও রয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘সুনামগঞ্জে কোনো লীগেই এখন আর কোনো শৃঙ্খলা নেই। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ-হতাশা থেকেই নেতা-কর্মীরা নিষ্ক্রিয়। অবস্থা যে কতটা খারাপ, সেটা বোঝা যাবে দল ক্ষমতা হারালে।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক এনামুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা কমিটির অনেক নেতাই মারা গেছেন। কেউ আছেন প্রবাসে। আবার অনেকেই নিষ্ক্রিয়। স্থবিরতা কাটাতে নতুন নেতৃত্ব দরকার। দলকে এগিয়ে নিতে হলে এটা করতেই হবে।’
তবে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা বললেন ভিন্ন কথা, ‘সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। বড় দলে টুকটাক সমস্যা থাকে। সেগুলো কাটাতেই সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না। নেতা-কর্মীরা কষ্ট পেয়েছেন। আমরা সবাই চাই সম্মেলন হোক। এতে সব সমস্যা মিটে যাবে।’
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ‘যাঁরা দলের ত্যাগী নেতা, তাঁদের মূল্যায়ন না হয়ে যদি কোনো অরাজনৈতিক ব্যক্তি দলে প্রাধান্য পায়, তখন নেতা-কর্মীরা তো হতাশ হবেনই। আমি সাধ্য অনুযায়ী নেতা-কর্মী এবং দলের সঙ্গে আছি।’
No comments