সাহসই বড় মন্ত্র মাশরাফির by মাসুদ আলম
অসীম
সাহস তাঁর। বারবার চোটে পড়েও ফিরে এসেছেন মাঠে। মাশরাফি বিন মুর্তজার
কণ্ঠে সাহসের গান শুনতে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ
টি-টোয়েন্টির কঠিন লড়াইয়ের আগে তাই ঘোষণার সুরেই বলে দিলেন, ভয়ডরহীন
ক্রিকেটই খেলবে বাংলাদেশ।
ভয়! ভয়ের প্রশ্ন আসছে কেন? কদিন আগে যে দল প্রবল প্রতাপশালী ভারতকে ওয়ানডেতে হারিয়েছে, এর আগে পাকিস্তানকে ওয়ানডেতে গুঁড়িয়ে দিয়েছে, সেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক কি না কাল সংবাদ সম্মেলনে কথা প্রসঙ্গে বার দুয়েক ভয় শব্দটা উচ্চারণ করে ফেললেন। কারণটাও অজানা নয়। এটা যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ও প্রতিপক্ষের নাম দক্ষিণ আফ্রিকা।
সব ধরনের ক্রিকেটেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি, সেটিও ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। পরের বিশ্বকাপে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই মিরপুরে ৭৮ রানে অলআউট হওয়ার দুঃস্বপ্ন আছে। প্রসঙ্গটা মনে করিয়ে দিলে চিরন্তন সেই সাহসী মাশরাফিই বেরিয়ে এলেন, ‘আমরা যদি ভয় পাই, তাহলে ঘরে বসে থাকাই ভালো। খুব স্বাভাবিক, ভয় আসতে পারে। কিন্তু সেই জিনিসটাকে মাঠের বাইরে রেখে মাঠে আমাদের পারফর্ম করতে হবে।’
মাঠে পারফর্ম করতে প্রয়োজনীয় রসদ কিন্তু বাংলাদেশ দলে মজুত আছে। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার প্রেরণার চেয়ে বড় শক্তি আর কী হতে পারে! সাফল্যখরার টি-টোয়েন্টিতেও তো সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশই জিতেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই জয়ের স্মৃতি তো টাটকাই। এর সঙ্গে আত্মবিশ্বাস যোগ করলে বাংলাদেশ দল ভালো খেলবে বলেই বিশ্বাস মাশরাফির। কিন্ত যখনই আসে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রেকর্ডের কথা, মাশরাফির কণ্ঠে খানিকটা রসিকতাও ঝরে। মিরপুরের গুরুগম্ভীর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মজা করার আড়ালে সত্যটাই মেনে নেন, ‘ওদের সঙ্গে রেকর্ডে আমরা খুব পচা অবস্থায় আছি।’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের রেকর্ড ভালো না হওয়ার কারণটা জানাই মাশরাফির। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বাংলাদেশ দল তুলনামূলক কম খেলে। দুদলের মাঝখানে এটা বড় পার্থক্যই গড়ে দিচ্ছে। মাশরাফি যেমন বলছিলেন, ‘আমাদের একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে, যে সারা বিশ্বে খেলে—সাকিব। আর ওদের আট-দশজন ক্রিকেটার আছে, যারা প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বে টি-টোয়েন্টি খেলছে। এই জায়গায় তারা এগিয়ে। সব বিভাগেই ভালো। ব্যাটিংয়ে দুই-তিনজন আলাদা ধরনের খেলোয়াড় আছে, এক হাতে তারা ম্যাচ জেতাতে পারে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং-বোলিং তো আছেই, ফিল্ডিংও দুর্দান্ত। যা ১৫-২০ রান বাঁচিয়ে দিতে পারে। কথাটা মাশরাফিরই। এসব ব্যবধান ঘোচানো সম্ভব নিজেদের সেরা দিনে। বাংলাদেশ দলে বিশেষজ্ঞ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় না থাকতে পারে, কিন্তু দল হিসেবে ভালো খেললে মাঠে ভালো কিছু করা সম্ভব বলেই মনে করেন। মাশরাফির মুখে আবারও শোনা যায় সেই ‘সাহস’ শব্দটা, ‘টি-টোয়েন্টি হচ্ছে সাহস নিয়ে খেলা। আর যত আপনি আপনার বুদ্ধি খাটাতে পারেন।’
সাহস তো আছেই, বুদ্ধিও অধিনায়ক মাশরাফির কম নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তি নিয়ে এত কথার ফাঁকে এটাও মনে করিয়ে দিলেন, ‘দিনশেষে ওরাও তো মানুষ।’ সব কথার শেষ কথা বোধ হয় এটাই!
ভয়! ভয়ের প্রশ্ন আসছে কেন? কদিন আগে যে দল প্রবল প্রতাপশালী ভারতকে ওয়ানডেতে হারিয়েছে, এর আগে পাকিস্তানকে ওয়ানডেতে গুঁড়িয়ে দিয়েছে, সেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক কি না কাল সংবাদ সম্মেলনে কথা প্রসঙ্গে বার দুয়েক ভয় শব্দটা উচ্চারণ করে ফেললেন। কারণটাও অজানা নয়। এটা যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ও প্রতিপক্ষের নাম দক্ষিণ আফ্রিকা।
সব ধরনের ক্রিকেটেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি, সেটিও ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। পরের বিশ্বকাপে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই মিরপুরে ৭৮ রানে অলআউট হওয়ার দুঃস্বপ্ন আছে। প্রসঙ্গটা মনে করিয়ে দিলে চিরন্তন সেই সাহসী মাশরাফিই বেরিয়ে এলেন, ‘আমরা যদি ভয় পাই, তাহলে ঘরে বসে থাকাই ভালো। খুব স্বাভাবিক, ভয় আসতে পারে। কিন্তু সেই জিনিসটাকে মাঠের বাইরে রেখে মাঠে আমাদের পারফর্ম করতে হবে।’
মাঠে পারফর্ম করতে প্রয়োজনীয় রসদ কিন্তু বাংলাদেশ দলে মজুত আছে। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার প্রেরণার চেয়ে বড় শক্তি আর কী হতে পারে! সাফল্যখরার টি-টোয়েন্টিতেও তো সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশই জিতেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই জয়ের স্মৃতি তো টাটকাই। এর সঙ্গে আত্মবিশ্বাস যোগ করলে বাংলাদেশ দল ভালো খেলবে বলেই বিশ্বাস মাশরাফির। কিন্ত যখনই আসে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রেকর্ডের কথা, মাশরাফির কণ্ঠে খানিকটা রসিকতাও ঝরে। মিরপুরের গুরুগম্ভীর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মজা করার আড়ালে সত্যটাই মেনে নেন, ‘ওদের সঙ্গে রেকর্ডে আমরা খুব পচা অবস্থায় আছি।’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের রেকর্ড ভালো না হওয়ার কারণটা জানাই মাশরাফির। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বাংলাদেশ দল তুলনামূলক কম খেলে। দুদলের মাঝখানে এটা বড় পার্থক্যই গড়ে দিচ্ছে। মাশরাফি যেমন বলছিলেন, ‘আমাদের একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে, যে সারা বিশ্বে খেলে—সাকিব। আর ওদের আট-দশজন ক্রিকেটার আছে, যারা প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বে টি-টোয়েন্টি খেলছে। এই জায়গায় তারা এগিয়ে। সব বিভাগেই ভালো। ব্যাটিংয়ে দুই-তিনজন আলাদা ধরনের খেলোয়াড় আছে, এক হাতে তারা ম্যাচ জেতাতে পারে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং-বোলিং তো আছেই, ফিল্ডিংও দুর্দান্ত। যা ১৫-২০ রান বাঁচিয়ে দিতে পারে। কথাটা মাশরাফিরই। এসব ব্যবধান ঘোচানো সম্ভব নিজেদের সেরা দিনে। বাংলাদেশ দলে বিশেষজ্ঞ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় না থাকতে পারে, কিন্তু দল হিসেবে ভালো খেললে মাঠে ভালো কিছু করা সম্ভব বলেই মনে করেন। মাশরাফির মুখে আবারও শোনা যায় সেই ‘সাহস’ শব্দটা, ‘টি-টোয়েন্টি হচ্ছে সাহস নিয়ে খেলা। আর যত আপনি আপনার বুদ্ধি খাটাতে পারেন।’
সাহস তো আছেই, বুদ্ধিও অধিনায়ক মাশরাফির কম নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তি নিয়ে এত কথার ফাঁকে এটাও মনে করিয়ে দিলেন, ‘দিনশেষে ওরাও তো মানুষ।’ সব কথার শেষ কথা বোধ হয় এটাই!
No comments