ভর্তি জটিলতায় ৩ লাখ শিক্ষার্থী
একাদশে
প্রথম মেধা তালিকায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয় ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৪ জন। তবে
গতকাল শেষদিন পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৮ লাখ ৬১ হাজার শিক্ষার্থী। আবেদন করেও
মনোনয়ন পায়নি প্রায় ৬৩ হাজার শিক্ষার্থী। সবমিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থী
একাদশ শ্রেণীর ভর্তির জটিলতায় পড়েছে। এ জটিলতা কাটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে
মন্ত্রণালয়, আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটিকে। এসব জটিলতার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে
আজ মন্ত্রণালয় বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ
জটিলতা কাটাতে একাধিক মেধা তালিকা প্রকাশ করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত
হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল ছিল প্রথম মেধা তালিকায় মনোনীত শিক্ষার্থীদের
ভর্তির শেষদিন। রাতে বোর্ডসূত্র জানায়, ৮ লাখ ৬১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি
হয়েছে।
বোর্ডের তথ্যানুযায়ী আবেদন করে এখন ভর্তি হয়নি প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার শিক্ষার্থী। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রথম তালিকা মনোনয়ন না পাওয়া আরও ৬৩ হাজার। বোর্ড কর্মকর্তা জানান, ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন শিক্ষার্থী। আর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করে ১১ লাখ ৫৭ হাজার ২২৪ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ পাস করার পরও প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি জন্য আবেদনই করেনি। অনলাইনে আবেদন করার ১১ লাখ ৫৭ হাজার ২২৪ জনের মধ্যে প্রথম মেধা তালিকায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয় ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৪ জন। গতকাল পর্যন্ত ১০টি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শনদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৮ লাখ ৬১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি বলছে, পছন্দমতো কলেজ না পাওয়ায় ১ম দফায় এতো শিক্ষার্থী ভর্তির হয়নি। আশা করি ২য় তালিকায় এ জটিলতা আর থাকবে না। পরবর্তী তালিকা প্রকাশ করা পর্যন্ত বাকি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করতে অনুরোধ করেছেন শিক্ষাসচিব।
এদিকে গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হেয়ার রোডের বাসভবনের ভর্তির জটিলতা নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, ৩ জন অতিরিক্ত সচিব, সব যুগ্ম সচিব, মাউশি মহাপরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ভর্তি জটিলতা ও ভোগান্তিতে চুপ থাকার পর আজ বিষয়টি নিয়ে প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী। তুলে ধরবেন ভর্তির সকল জটিলতার কারণ ও সমাধান।
বৈঠক সূত্র জানা, মূলত গতকালের বৈঠকটি ছিল শিক্ষামন্ত্রী ও সচিবের মতানৈক্য কাটিয়ে ওঠার জন্য। তবে বৈঠকে মন্ত্রী ও সচিব একাধিকবার একে নিজের পক্ষে মত তুলে ধরেন। ভর্তি জটিলতা নিয়ে সচিব বলেন, সারা দেশের কলেজগুলো একসঙ্গে অনলাইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কিন্তু মাঠে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতা পায়নি। সচিব আরও বলেন, মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের এসব কর্মকর্তাদের সরাতে হবে, তারা আমার কথা শুনছেন না। তাদের জন্যই ভর্তি নিয়ে এই জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ সময় মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে ভর্তিচ্ছুক ও অভিভাবকদের ভুল বোঝানো হয়েছে। টকশো করে এটা ভাঙানো যাবে না। এ নিয়ে আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলা দরকার। আর মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের গুটিকয় কর্মকর্তাকে সরানোই সমস্যার সমাধান হবে না।
ভর্তি না হওয়ার কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা বলছেন সুযোগ পেয়েও ভর্তি না হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো ভর্তির নানা জটিলতা। এরমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের ফলাফলে ভুল হয়েছে। তারা বোর্ডের কাছে আবেদন করেছে। তাই কোন কলেজে ভর্তি হয়নি। আর বাকি সকলেই তাদের পাঁচটি পছন্দের কলেজের একটিতেই সুযোগ পেয়েছে। তারপরও ভর্তি হয়নি। কারণ প্রথমে তারা যে কলেজ পছন্দ করেছিল পরে সুযোগ পেয়ে আর সে কলেজ পছন্দ হচ্ছে না। আবার কলেজ পরিবর্তন করতে হলে দু’টি কলেজে ভর্তি হতে হবে। দুইবার বিভিন্ন ফি দিতে হবে। আবার অনেকেই বেসরকারি কলেজে সুযোগ পেয়েছে কিন্তু সেখানে পড়ালেখার খরচ বেশি তাই তারাও ভর্তি হয়নি। যেহেতু প্রথম ও দ্বিতীয় মেধা তালিকায় যারা ভর্তির সুযোগ পায়নি অথবা সুযোগ পেলেও কলেজ পছন্দ না হওয়ার কারণে ভর্তি হয়নি তাদের জন্য তৃতীয় ও চতুর্থ মেধা তালিকা করা হবে। তাই এবার ভর্তি না হয়ে এই সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
বার্ড সমন্বয় সাব কমিটি সূত্র বলছে, প্রথম অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বুয়েট পরবর্তী মেধা তালিকাগুলোকে সম্পূর্ণ জটিলতামুক্ত করার জন্য ৩ টিম কাজ করছে। ১ম তালিকা থেকে বুয়েট ও আন্তঃবোর্ড ১৫ ধরনের জটিলতা চিহ্নিত করেছে। এগুলোকে সামনে রেখে কাজ করা হচ্ছে।
বোর্ডের তথ্যানুযায়ী আবেদন করে এখন ভর্তি হয়নি প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার শিক্ষার্থী। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রথম তালিকা মনোনয়ন না পাওয়া আরও ৬৩ হাজার। বোর্ড কর্মকর্তা জানান, ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন শিক্ষার্থী। আর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করে ১১ লাখ ৫৭ হাজার ২২৪ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ পাস করার পরও প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি জন্য আবেদনই করেনি। অনলাইনে আবেদন করার ১১ লাখ ৫৭ হাজার ২২৪ জনের মধ্যে প্রথম মেধা তালিকায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয় ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৪ জন। গতকাল পর্যন্ত ১০টি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শনদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৮ লাখ ৬১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি বলছে, পছন্দমতো কলেজ না পাওয়ায় ১ম দফায় এতো শিক্ষার্থী ভর্তির হয়নি। আশা করি ২য় তালিকায় এ জটিলতা আর থাকবে না। পরবর্তী তালিকা প্রকাশ করা পর্যন্ত বাকি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করতে অনুরোধ করেছেন শিক্ষাসচিব।
এদিকে গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হেয়ার রোডের বাসভবনের ভর্তির জটিলতা নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, ৩ জন অতিরিক্ত সচিব, সব যুগ্ম সচিব, মাউশি মহাপরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ভর্তি জটিলতা ও ভোগান্তিতে চুপ থাকার পর আজ বিষয়টি নিয়ে প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী। তুলে ধরবেন ভর্তির সকল জটিলতার কারণ ও সমাধান।
বৈঠক সূত্র জানা, মূলত গতকালের বৈঠকটি ছিল শিক্ষামন্ত্রী ও সচিবের মতানৈক্য কাটিয়ে ওঠার জন্য। তবে বৈঠকে মন্ত্রী ও সচিব একাধিকবার একে নিজের পক্ষে মত তুলে ধরেন। ভর্তি জটিলতা নিয়ে সচিব বলেন, সারা দেশের কলেজগুলো একসঙ্গে অনলাইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কিন্তু মাঠে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতা পায়নি। সচিব আরও বলেন, মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের এসব কর্মকর্তাদের সরাতে হবে, তারা আমার কথা শুনছেন না। তাদের জন্যই ভর্তি নিয়ে এই জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ সময় মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে ভর্তিচ্ছুক ও অভিভাবকদের ভুল বোঝানো হয়েছে। টকশো করে এটা ভাঙানো যাবে না। এ নিয়ে আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলা দরকার। আর মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের গুটিকয় কর্মকর্তাকে সরানোই সমস্যার সমাধান হবে না।
ভর্তি না হওয়ার কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা বলছেন সুযোগ পেয়েও ভর্তি না হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো ভর্তির নানা জটিলতা। এরমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের ফলাফলে ভুল হয়েছে। তারা বোর্ডের কাছে আবেদন করেছে। তাই কোন কলেজে ভর্তি হয়নি। আর বাকি সকলেই তাদের পাঁচটি পছন্দের কলেজের একটিতেই সুযোগ পেয়েছে। তারপরও ভর্তি হয়নি। কারণ প্রথমে তারা যে কলেজ পছন্দ করেছিল পরে সুযোগ পেয়ে আর সে কলেজ পছন্দ হচ্ছে না। আবার কলেজ পরিবর্তন করতে হলে দু’টি কলেজে ভর্তি হতে হবে। দুইবার বিভিন্ন ফি দিতে হবে। আবার অনেকেই বেসরকারি কলেজে সুযোগ পেয়েছে কিন্তু সেখানে পড়ালেখার খরচ বেশি তাই তারাও ভর্তি হয়নি। যেহেতু প্রথম ও দ্বিতীয় মেধা তালিকায় যারা ভর্তির সুযোগ পায়নি অথবা সুযোগ পেলেও কলেজ পছন্দ না হওয়ার কারণে ভর্তি হয়নি তাদের জন্য তৃতীয় ও চতুর্থ মেধা তালিকা করা হবে। তাই এবার ভর্তি না হয়ে এই সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
বার্ড সমন্বয় সাব কমিটি সূত্র বলছে, প্রথম অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বুয়েট পরবর্তী মেধা তালিকাগুলোকে সম্পূর্ণ জটিলতামুক্ত করার জন্য ৩ টিম কাজ করছে। ১ম তালিকা থেকে বুয়েট ও আন্তঃবোর্ড ১৫ ধরনের জটিলতা চিহ্নিত করেছে। এগুলোকে সামনে রেখে কাজ করা হচ্ছে।
No comments