গ্রিসের আলোচিত গণভোট আজ: খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি, অনেক কমেছে পর্যটক
মধ্য এথেন্সের একটি সংবাদপত্রের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শিরোনাম দেখছেন কয়েকজন রাজধানীবাসী। প্রায় সব পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘না’ ও ‘হ্যাঁ’ লেখা শিরোনাম l ছবি: এএফপি |
অর্থনৈতিক
সংকট থেকে রেহাই পেতে ঋণদাতাদের কঠোর শর্তসংবলিত পুনরুদ্ধার প্রস্তাব মেনে
নেওয়া হবে কি না —এ নিয়ে আজ রোববার গ্রিসে গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্যাংক
বন্ধসহ সরকারি কড়াকড়িতে খাদ্যের পাশাপশি ওষুধের ঘাটতি এবং পর্যটকের
সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই ভোট হচ্ছে। সপ্তাহান্তে
ব্যাংকগুলো চলার মতো অর্থ থাকবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। খবর
গার্ডিয়ান ও বিবিসির।
গ্রিসের ব্যাংকগুলো বলছে, তাদের হাতে এখন এক শ কোটি ইউরো আছে। অর্থাৎ, এক কোটি ১০ লাখ মানুষের মাথাপিছু অর্থের পরিমাণ ৯০ ইউরো। গণভোটের রায় যা-ই হোক না কেন, এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো জরুরি ভিত্তিতে আগামী সোমবার ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) সহযোগিতা চায়।
‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। গত শুক্রবারের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, হ্যাঁ ভোটের পক্ষে সমর্থন ৪৪ শতাংশ। না ভোটের পক্ষে সমর্থন আছে ৪৩ শতাংশের। সমাবেশের মতো নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে জরিপও নিষিদ্ধ।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস কার্যত তাঁর রাজনৈতিক জীবন রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার রাতে বিশাল এক সমাবেশে সিপ্রাস, ‘প্রতারণার সঙ্গে বিজয়ী হতে’ ‘না’-এর পক্ষে ভোট দিতে আহ্বান জানান। মাত্র পাঁচ মাস আগে ক্ষমতাসীন বামপন্থী সিপ্রাসের জোট সরকার এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
কেবল না-এর পক্ষেই নয়, হ্যাঁ-এর পক্ষেও বড় কয়েকটি সমাবেশ হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, হ্যাঁ-এর চেয়ে না-এর পক্ষের সমাবেশে লোক সমাগম অনেক বেশি হয়েছে।
হ্যাঁ-এর পক্ষের সমাবেশে বলা হয়েছে, না পক্ষ জেতার অর্থ হলো ইউরোজোন থেকে বের হয়ে যেতে হবে গ্রিসকে। এ কথা প্রত্যাখ্যান করে সিপ্রাস বলেন, ‘ওদের আমরা ইউরোপ ধ্বংস করতে দেব না।’
খাদ্য আর ওষুধের সংকট: গণভোট নিয়ে তীব্র এই উত্তেজনার মধ্যে খাদ্য আর ওষুধের সংকটে পড়েছে গ্রিস। আটা ও চিনির মত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জোগানও কমে গেছে। ওষুধের দোকানি মেরি পাপাদোপুলো বলেন, ‘ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সমস্যার একটা সমাধান না হলে ঘাটতি আরও বাড়বে।’
এথেন্সের শহরতলি পাইরুয়াসের ফল ও সবজির দোকানি এলনি কাসামাকি বলেন, ‘সবাই ব্যাংক থেকে তোলা ২০ ইউরোর নোট নিয়ে আসছে। ভাংতির সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমার হাতে কিছু ছোট নোট ছিল তাই খুচরা ফেরত দিতে পেরেছিলাম। এখন সব শেষ।’
ব্যবসায়ীদের সংগঠন ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব হেলেনিক কমার্সের প্রধান ভাসিলিস করকিদিস বলেন, ‘আমদানি, রপ্তানি, কারখানা, পরিবহন—সব স্থবির হয়ে গেছে।’
গ্রিসের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন গ্রিক টুরিজম কনফেডারেশন (এসইটিই) বলেছে, গত কয়েক দিন পর্যটকদের বুকিং ৪০ শতাংশ কমে গেছে। প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার লোক তাদের বুকিং বাতিল করছে। গ্রিসের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস পর্যটনশিল্প।
গ্রিসের ব্যাংকগুলো বলছে, তাদের হাতে এখন এক শ কোটি ইউরো আছে। অর্থাৎ, এক কোটি ১০ লাখ মানুষের মাথাপিছু অর্থের পরিমাণ ৯০ ইউরো। গণভোটের রায় যা-ই হোক না কেন, এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো জরুরি ভিত্তিতে আগামী সোমবার ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) সহযোগিতা চায়।
‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। গত শুক্রবারের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, হ্যাঁ ভোটের পক্ষে সমর্থন ৪৪ শতাংশ। না ভোটের পক্ষে সমর্থন আছে ৪৩ শতাংশের। সমাবেশের মতো নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে জরিপও নিষিদ্ধ।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস কার্যত তাঁর রাজনৈতিক জীবন রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার রাতে বিশাল এক সমাবেশে সিপ্রাস, ‘প্রতারণার সঙ্গে বিজয়ী হতে’ ‘না’-এর পক্ষে ভোট দিতে আহ্বান জানান। মাত্র পাঁচ মাস আগে ক্ষমতাসীন বামপন্থী সিপ্রাসের জোট সরকার এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
কেবল না-এর পক্ষেই নয়, হ্যাঁ-এর পক্ষেও বড় কয়েকটি সমাবেশ হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, হ্যাঁ-এর চেয়ে না-এর পক্ষের সমাবেশে লোক সমাগম অনেক বেশি হয়েছে।
হ্যাঁ-এর পক্ষের সমাবেশে বলা হয়েছে, না পক্ষ জেতার অর্থ হলো ইউরোজোন থেকে বের হয়ে যেতে হবে গ্রিসকে। এ কথা প্রত্যাখ্যান করে সিপ্রাস বলেন, ‘ওদের আমরা ইউরোপ ধ্বংস করতে দেব না।’
খাদ্য আর ওষুধের সংকট: গণভোট নিয়ে তীব্র এই উত্তেজনার মধ্যে খাদ্য আর ওষুধের সংকটে পড়েছে গ্রিস। আটা ও চিনির মত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জোগানও কমে গেছে। ওষুধের দোকানি মেরি পাপাদোপুলো বলেন, ‘ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সমস্যার একটা সমাধান না হলে ঘাটতি আরও বাড়বে।’
এথেন্সের শহরতলি পাইরুয়াসের ফল ও সবজির দোকানি এলনি কাসামাকি বলেন, ‘সবাই ব্যাংক থেকে তোলা ২০ ইউরোর নোট নিয়ে আসছে। ভাংতির সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমার হাতে কিছু ছোট নোট ছিল তাই খুচরা ফেরত দিতে পেরেছিলাম। এখন সব শেষ।’
ব্যবসায়ীদের সংগঠন ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব হেলেনিক কমার্সের প্রধান ভাসিলিস করকিদিস বলেন, ‘আমদানি, রপ্তানি, কারখানা, পরিবহন—সব স্থবির হয়ে গেছে।’
গ্রিসের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন গ্রিক টুরিজম কনফেডারেশন (এসইটিই) বলেছে, গত কয়েক দিন পর্যটকদের বুকিং ৪০ শতাংশ কমে গেছে। প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার লোক তাদের বুকিং বাতিল করছে। গ্রিসের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস পর্যটনশিল্প।
No comments