চট্টগ্রামে প্রেমের জন্য জোড়া খুন by মহিউদ্দীন জুয়েল
ফারজানা
নামের এক মেয়েকে ভালবাসতাম। তার বাসায় বিয়ের জন্য পীড়াপীড়ি করছিল লোকজন।
তাই প্রেমিকাকে বিয়ে করতে গিয়ে টাকা সংগ্রহের জন্য খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও
তার মেয়েকে খুন করি। তবে খুনের পরিকল্পনা ছিল না। চুরি দেখতে পাওয়ায়
দুইজনকে শেষ করে দেই।
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার বেলাল নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এমনই তথ্য। সে খুন হওয়া মা নাসিমা বেগমের স্বামী ও তার ৯ বছরের মেয়ে রিয়া আক্তারের পিতা শাহ আলমের খালাতো ভাই বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী চট্টগ্রামের ডাবল মার্ডার হত্যাকাণ্ডের কোন ক্লু খুঁজে পাচ্ছিলো না পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে তাকে হাজির করা হলে এই সময় সে এসব কথা জানায়।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, চলতি মাসের গত ৭ই মে সকাল সোয়া ৯টায় সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়াস্থ ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিংয়ের ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া মাংস ব্যবসায়ী শাহ আলমের স্ত্রী ও মেয়েকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়। এই সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ সর্বমোট ২ লাখ ৭১ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায় খুনি। ওই ঘটনায় সদরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তার বেলালের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার পুরো নাম বেলাল হোসেন (১৯)। পিতা মো. মন মিয়া, মাতা- হোসনেয়ারা বেগম, গ্রাম কোরবানপুর (বাজারের বাড়ী), থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা। বর্তমান ঠিকানা, সাহেব পাড়া, দুলাল জমিদারের ভাড়াঘর, থানা-সদরঘাট, চট্টগ্রাম।
জিজ্ঞাসাবাদে বেলাল স্বীকার করে, মামলার বাদী শাহ আলম তার আপন খালাত ভাই। সেই সুবাধে সে প্রায়ই তার বাসায় আসা-যাওয়া করতো। ঘটনার ২দিন আগে বাদী শাহ আলম তার মাংসের দোকানের টিউবওয়েল মেরামতের জন্য বললে সে টিউবওয়েল মেরামতের একপর্যায়ে গোপনে মাংসের দোকানের ১টি ছুরি পাশের ডাস্টবিনে লুকিয়ে রাখে।
এক সময় আসামি বেলাল হোসেন শাহ আলমের মাংসের দোকানে কাজ করতো। ঘটনার দিন গত ৭ই মে সকালে সে তার বাসা থেকে বের হয়ে লুকানো ছুরি নিয়ে শাহ আলমের বাসার সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। বাদীর ২ ছেলে হৃদয় হোসেন (১২) এবং রিয়াদ হোসেন (১১) স্কুলে চলে যাওয়ার পর সে শাহ আলমের বাসায় যায়। তখন শাহ আলমের স্ত্রী নাছিমা বেগম রান্নাঘরে অবস্থান করছিল। মেয়ে রিয়া আক্তার ফাল্গুনী (১০) পাশের রুমে ঘুমাচ্ছিল। বেলাল হোসেনকে দেখে শাহ আলমের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩৭) বাসায় আসার কারণ জিজ্ঞাসা করার একপর্যায়ে শাহ আলমের স্ত্রী বেলাল হোসেনের দিকে এগিয়ে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে ছুরি দিয়ে তার পেটে আঘাত করে।
নাছিমা বেগম তাকে ধরার চেষ্টা করলে আরও কয়েকটি ছুরি দিয়ে আঘাত করলে নাছিমা বেগম মেঝেতে পড়ে যান। তখন তার গলায় ছুরি চালিয়ে জবাই করে বেলাল। শব্দ শুনে মেয়ে রিয়া আক্তার ফাল্গুনী এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরি দিয়ে ঘাই মেরে বাথরুমে ফেলে জবাই করে। জবাই করা ছুরি পাশেই ফেলে রাখে। পরবর্তীতে স্টিলের আলমারি খুলে নগদ ৬০,০০০ টাকা, কিছু স্বর্ণ এবং শাহ আলমের স্ত্রী’র ২টি মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত বাসা ত্যাগ করে সাত তলা মাঠে গিয়ে টাকা, স্বর্ণ গোছগাছ করে সেলুনে গিয়ে চুল, দাড়ি কাটে। তখন তার এক বন্ধু তাকে টেলিফোনে জানায় তার ভাবী এবং ভাতিজিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তখন সে আবার ঘটনাস্থলে এসে অনেক লোকের মাঝে পরিস্থিতি দেখে যায়। কিছুক্ষণ পরে শাহ আলম তাকে আসতে বললে সে পুনরায় এসে লাশ নামানোর কাজে সহায়তা করে। মোবাইল ফোন ২টির ১টি তার বান্ধবী ফারজানার কাছে রাখতে দেয়, অন্যটি তার পরিচিত মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়ার নিকট রাখে।
স্বর্ণগুলো বাকলিয়ার একটি দোকানে ৩৯,০০০ টাকায় বিক্রয় করে। ঐ টাকায় গত ৯ই মে সে ১টি টেলিভিশন, ডিভিডি প্লেয়ার, ২টি সাউন্ড বক্স রাউজান ইলেক্ট্রনিক্স দোকান থেকে ক্রয় করে। ধরা পড়ার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সবকিছু উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার কুসুম দেওয়ান মানবজমিনকে বলেন, আসামি স্বীকার করেছে। তাকে কৌশলে ধরা হয়েছে। সে খুনের ঘটনা ঘটিয়ে আবার লাশের দাফনেও অংশ নেয়।
তিনি আরও বলেন, প্রেমের জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে বেলাল। তাকে আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) আদালতে চালান দেয়া হবে। সে শাহ আলমের পূর্ব পরিচিত।
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার বেলাল নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এমনই তথ্য। সে খুন হওয়া মা নাসিমা বেগমের স্বামী ও তার ৯ বছরের মেয়ে রিয়া আক্তারের পিতা শাহ আলমের খালাতো ভাই বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী চট্টগ্রামের ডাবল মার্ডার হত্যাকাণ্ডের কোন ক্লু খুঁজে পাচ্ছিলো না পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে তাকে হাজির করা হলে এই সময় সে এসব কথা জানায়।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, চলতি মাসের গত ৭ই মে সকাল সোয়া ৯টায় সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়াস্থ ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিংয়ের ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া মাংস ব্যবসায়ী শাহ আলমের স্ত্রী ও মেয়েকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়। এই সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ সর্বমোট ২ লাখ ৭১ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায় খুনি। ওই ঘটনায় সদরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তার বেলালের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার পুরো নাম বেলাল হোসেন (১৯)। পিতা মো. মন মিয়া, মাতা- হোসনেয়ারা বেগম, গ্রাম কোরবানপুর (বাজারের বাড়ী), থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা। বর্তমান ঠিকানা, সাহেব পাড়া, দুলাল জমিদারের ভাড়াঘর, থানা-সদরঘাট, চট্টগ্রাম।
জিজ্ঞাসাবাদে বেলাল স্বীকার করে, মামলার বাদী শাহ আলম তার আপন খালাত ভাই। সেই সুবাধে সে প্রায়ই তার বাসায় আসা-যাওয়া করতো। ঘটনার ২দিন আগে বাদী শাহ আলম তার মাংসের দোকানের টিউবওয়েল মেরামতের জন্য বললে সে টিউবওয়েল মেরামতের একপর্যায়ে গোপনে মাংসের দোকানের ১টি ছুরি পাশের ডাস্টবিনে লুকিয়ে রাখে।
এক সময় আসামি বেলাল হোসেন শাহ আলমের মাংসের দোকানে কাজ করতো। ঘটনার দিন গত ৭ই মে সকালে সে তার বাসা থেকে বের হয়ে লুকানো ছুরি নিয়ে শাহ আলমের বাসার সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। বাদীর ২ ছেলে হৃদয় হোসেন (১২) এবং রিয়াদ হোসেন (১১) স্কুলে চলে যাওয়ার পর সে শাহ আলমের বাসায় যায়। তখন শাহ আলমের স্ত্রী নাছিমা বেগম রান্নাঘরে অবস্থান করছিল। মেয়ে রিয়া আক্তার ফাল্গুনী (১০) পাশের রুমে ঘুমাচ্ছিল। বেলাল হোসেনকে দেখে শাহ আলমের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩৭) বাসায় আসার কারণ জিজ্ঞাসা করার একপর্যায়ে শাহ আলমের স্ত্রী বেলাল হোসেনের দিকে এগিয়ে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে ছুরি দিয়ে তার পেটে আঘাত করে।
নাছিমা বেগম তাকে ধরার চেষ্টা করলে আরও কয়েকটি ছুরি দিয়ে আঘাত করলে নাছিমা বেগম মেঝেতে পড়ে যান। তখন তার গলায় ছুরি চালিয়ে জবাই করে বেলাল। শব্দ শুনে মেয়ে রিয়া আক্তার ফাল্গুনী এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরি দিয়ে ঘাই মেরে বাথরুমে ফেলে জবাই করে। জবাই করা ছুরি পাশেই ফেলে রাখে। পরবর্তীতে স্টিলের আলমারি খুলে নগদ ৬০,০০০ টাকা, কিছু স্বর্ণ এবং শাহ আলমের স্ত্রী’র ২টি মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত বাসা ত্যাগ করে সাত তলা মাঠে গিয়ে টাকা, স্বর্ণ গোছগাছ করে সেলুনে গিয়ে চুল, দাড়ি কাটে। তখন তার এক বন্ধু তাকে টেলিফোনে জানায় তার ভাবী এবং ভাতিজিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তখন সে আবার ঘটনাস্থলে এসে অনেক লোকের মাঝে পরিস্থিতি দেখে যায়। কিছুক্ষণ পরে শাহ আলম তাকে আসতে বললে সে পুনরায় এসে লাশ নামানোর কাজে সহায়তা করে। মোবাইল ফোন ২টির ১টি তার বান্ধবী ফারজানার কাছে রাখতে দেয়, অন্যটি তার পরিচিত মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়ার নিকট রাখে।
স্বর্ণগুলো বাকলিয়ার একটি দোকানে ৩৯,০০০ টাকায় বিক্রয় করে। ঐ টাকায় গত ৯ই মে সে ১টি টেলিভিশন, ডিভিডি প্লেয়ার, ২টি সাউন্ড বক্স রাউজান ইলেক্ট্রনিক্স দোকান থেকে ক্রয় করে। ধরা পড়ার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সবকিছু উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার কুসুম দেওয়ান মানবজমিনকে বলেন, আসামি স্বীকার করেছে। তাকে কৌশলে ধরা হয়েছে। সে খুনের ঘটনা ঘটিয়ে আবার লাশের দাফনেও অংশ নেয়।
তিনি আরও বলেন, প্রেমের জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে বেলাল। তাকে আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) আদালতে চালান দেয়া হবে। সে শাহ আলমের পূর্ব পরিচিত।
No comments