ধসের ঘটনায় ঝুঁকিতে সুন্দরবন হোটেল by ইমরান আহম্মেদ
সুন্দরবন হোটেল ঘেঁষে নির্মাণাধীন একটি ভবনের জন্য করা পাইলিংয়ের গর্তে হোটেলের সীমানা প্রাচীর ও সড়কের একাংশ বুধবার সকালে ধসে পড়ে। এতে হোটেলটি ঝুঁকির মুখে পড়ে। ছবি: ইমরান আহম্মেদ |
আপডেট: ২৭মে, ২০১৫ রাজধানীর
কারওয়ান বাজার মোড়ের কাছে নির্মাণাধীন একটি ভবনের জন্য খোঁড়া গর্তে পাশের
সুন্দরবন হোটেলের সীমানাপ্রাচীর ও বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কের একাংশ ধসে
পড়েছে। ঝুঁকির মুখে হোটেল থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে
বিরাজ করছে আতঙ্ক।
এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ভাষ্য, সুন্দরবন হোটেলের পাশে ‘ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড টুইন টাওয়ারের’ পাইলিংয়ের জন্য খোঁড়া গর্তে হোটেলের সীমানাপ্রাচীর ও সড়কের একাংশ আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ধসে পড়ে। এতে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা সুন্দরবন হোটেলের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন। এরপর ভবনটি খালি করে দিতে বলেন।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ সকাল ১০টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে হোটেল থেকে সবাইকে সরিয়ে নিয়েছি। কারণ ভবনটির ভেতরে কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এখানকার মাটির যে অবস্থা, এতে ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক শাকিল নেওয়াজ বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের বিশেষজ্ঞদের দ্রুত ঘটনাস্থলে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধসের খবর পেয়ে ঢাকা উত্তর ও
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন ঘটনাস্থলে ছুটে
আসেন। পরবর্তী ব্যবস্থার বিষয়ে তাঁরা সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে
কথা বলেন।
নির্মাণাধীন ভবনটি নির্মাণে একাধিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে বলে জানা গেছে। সকালে শহীদুল হক নামের এক ব্যক্তি নিজেকে নির্মাণাধীন ভবনের অন্যতম নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাম ইনটেক্সের ক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হঠাৎ করেই রাস্তার কিছু অংশ ও হোটেলের সীমানাপ্রাচীর ধসে পাইলিংয়ের গর্তে গিয়ে পড়ে। ধসে পড়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
পাইলিং করার সময় যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে শহীদুল দাবি করেন, যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাহলে ভেঙে পড়ল কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারব না, আমাদের ইঞ্জিনিয়ার আছেন, তাঁরা বলতে পারেন।’
ম্যাম ইনটেক্সের নির্মাণ পরামর্শক প্রকৌশলী আবদুল বারী বলেন, ‘কেন ধসে পড়েছে—তা এখন বলা যাবে না। তবে যে ক্ষতি হয়েছে, তা মেরামতের জন্য চেষ্টা চলছে।’
এম এক্স কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানও এই নির্মাণকাজে জড়িত বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার বলে পরিচয় দেওয়া সালাহ উদ্দিন দাবি করেন, নির্মাণকাজে কোনো ত্রুটি ছিল না। যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েই নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ কাজের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্য করা গর্তের পাশ দিয়ে ওয়াসার পানির পাইপ যাওয়ায় সেখান দিয়ে ধসের ঘটনা ঘটেছে।
সালাহ উদ্দিনের ভাষ্য, সুন্দরবন হোটেল যেন হেলে না পড়ে সে জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওই জায়গায় বালু ফেলা হচ্ছে। রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের খবর দেওয়া হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায়, ভবন নির্মাণের জন্য খোঁড়া গর্তে ওয়াসার পাইপ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। পানিতে ধীরে ধীরে গর্ত ভরছে।
এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ভাষ্য, সুন্দরবন হোটেলের পাশে ‘ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড টুইন টাওয়ারের’ পাইলিংয়ের জন্য খোঁড়া গর্তে হোটেলের সীমানাপ্রাচীর ও সড়কের একাংশ আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ধসে পড়ে। এতে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা সুন্দরবন হোটেলের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন। এরপর ভবনটি খালি করে দিতে বলেন।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ সকাল ১০টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে হোটেল থেকে সবাইকে সরিয়ে নিয়েছি। কারণ ভবনটির ভেতরে কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এখানকার মাটির যে অবস্থা, এতে ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক শাকিল নেওয়াজ বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের বিশেষজ্ঞদের দ্রুত ঘটনাস্থলে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।
নির্মাণের ভবনের গর্তে সি আর দত্ত সড়কের কিছু অংশ ধসে পড়েছে। ছবিটি বুধবার সকালে রাজধানীর সার্ক ফোয়ারার কাছের সুন্দরবন হোটেলের পাশ থেকে তোলা। ছবি: ইমরান আহম্মেদ |
নির্মাণাধীন ভবনটি নির্মাণে একাধিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে বলে জানা গেছে। সকালে শহীদুল হক নামের এক ব্যক্তি নিজেকে নির্মাণাধীন ভবনের অন্যতম নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাম ইনটেক্সের ক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হঠাৎ করেই রাস্তার কিছু অংশ ও হোটেলের সীমানাপ্রাচীর ধসে পাইলিংয়ের গর্তে গিয়ে পড়ে। ধসে পড়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
পাইলিং করার সময় যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে শহীদুল দাবি করেন, যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাহলে ভেঙে পড়ল কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারব না, আমাদের ইঞ্জিনিয়ার আছেন, তাঁরা বলতে পারেন।’
ম্যাম ইনটেক্সের নির্মাণ পরামর্শক প্রকৌশলী আবদুল বারী বলেন, ‘কেন ধসে পড়েছে—তা এখন বলা যাবে না। তবে যে ক্ষতি হয়েছে, তা মেরামতের জন্য চেষ্টা চলছে।’
এম এক্স কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানও এই নির্মাণকাজে জড়িত বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার বলে পরিচয় দেওয়া সালাহ উদ্দিন দাবি করেন, নির্মাণকাজে কোনো ত্রুটি ছিল না। যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েই নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ কাজের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্য করা গর্তের পাশ দিয়ে ওয়াসার পানির পাইপ যাওয়ায় সেখান দিয়ে ধসের ঘটনা ঘটেছে।
সালাহ উদ্দিনের ভাষ্য, সুন্দরবন হোটেল যেন হেলে না পড়ে সে জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওই জায়গায় বালু ফেলা হচ্ছে। রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের খবর দেওয়া হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায়, ভবন নির্মাণের জন্য খোঁড়া গর্তে ওয়াসার পাইপ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। পানিতে ধীরে ধীরে গর্ত ভরছে।
সড়কের অংশ ধসে পাইলিংয়ের গর্তে পড়ার পর ওই এলাকাটি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। ছবি: ইমরান আহম্মেদ |
ধসের খবর শুনে ঘটনাস্থলে প্রচুর উৎসুক মানুষ জড়ো হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা কাজ করছেন। সেখানে জড়ো হওয়া জনতাকে সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
নির্মাণাধীন ভবনের কাছে গিয়ে দেখা গেছে, গর্তের ভেতরে বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা, বেশ কিছু ভ্যান রিকশা ও হকারদের দোকান পড়ে আছে।
গর্তে নিজের তিনটি ভ্যানরিকশা পড়েছে বলে দাবি করে মামুন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার ও আমার দুই ভাইয়ের তিনটি ভ্যানরিকশা গর্তে পড়েছে। এগুলোতে করে আমরা বাদাম বিক্রি করতাম।’
No comments